সারাকে নিয়ে আম্বানির অনুষ্ঠানে গিল, তবে কি...
নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলা একরকম নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই প্রথম দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ চারে জায়গা পাকা করে ফেলবে রোহিত শর্মার দল। লঙ্কানদের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটা হবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
ম্যাচটি খেলতে তিনদিন আগেই বলিউডের শহরে পা রেখেছে রোহিত শর্মার দল। স্বাভাবিকভাবে দলের সঙ্গে মুম্বাইয়ে গেছেন শুবমান গিলও। তবে পরশু রাতে কিছু সময়ের জন্য রোহিত–কোহলিদের সঙ্গে একই হোটেলে ছিলেন না গিল। রোহিতের উদ্বোধনী সঙ্গী কার সঙ্গে ছিলেন, সেটা শিরোনাম পড়েই বুঝে ফেলার কথা—শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার।
সারার সঙ্গে গিলের মন দেওয়া–নেওয়া চলছে, এমন গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। পুনেতে গত ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে গিলের একেকটা বাউন্ডারি ও অর্ধশতকের পর ভিআইপি স্ট্যান্ডে বসা সারাকে করতালি দিতে দেখা গেছে। যদিও দুই পক্ষের কেউই নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি।
তবে পরশু রাতে পাপ্পারাজ্জিদের ক্যামেরায় একসঙ্গে ‘ধরা’ পড়ে গেলেন গিল ও সারা। টাইমস অব ইন্ডিয়া, জাগরণসহ ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মুম্বাইয়ের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকার বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে গতকাল থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় শপিং মল ‘জিও ওয়ার্ল্ড প্লাজা’। এই শপিং মলের মালিক ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। শপিং মলের উদ্বোধন উপলক্ষে বলিউড ও ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল আম্বানি পরিবার। মাধুরী দীক্ষিত, ক্যাটরিনা কাইফ, সুনীল শেঠি, জন আব্রাহাম থেকে শুরু করে হালের আলিয়া ভাট, রাশমিকা মান্দানা, জাহ্নবী কাপুর—অনেককেই রেড কার্পেট মাতাতে দেখা গেছে।
সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন গিল–সারাও। টেন্ডুলকার–কন্যা সারা পরেছিলেন লাল জামা, গিলের পরনে ছিল কালো পোশাক। অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গেই বের হচ্ছিলেন তাঁরা। ঠিক সে সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা নজরে পড়ে গিলের। নিজেকে আড়াল করতে সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ান গিল। থামিয়ে দেন সারাকেও।
এর কিছুক্ষণ পর একাই গাড়িতে চড়ে বসেন। সে সময় সারা ভেতরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। গিল চলে যাওয়ার পর সারা বের হয়ে আরেকটি গাড়িতে বসেন। তাঁদের এই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
এ বছরটা অবিশ্বাস্য কাটছিল গিলের। সব সংস্করণেই রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন। তবে বিশ্বকাপের আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় সেই ছন্দে কিছুটা ছেদ পড়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি ভারতীয় ওপেনার। সর্বশেষ চার ম্যাচে খেললেও পুরোনো রূপের দেখা মেলেনি (৪ ইনিংসে ১০৪ রান)। আসল খেলাটা আজ সারার শহর মুম্বাইয়েই দেখাবেন কি না, কে জানে!