দুয়া লিপা নেই, কারা থাকছেন ফাইনালের সাংস্কৃতিক আয়োজনে
বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন না করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই)। পরে অবশ্য ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগে সীমিত আকারে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যবস্থা করে বিসিসিআই।
তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না হলেও বেশ কিছু আয়োজন থাকছে বিশ্বকাপের সমাপনী দিনে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালের আগে এবং খেলার মাঝে রাখা হয়েছে নানা আয়োজন। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে কারা পারফর্ম করবেন, তা জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১ লাখ ৩২ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে মঞ্চ মাতাতে দেখা যাবে বলিউডের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তীকে।
কয়েক দিন ধরে পপ তারকা দুয়া লিপার পারফর্ম করার গুঞ্জন শোনা গেলেও বিসিসিআইয়ের দেওয়া তালিকায় তাঁর নাম দেখা যায়নি। তবে এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এ ছাড়া ভারতের সাবেক দুই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনিসহ ক্রিকেট, রাজনীতি ও বিনোদন জগতের তারকাদের দেখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিন ম্যাচের আগে বেলা ২টা ৫ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিটের মধ্যে থাকছে এয়ার-শোর আয়োজন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষায়িত একটি দল এই শোটি উপস্থাপন করবে। এর মধ্যে সেই শোর মহড়াও হয়েছে স্টেডিয়ামে। এয়ার–শো শেষ হওয়ার ১০ মিনিট পরেই মাঠে গড়াবে ভারত–অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল। এরপর প্রথম ইনিংসের পানি পানের বিরতির সময় পারফর্ম করতে দেখা যাবে কোক স্টুডিওর গুজরাটি সংগীত তারকা আদিত্য গাধভিকে।
তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ প্রীতমসহ বলিউডের অন্যান্য সংগীত তারকাদের পারফরম্যান্স দেখা যাবে প্রথম ইনিংসের পর, ম্যাচের বিরতিতে। এ সময় প্রীতম ছাড়া পারফর্ম করতে দেখা যাবে জনিতা গান্ধী, নাকাশ আজিজ, অমিত মিশ্র, আকাশা সিং ও তুষার যোশীকে। বিসিসিআইয়ের সূচিতে না থাকলেও ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম ৫০০ জন নৃত্যশিল্পীর নাচ পরিবেশন করার কথাও জানিয়েছে। আয়োজন অবশ্য এতটুকুতেই শেষ হচ্ছে না। দ্বিতীয় ইনিংসের পানি পানের বিরতিতে লেজার এবং লাইট শোর আয়োজন রেখেছে বিসিসিআই।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বাইরে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়কদের জন্যও বিসিসিআই বিশেষ আয়োজন রাখছে বলে জানিয়েছে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বিশ্বজয়ী অধিনায়কদের বিশেষ ব্লেজার দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
যেসব অধিনায়ককে ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড (১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক), ভারতের কপিল দেব (১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক), অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার (১৯৮৭ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক), অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ (১৯৯৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক), ভারতের ধোনি (২০১১ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক), অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্ক (২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক) এবং ইংল্যান্ডের এউইন মরগান (২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক)।
তবে পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান এবং শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে কি হয়নি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।