শ্রীলঙ্কা কি দিল্লি থেকে ম্যাচ সরাতে বলেছিল
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে খেলা ছাপিয়ে আলোচনায় দিল্লির বায়ুদূষণ। দুই দল একে অন্যকে নিয়ে ভাবার সঙ্গে দূষণ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।
দিল্লির এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সার্জিক্যাল মাস্ক পরে ফিল্ডিং করার ছবি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশও দিল্লিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলার সময় একই সমস্যায় পড়েছিল। সে হিসেবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই দলের কাছেই দিল্লির দূষণ নতুন নয়। তবে এবারের সমস্যাটা একটু বেশিই মনে হচ্ছে। এবার ভারতের রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা বা একিউআই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সবাইকে। এমনকি গুঞ্জন উঠেছে, এ ম্যাচটা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নাকি অনুরোধও গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা দলের কাছ থেকে। কাল শ্রীলঙ্কা দলের আগের সংবাদ সম্মেলনেও উঠল প্রসঙ্গটা।
দলের ম্যানেজার মাহিন্দা হালানগোদা ব্যাপারটা খোলাসা করতে গিয়ে বাংলাদেশের অনুশীলন বাতিলের প্রসঙ্গ টেনেছেন, ‘ব্যাপারটা পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমরা আসলে এ ধরনের কোনো অনুরোধ করিনি। বাংলাদেশ দল এখানে অনুশীলন বাতিল করেছে, তাই আমরা আইসিসিকে ব্যাপারটা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তাদের পরিকল্পনা কী। তারা জানিয়েছে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আইসিসি কিছু দূষণ নিরোধক যন্ত্রপাতি বসিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা আমাদের জানিয়েছে, খেলা সূচি অনুযায়ীই হবে।’
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সমীকরণে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের খুব একটা গুরুত্ব নেই। দুই দলই ছন্দহীন। শেষ চারে থাকার আশাও নেই। বাংলাদেশ ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে। শ্রীলঙ্কা সমান ম্যাচে জিতেছে দুটিতে, হেরেছে পাঁচটিতে। এর মধ্যে সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের কাছে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় কুশল মেন্ডিসের দল।
তবে দুই দলের সামনেই একটা ‘কমন’ লক্ষ্য আছে। ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে হলে পয়েন্ট তালিকার আটের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশ এখন নয়ে, শ্রীলঙ্কা আছে সাতে। অবস্থানটা ধরে রাখতে বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্ব দিয়ে খেলতে চান মেন্ডিসরা, ‘আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে বহুবার খেলেছি। আমার খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস আছে। আমরা কোন কোন জায়গায় খারাপ খেলেছি, সেটা আমরা জানি। বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ভালো খেলবে বলেই মনে করি আমি।’