স্মিথের কাছে ভারতে সিরিজ জয় অ্যাশেজের চেয়েও বড়
২০০৪ সালের পর ভারতে আর টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিং–শেন ওয়ার্ন–গ্লেন ম্যাকগ্রাদের ‘মহাপরাক্রমশালী’ ওই দলটার পর শুধু হতাশার গল্প লিখেছেন তাঁদের উত্তরসূরিরা। গত দেড় যুগে ভারতে খেলা চার টেস্ট সিরিজের সব কটিতে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া।
শুধু তা–ই নয়, নিজেদের মাটিতেও ভারতের কাছে সর্বশেষ দুটি টেস্ট সিরিজে পেরে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া। ৮ বছর ধরে তাই বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি রয়ে গেছে বিরাট কোহলি–রোহিত শর্মাদের কাছে। যদিও এবারের দল নিয়ে বেশ আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার সাবেকরা। তবে স্টিভেন স্মিথ–ডেভিড ওয়ার্নারদের কাছে ভারতে সিরিজ জয় পর্বত ডিঙানোর মতো ব্যাপার মনে হচ্ছে।
২০১৭ সালে ভারতের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। স্মিথ অধিনায়ক আর ওয়ার্নার ছিলেন তাঁর সহকারী। কিন্তু ২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
বৃহস্পতিবার নাগপুর টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি। এবার স্মিথ–ওয়ার্নার খেলবেন প্যাট কামিন্সের অধীনে। নেতৃত্বে না থাকলেও দুই ব্যাটিং স্তম্ভের কাছ থেকে নিশ্চয়ই বড় ইনিংস প্রত্যাশা করছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ সামনে রেখে স্মিথ বলেছেন, ‘সিরিজ জয় দূরে থাক, ভারতে একটা ম্যাচ জেতাও কঠিন। এই পর্বত ডিঙাতে পারলে বিশাল ব্যাপার হবে। আমার কাছে ভারতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারা হবে অ্যাশেজ সিরিজের চেয়েও বড় প্রাপ্তি।’
স্মিথ–ওয়ার্নাররা এবার ব্যতিক্রমী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারতের স্থানীয় দলের সঙ্গে গা গরমের ম্যাচ না খেলে পিচের ওপর নিজস্ব টার্ফ বসিয়ে অনুশীলন করছেন। ‘নকল’ স্পিন–সহায়ক উইকেটে তাঁদের অনুশীলন এরই মধ্যে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। তবে ওয়ার্নার ভারতের স্পিন আক্রমণ সামলাতে মুখিয়ে আছেন, ‘বিশ্বের সেরা স্পিনারদের বিপক্ষে খেলতে আমি উন্মুখ। সর্বশেষ অ্যাশেজ দলের অংশ হতে পারা চমৎকার ব্যাপার ছিল। তবে ভারতের মাটিতে ওদের হারানো আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।’
ভারতের মাটিতে টেস্টে ব্যাট হাতে স্মিথের রেকর্ড দুর্দান্ত। ১২ ইনিংসে ৬০ গড়ে ৬৬০ রান করেছেন তিনি, আছে তিনটি সেঞ্চুরি। ওয়ার্নার অবশ্য বেশ পিছিয়ে। ১৬ ইনিংসে ২৪.২৫ গড়ে করেছেন ৩৩৮ রান।