‘মুশফিক ভাই বলেছেন, জোনে বল পেলে মেরে দাও’—ঝড়ের পর বললেন রিশাদ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা বাংলাদেশের তখনো প্রয়োজন ৫৮ রান। এমন পরিস্থিতিতে আরেকটি উইকেট পড়লে চাপ আরও বাড়ত। সে সময় উইকেটে থাকা মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দিতে নামেন রিশাদ হোসেন। কিন্তু সঙ্গ দেওয়ার বদলে রিশাদ নিজেই হয়ে ওঠেন ম্যাচ জেতানোর নায়ক!
রিশাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত সহজেই জিতেছে বাংলাদেশ। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ বল হাতে রেখেই এসেছে ৪ উইকেটের জয়। সেই সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নেয় নাজমুল হোসেনের দল।
ব্যাট হাতে প্রথম বলেই স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে শুরু করেন রিশাদ। পরের বলে এলবিডব্লুর রিভিউ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে আম্পায়ার্স কলের কারণে রিশাদ বেঁচে যান সে যাত্রায়। এরপর অবশ্য আর ফিরে তাকাননি ২১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ১৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেছেন ৪৮ রানের চোখধাঁধানো অপরাজিত ইনিংস।
ম্যাচসেরা রিশাদ পুরস্কার বিতরণীতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচটা জিততে পারায় আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমে আমি একটু নার্ভাস ছিলাম, পরে আমি ব্যাটে-বলে ভালোভাবেই সংযোগ করতে পেরেছি।’
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিশাদের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং বিপদ ডেকে আনতে পারত বাংলাদেশের জন্য। সে সময় তাঁর সঙ্গে উইকেটে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। মুশফিক তাঁকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে রিশাদ বলেছেন, ‘মুশফিক ভাই বলেছেন, তোমার জোনে (জায়গায়) বল পেলে মেরে দাও।’ অভিজ্ঞ সতীর্থের কাছ থেকে সাহস পেয়ে রিশাদও আর ফিরে তাকাননি। বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে থেমেছেন।
ম্যাচ শেষে ব্যাটে-বলে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও। নাজমুল বলেছেন, ‘তানজিদ খুব ভালো ব্যাট করেছে। মুশি যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা আমার মতে রিশাদের ইনিংসটি খেলতে সহায়তা করেছে। এ ধরনের উইকেটে বোলাররা নিজেদের চিনিয়েছে। পেসাররা খুবই ভালো বল করেছে। মাঝের ওভারে মেহেদীও খুব ভালো বল করেছে।’