মিকি আর্থারের বিশ্বাস ‘স্পেশাল’ নাহিদ রানা ও ‘ধারাবাহিক’ মেহেদী যাবেন অনেক দূর

পেসার নাহিদ রানার সঙ্গে রংপুর রাইডার্স কোচ মিকি আর্থারশামসুল হক

বড় জয়ে এবারের বিপিএল শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৪০ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্লোবাল সুপার লিগ জিতে আসা দলটি। দলটি দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার জয়ে শুরু করতে পেরে খুশি। আর্থার খুশি মেহেদী হাসান ও নাহিদ রানার বোলিং দেখেও। পাকিস্তানকে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতানো কোচ খুশি আরেকটি কারণেও।

এবারের আগে একবারই বিপিএলে কোনো দলের দায়িত্বে ছিলেন আর্থার। ২০১৫ সালে ঢাকা ডায়নামাইটস দলের সঙ্গে থাকা আর্থার প্রায় ১০ বছর পর আবার বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে জড়ালেন। ১০ বছর আগে-পরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পার্থক্য দেখছেন কি, কাল ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরও দিতে হলো তাঁকে।

দুই সময়ের তুলনা টেনে বর্তমান সময়টাকেই এগিয়ে রাখলেন আর্থার, ‘অনেক আগে এসেছিলাম ঢাকায়। ২০১৫ সালে ঢাকায় কাজ করার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজ করেছি আমি। কাজটা উপভোগ করেছি। এখন দারুণ একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আছি, উপভোগ করে যাচ্ছি। ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে আমি বলব তারা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। আজ বেশ ভালো লেগেছে। প্রায় ফুল হাউস ছিল আজ, সোমবারের বিকেলে এত দর্শক দেখে দারুণ লেগেছে। ২০১৫ সালের চেয়ে এই সময়ের পরিবেশ আমার বেশি ভালো লাগছে।’

প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান
প্রথম আলো

দল জিতেছে। ঢাকার প্রথম ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে রংপুরের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। দারুণ ফর্মে থাকা মেহেদীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করলেন আর্থার, ‘গত ছয় সপ্তাহে সে দারুণ করেছে। গ্লোবাল সুপার লিগে সে আমাদের হয়ে ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেই ফর্মটা টেনে নিয়েছে। এখানেও সে ভালো করে যাচ্ছে। সাদা বলে সে দারুণ স্কিলফুল একজন বোলার। বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে। দারুণ এক ক্রিকেটার। আমি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই দেখি।’

আরও পড়ুন

রংপুর কোচ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নাহিদ রানাকেও। বাংলাদেশের গতি তারকাকে টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারে ব্যবহারের কথাই বললেন আর্থার, ‘সে স্পেশাল। বাংলাদেশ থেকে এমন গতিময় বোলার উঠে আসাটা দারুণ। অনেক ভালো। সে অনেক দূর যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। গতি আছে, লেংথ ভালো, দারুণ ধারাবাহিক। মাঝের ওভারে সে দারুণ ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঝের ওভারে আপনি উইকেট নিতে চাইবেন। সে ওই সময়ে দলের জন্য দারুণ শক্ত অপশন ছিল।’

৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়েছেন নাহিদ রানা
প্রথম আলো

আর্থার তো প্রশংসা করবেন-ই। মাঝের ওভারে বোলিং করে ৩ ওভারে ১১ রান দিয়েছেন নাহিদ রানা। তাঁকে কোনো চার-ছয় মারতে পারেননি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা।

আরও পড়ুন