নড়বড়ে নয়, ‘নব্বইয়ে’ কনওয়ে যেখানে ষষ্ঠ
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে শেষ ওভারের আগে ডেভন কনওয়ের রান ছিল ৮৯। তাঁর দুর্ভাগ্য, শেষ ওভারে মাত্র ১টি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাতে ৩ রান এলেও নিউজিল্যান্ড ওপেনার নিশ্চিতভাবেই আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। সেঞ্চুরিটা যে হলো না!
কনওয়ে ৫৮ বলে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম লেখালেন। এই টুর্নামেন্টে ‘নব্বইয়ে’-এ অপরাজিত থাকা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান কনওয়ে। ‘নার্ভাস’ শব্দটা যোগ করা যাচ্ছে না, কারণ তাঁরা আউট হননি। এ তালিকায় আগের পাঁচজন ছিলেন ডানহাতি, বাঁহাতি কনওয়ে এখানে ব্যতিক্রম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘৯০’-এ ইনিংস শেষ করা (আউট ও নটআউট মিলিয়ে) নবম ব্যাটসম্যান কনওয়ে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত তিন ব্যাটসম্যান নার্ভাস নাইন্টিজে নড়বড়ে নব্বইয়ে (৯০ থেকে ৯৯) আউট হয়েছেন। সবার আগে এই দুর্ভাগ্য মেনে নিতে হয়েছে ক্রিস গেইলকে। ব্রিজটাউনে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৯৮ রানে আউট হন গেইল।
নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হওয়া মিরপুরও দেখেছে। সেখানে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৪ রানে আউট হন পাকিস্তানের উমর আকমল। এরপর দুবাইয়ে গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৩ রানে আউট হন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল।
কনওয়ে যেহেতু আউট হননি, তাই তিনজনের এই তালিকায় তাঁর নাম নেই। ৯০-এ তাঁর আগে অপরাজিত থাকা বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যান হলেন হার্শেল গিবস, তিলকরত্নে দিলশান, মাহেলা জয়াবর্ধনে, লুক রাইট ও রেসি ফন ডার ডুসেন।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯০ রানে অপরাজিত ছিলেন সাবেক প্রোটিয়া ওপেনার গিবস। দুই বছর পর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন দিলশান। পরের বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ব্রিজটাউনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান কিংবদন্তি জয়াবর্ধনে।
২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও নার্ভাস নাইন্টিজে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান দেখেছে। কলম্বোয় সেবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন লুক রাইট। বেচারা! এরপর গত সংস্করণে শারজায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন রেসি ফন ডার ডুসেন। তারপর আজ সেই অপরাজিত নাইন্টিজদের তালিকায় যোগ দিলেন কনওয়ে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৯০-এ অপরাজিত থাকা ৪৪তম ব্যাটসম্যান কনওয়ে।