অস্ট্রেলিয়া দলে আরও করোনা আক্রান্তের ভয় কোচের
লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড করোনায় আক্রান্ত। এদিকে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভে নিজেদের গ্রুপে পয়েন্ট তালিকায় বেকায়দা অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচের একটিতে জয়, একটিতে হার এবং অন্য ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দলকে। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ১–এর চারে অস্ট্রেলিয়া। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে।
এর মধ্যে আরও একটি খারাপ খবর শোনালেন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
অস্ট্রেলিয়া দলে আরও খেলোয়াড় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ম্যাকডোনাল্ড। কিন্তু দলের যা পরিস্থিতি, খুব বেশি মাথা ঘামানোরও সুযোগ নেই। অস্ট্রেলিয়া কোচ তাই করোনা নিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘(আরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা) যেভাবে এটি শুরু হয়েছে, তাতে এই সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
কোভিডে আক্রান্ত হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ওয়েডকে খেলাতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আইসিসি জানিয়েছিল, কোনো খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হলেও খেলতে পারবেন।
ম্যাকডোনাল্ড এ নিয়ে বলেছেন, ‘(আক্রান্ত হওয়ার পক্ষে) সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো ওয়েডকে আজ (কাল) খেলানো হতো—অর্থাৎ প্রত্যেকই কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত এই ভাইরাসে। হ্যাঁ, অ্যাডাম জাম্পা একটু অসুস্থ ছিল। তাকে সেভাবেই পরিচর্যা করে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েডের বিষয়টি ভিন্ন। তার কোনো লক্ষণ নেই এবং খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল। আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে দল থেকে আলাদা করা হয়েছিল। সম্ভবত তখনই প্রথম ওকে আলাদা রেখে আমরা দল নিয়ে কাজ করেছি। এমনটা সাধারণত হয় না। কিন্তু হ্যাঁ, অন্য সব দলকেই এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’
এমসিজিতে কাল বৃষ্টির কারণে ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ম্যাথু ওয়েডকে এ সময় মাস্ক পরে দূর থেকে সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়া এখন করোনা নিয়ে নিয়ম শিথিল করলেও মহামারি চলাকালীন খুব কঠোর ছিল। মহামারির সময় মেলবোর্নে ২৬২ দিনের লকডাউন ছিল।
তবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ যেভাবে করোনা নিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে, তা গত বছরও ছিল না। তখন অস্ট্রেলিয়া দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একটি ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ আগে স্থগিত করা হয়েছিল এক সাপোর্ট স্টাফ পজিটিভ হওয়ার কারণে।
এরপর খেলোয়াড়েরা ৪৮ ঘণ্টা বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে ছিলেন। সেই সাপোর্ট স্টাফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর সঠিক নয়, তা নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচটির সূচি পুনরায় ঠিক করা হয়।