সানজামুলের ৫ উইকেট
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার তাইজুল ইসলাম। জাতীয় লিগে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলার পর ষষ্ঠ রাউন্ড থেকে তাই বিশ্রামে রাজশাহী বিভাগের অধিনায়ক। তাইজুলের শূন্যতা অবশ্য বুঝতে দেননি রাজশাহীর আরেক বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলায় ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা সানজামুলের ২৫তম ৫ উইকেট। তাঁর এই বোলিংয়ের সৌজন্যে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২৯০ রানে থামাতে পেরেছে রাজশাহী। চট্টগ্রামের হয়ে শতকের সুযোগ ছিল ইরফান শুক্কুর ও শাহাদাত হোসেনের।
কিন্তু ইরফান মাত্র ১ রানের জন্য শতক পাননি, আউট হয়ে গেছেন ৯৯ রানে। শাহাদাতের ইনিংস থেমেছে ৮৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও রাজশাহীর ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট রাজশাহী দ্বিতীয় দিন শেষে করেছে ৬ উইকেটে ৯৯। চট্টগ্রাম থেকে এখনো তারা ২ রানে পিছিয়ে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেট ১৭২ রানে এগিয়ে আছে। আগের দিন ১২৫ রানে অলআউট হওয়ার পর আজ রংপুরকে ১৮১ রানে থামিয়েছে জাকির হাসানের দল। সিলেটের হয়ে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার আবু জায়েদ ও রেজাউর রহমান।
দ্বিতীয় ইনিংসে নাসুম আহমেদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। ১৭ রানে ২ উইকেট হারালেও চারে নামা নাসুম করেন ৭১ রান। ৭৩ রানে অপরাজিত আছেন জাকের আলী। তাঁদের অর্ধশতকে সিলেট দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে, লিড ১৭২ রানের।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬৭ রানে এগিয়ে আছে বরিশালও। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বরিশাল প্রথম ইনিংসে করেছে ২৩৯ রান। জবাবে খুলনা আজ তাদের প্রথম ইনিংসে করে ২১৪ রান, সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন এনামুল হক। বরিশালের হয়ে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। ২৫ রানে এগিয়ে থাকা বরিশালকে অবশ্য নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি খুলনা। অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ৪ উইকেট নিলে বরিশাল দিন শেষে ৪২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে।