শেষ বলে ইশ সৌধির ছক্কা ছাপিয়ে সুপার ওভারে জয় শ্রীলঙ্কার
সুপার ওভারে আর পারল না নিউজিল্যান্ড। শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ টাই করে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের সুযোগ এনে দিয়েছিলেন ইশ সোধি। তবে সুপার ওভারে কিউই ব্যাটসম্যানরা সেই সুযোগটা নিতে পারলেন না। মহেশ তিকসানার বলে নিউজিল্যান্ডের করা ৮ রান লঙ্কানরা টপকে গেছে ৪ বল হাতে রেখেই। আগে ব্যাট হাতে ৬৭ রান করার পর সুপার ওভারেও ১০ রান নিয়ে ম্যাচসেরা চারিত আসালাঙ্কা। নিউজিল্যান্ড সফরে এটি লঙ্কানদের প্রথম জয়।
এর আগে টেস্টে ২-০ ব্যবধানে হারার পর লঙ্কানরা ওয়ানডে সিরিজও হেরেছিল ২-০ তে। এই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ওয়ানডে সিরিজ হেরে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারানো শ্রীলঙ্কা।
ইডেন পার্কের ছোট বাউন্ডারিতে শ্রীলঙ্কার ১৯৬ রান খুব বেশি ছিল না। তবে দলীয় ৩ রানের মধ্যেই কিউই দুই ওপেনার ফিরে গেলে খানিকটা বিপদেই পড়ে টম ল্যাথামের দল। তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক ল্যাথাম করেন ২৭ রান। তবে কিউইদের জয়ের আশা দেখাতে শুরু করেন ড্যারিল মিচেল।
অধিনায়ক ল্যাথামের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ার পর মার্ক চ্যাপম্যানের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন এই ব্যাটসম্যান। ১৬তম ওভারে মিচেল আউট হলেও এরপর জিমি নিশাম, রাচিন রবীন্দ্ররা কিউইদের ইনিংস পথেই রাখেন। শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তবে প্রথম বলে রবীন্দ্র আউট হয়ে গেলে ম্যাচে লঙ্কানরা এগিয়ে যায়। শেষ বলে সোধির ওই ছক্কাতেই ম্যাচ টাই হয়। মহেশ তিকসানা ২২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই পাতুম নিশাঙ্কা আউট হলেও লঙ্কানরা দারুণ শুরু করে। কুশল মেন্ডিস করেন ৯ বলে ২৫ রান। ১৬ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা কুশল পেরেরা করেন অপরাজিত ৫৩ রান।
তবে শ্রীলঙ্কাকে ২০০ রানের কাছাকাছি নিয়ে যায় আসালাঙ্কার ৬৭ রানের ইনিংস। রানটা আরও বেশি হতে পারত, তবে শেষ ৫ ওভারে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা থাকার পরও শ্রীলঙ্কা ৫০ রানও করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন জিমি নিশাম।