‘ফোন কাছেই আছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চাইলেই ফোন করতে পারে’
কে হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়ক? অ্যারন ফিঞ্চের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সামনেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়ার দৌড়ে আছেন কয়েকজন। তবে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও প্যাট কামিন্সের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে।
চার বছর আগে কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং–কাণ্ডে দুই বছরের জন্য নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন স্মিথ। সেটি কাটিয়ে গত বছর নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে একটি টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
তবে স্মিথের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগ্রহ আছে কি? নেতৃত্ব পেলে নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্মিথ সরাসরি কিছু বলেননি, উল্টো দিয়েছেন অবসরের ইঙ্গিত, ‘দেখি কী হয়! যদি তারা (বোর্ড) আমাকে দায়িত্ব নিতে বলে, সত্যি করে বললে আমি আসলে এ মুহূর্তে জানি না কী করব। আমার বয়স হচ্ছে। অবসরের তালিকায় পরবর্তী নামটা তো আমারও হতে পারে। তাই দেখা যাক, কী হয়!’
প্যাট কামিন্স টেস্ট দলে নেতৃত্ব দিলেও সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকটাই কঠিন কামিন্সের জন্য। কামিন্স বলেছেন, ‘সব সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়া, সব ম্যাচ খেলা আমার মনে হয় না বাস্তব কোনো চিন্তা। একজন পেসারকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আপনার সময় খুঁজে বের করতেই হবে।’
স্মিথ ও কামিন্সের পর বাকি থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়কত্ব নেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কিছু না বললেও ওয়ার্নার যে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, তা স্পষ্ট তাঁর কথাতেই। তবে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পথে তাঁর সবচেয়ে বড় বাধা কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং–কাণ্ড।
যে কারণে আজীবন অস্ট্রেলিয়ার কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই তিনি নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। এ নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে আগেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ওয়ার্নার। সংবাদমাধ্যম ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’কে ওয়ার্নার আরও একবার জানালেন আগ্রহের কথা, ‘আমার ফোন কাছেই আছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চাইলেই ফোন করতে পারে। যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। ভালো দিক হচ্ছে, বোর্ডে পরিবর্তন এসেছে। আমি সব সময়ই বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে রাজি।’
তবে ওয়ার্নার মনে করেন, সবার আগে অধিনায়কত্বের সুযোগটা আসবে কামিন্সের সামনে। যদিও খেলার চাপের কথা বিবেচনা করে সে দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে পারেন, এমন আঁচ পাওয়া গেছে কামিন্সের কথাতেই। টেস্ট অধিনায়ক কামিন্স চান নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হোক। ওয়ার্নারকে দুর্দান্ত একজন নেতা হিসেবে আখ্যা দিলেও কামিন্স জানিয়ে রেখেছেন, অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত তাঁদের হাতে নেই।