প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১০০ উইকেট অ্যান্ডারসনের
ঠিক আগের দুটি বলে চার মেরে অ্যালেক্স ক্যারি তখন দারুণ ছন্দে। একটিকে কাট শটে, আরেকটিকে ফ্লিক শটে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে যেন ‘লড়াই’য়েরই আহ্বান জানিয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসনকে। ৪০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ইংলিশ পেসারও সাড়া দিলেন। যে সাড়ায় টানা দুই চারের পরের বলেই বোল্ড ক্যারি। থামলেন ৬৬ রান করা ক্যারি, ভাঙল অস্ট্রেলিয়ার ১১৮ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে ক্যারির আউটে দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অ্যান্ডারসন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর ১১০০তম উইকেট। লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের ইতিহাসে ১১০০ বা তারও বেশি উইকেট আছে আরও ১৬৭ জনের। তবে একুশ শতকে ক্যারিয়ার শুরু করা বোলারদের মধ্যে অ্যান্ডারসনই প্রথম।
অ্যান্ডারসনের ১১০০ উইকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অ্যান্ডারসনের ১১০০ উইকেট হল ৪০ বছর ৩২৩ দিন বয়সে। গ্রাহাম গুচের পর তিনিই ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট উইকেট নেওয়া সবচেয়ে বেশি বয়সী বোলার।
গুচ ১৯৯৪ সালের ব্রিজবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল স্ল্যাটারের উইকেট নিয়েছিলেন ৪১ বছর ১২৪ দিন বয়সে।
দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রিকেট স্ট্যাটিস্টিয়ানস অ্যান্ড হিস্টিরিয়ান্সের তথ্য অনুসারে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১০০ উইকেট নেওয়া ১৬৮তম বোলার জিমি অ্যান্ডারসন।
৪২০৪ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ইংল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার উইলফ্রেড রোডস, যাঁর ক্যারিয়ার ব্যপ্তি ছিল ১৮৯৮ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত।
চলতি শতাব্দীতে মাত্র পাঁচজন পেসার হাজার উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার মার্টিন বিকনেল (১০৬২) ও ডেভন ম্যালকম (১০৫৪) এবং পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম (১০৪২) ১১০০ উইকেটের আগেই থেমে গেছেন।
১১০০ উইকেটের ঘরে অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আছেন অ্যান্ডি ক্যাডিক। ২০০৯ সালে খেলা ছেড়ে দেওয়া ক্যাডিক নিয়েছেন ১১৮০ উইকেট। ক্যাডিকের পর অ্যান্ডারসন ছাড়া আর কেউ ১১০০–এর ঘরে ঢুকতে পারেননি।
অ্যান্ডারসনের অভিষেকের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আর কারও এক হাজারও নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৫০ উইকেট ইংল্যান্ডের টিম মারটাগের।
অ্যান্ডারসনের শতকের মাইলফলক ছোঁয়া উইকেটের মধ্যে টেস্টে উইকেট ৭টি। অ্যালেক্স ক্যারি ১১০০তম উইকেট হওয়ার আগে ৯০০তম ভারতের মোহাম্মদ শামি (২০১৮), ৮০০তম দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক (২০১৭), ৬০০তম অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার (২০১৩), ৫০০তম শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নে (২০১২), ৪০০তম পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির (২০১০) ও ৩০০তম ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (২০০৯)।