কোহলি জিম্বাবুয়েতে গিয়ে শতরান করলে লাভ কী!
বিরাট কোহলি কি ভারতের জিম্বাবুয়ে সফরে খেলতে যাবেন। কেউ কেউ মনে করছেন, ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ইদানীং যে ফর্মে আছেন, তাতে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে যদি কিছু রান করে ফর্মে ফিরতে পারেন! আগামী কদিনের মধ্যেই জিম্বাবুয়েতে তিনটি ওয়ানডে খেলতে যাবেন। সেখানে বরাবরের মতোই দ্বিতীয় সারির একটি দল পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে বিসিসিআই। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, বিরাট কোহলিদের মতো ক্রিকেটারদের ছাড়াই জিম্বাবুয়ে যাবে ভারত। তবে কোহলির ফর্ম হিসাব করে তাঁর জিম্বাবুয়ে সফরের পক্ষে মতামত এসেছে। তবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিস মনে করেন, কোহলি যদি জিম্বাবুয়েতে যান, সেটি তাঁর জন্য খারাপ হবে।
অনেক দিন ধরেই ফর্মে নেই কোহলি। শতরান পান না তিন বছর হতে চলল। বছরের শুরু থেকেই ব্যাটে মারাত্মক খরা তাঁর। আইপিএলটা গেছে গড়পড়তা। শূন্য মারার রেকর্ড করেছেন সেখানে। সে সময়ই অনেক বিশেষজ্ঞ তাঁকে আইপিএল ছেড়ে বিশ্রামে যেতে বলেছিলেন। সেটি না করলেও আইপিএলের পর বিশ্রামে যান কিছুদিনের জন্য। সেই বিশ্রাম থেকে ফিরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও সীমিত ওভারের সিরিজে ভালো করবেন, এমন প্রত্যাশাই ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডে বাজেভাবে ব্যর্থ তিনি। এতটাই খারাপ খেলছেন যে টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
ভারতের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টাইরিস বলেছেন, ‘আমি প্রথমেই বলি নিতে চাই, ভারতীয় নির্বাচকেরা জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য যে চিন্তাভাবনা করছে, সেটি আমার কানে এসেছে। তারা কেবল সেখানে সেরা খেলোয়াড়দের দিয়ে একটি দল বানিয়ে পাঠিয়ে দিতে চাচ্ছে না। দলটা গঠন করতে চাচ্ছে একটা কর্মপদ্ধতিকে মাথায় রেখে। আমি নিউজিল্যান্ডের নির্বাচকদের সঙ্গে এমন কর্মপদ্ধতি নিয়ে বহুবার আলাপ করতে চেয়েছি। সুতরাং ভারতীয় নির্বাচকেরা যে এভাবে ভাবছে, সেটি দেখে ভালো লাগছে। আমার কাছে মনে হয়, জিম্বাবুয়েতে কোহলির যাওয়াটা মোটেও সঠিক ব্যাপার হবে না।’
কোহলিকে এ মুহূর্তে পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে সরে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন স্টাইরিস, ‘কোহলি ক্রিকেট থেকে এ মুহূর্তে পুরোপুরি দূরে থাকুক। নির্বাচক ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কোহলিকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তাঁর কতটা সময় লাগবে। আমি মনে করি, জিম্বাবুতে কোহলির যাওয়া উচিত নয়। সেখানে তার পাওয়ার কিছু নেই। সেখানে সে শতরান পেতেই পারে, কিন্তু তা দিয়ে লাভ কী! সেটি তাঁকে আত্মবিশ্বাস দিতে পারে, কিন্তু আখেরে খুব বেশি লাভ হবে বলে মনে হয় না।’