বিশ্বকাপ দলে নিজের চেয়ে গিলকে বেশি পছন্দ ধাওয়ানের
ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গী কে হতে পারেন? এই মুহূর্তে উত্তরটা অনুমান করা সহজই হয়তো—শুবমান গিল। মাত্র ২৪টি ওয়ানডে খেলেই ভারতের ওয়ানডে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছেন এই ব্যাটসম্যান।
ওপেনিংয়ে যাঁদের সরিয়ে দিয়ে গিল জায়গা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন শিখর ধাওয়ান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের চেয়ে রোহিতের সঙ্গী হিসেবে গিলকেই প্রথম পছন্দ নির্বাচকদের। শেষ দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে ওপেন করা ধাওয়ানের নাকি এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। উল্টো বললেন, তিনি নির্বাচক হলেও নাকি এমন সিদ্ধান্তই নিতেন।
গিল ও ধাওয়ান—দুজনের ক্যারিয়ার এখন বিপরীতমুখীই বলা যায়। গিল মাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছেন, সামনে তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ার পড়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ধাওয়ান ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা আসলে পার করে এসেছেন। ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে ধাওয়ান শেষ খেলেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে, বাংলাদেশ সফরে। ব্যাট হাতেও ইদানীং ফর্মে নেই। শেষ ১০ ইনিংসে ফিফটি মাত্র ১টি, ছয়বার আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে।
অন্যদিকে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন গিল। ২৪ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে রান করেছেন ৬৫.৫৫ গড়ে। এরই মধ্যে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে দ্রুততম এক হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন। ১৯ ইনিংসে মাইলফলকটি ছুঁয়ে গিল টপকে গেছেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলিকে। হাজার রান করতে এই দুজনের লেগেছিল ২৪টি করে ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন গিল। ওয়ানডের ইতিহাসে ডাবল সেঞ্চুরি করা সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারও তিনি। এমন ফর্মে থাকা একজনকে কি দলের বাইরে রাখা যায়!
ধাওয়ান নিজেও এই বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন, ‘আমি যদি নির্বাচক হতাম, আমিও নিশ্চিতভাবে শুবমানকেই সুযোগ দিতাম। এই মুহূর্তে শুবমান যেভাবে খেলছে, তাতে ধাওয়ানের আগে তাকেই নিতাম। সে টে-টোয়েন্টি ও টেস্টেও পারফর্ম করছে। শুবমান এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার চেয়ে বেশি খেলছে।’
ভারত শেষবার আইসিসি ট্রফি জিতেছিল ২০১৩ সালে। সেই টুর্নামেন্টে সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন ধাওয়ান। এ বছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায়ও ছিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
তবে দুই সংস্করণে গিলের দারুণ পারফরম্যান্স ও নিজের ফর্মহীনতাই তাঁর বাদ পড়ার কারণ বলে মনে করছেন ধাওয়ান, ‘রোহিত যখন অধিনায়কত্ব পেল, ও এবং রাহুল দ্রাবিড় আমার পাশে ছিল। তারা আমাকে পরের বিশ্বকাপে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। ২০২২ সালটাও আমার ভালো গিয়েছিল। ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ছিলাম। কিন্তু এই সময়ে একটা তরুণ ছেলে দুই সংস্করণে ভালো করতে লাগল, আমার ফর্ম যখন দুয়েকটা সিরিজে পড়তির দিকে ছিল, তখন তারা শুবমানকে সুযোগ দিয়েছে। গিল তাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।’