ভিডিওতে ইমরানকে না রাখায় পিসিবিকে ক্ষমা চাইতে বললেন আকরাম

পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামফাইল ছবি: এএফপি

ভিডিওটা পোস্ট করার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পিসিবি দেশটির ক্রিকেট ইতিহাস নিয়ে যে ভিডিও পোস্ট করে, সেখানে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাখা হয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেটের অফিশিয়াল পেজ থেকে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে দেশটির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের নাম না থাকায় এবার পিসিবির সমালোচনা করেছেন আরেক কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।

ভিডিও দেখে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আকরাম। পিসিবিকে ভিডিওটি মুছে ফেলে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড টুইটার পেজে ওয়াসিম লিখেছেন, ‘লম্বা ফ্লাইট ও ট্রানজিট পার করে শ্রীলঙ্কায় এলাম। এসে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেলাম। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাস নিয়ে পিসিবির ছোট্ট ভিডিওতে দেখলাম, ইমরান খান নেই…।’

১৯৫২ সাল থেকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাস নিয়ে সাজানো ভিডিওতে ইমরান খানের না থাকার কারণটা যে রাজনৈতিক, তা অবশ্য অনুমান করাই যায়। ক্রিকেট ছাড়ার পর ইমরান খান গড়ে তুলেছিলেন তেহরিক-ই-ইনসাফ নামের রাজনৈতিক দল। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন তিনি।

ওয়াসিম আকরাম ও ইমরান খান

তবে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ইমরানকে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়। সম্প্রতি ইমরানকে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কারাগারে রেখেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের তৎপরতা শুরু হয়েছে।

ওয়াসিম তাঁর টুইটের বাকি অংশে রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যটা বাদ দিই। কিন্তু ইমরান খান বিশ্ব ক্রিকেটের আইকন। পাকিস্তানকে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তোলার পথ দেখিয়েছেন তিনি। পিসিবির উচিত ভিডিও মুছে ফেলা ও ক্ষমা চাওয়া।’

ওয়াসিমের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক উরুজ মুমতাজও। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসের রোমন্থন করা হচ্ছে, সেখানে ১৯৯২ বিশ্বকাপের ১১টি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু দেশের হয়ে খেলা সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের একটা ছবিও নেই! ইমরান খান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।’

আরও পড়ুন

পিসিবি অবশ্য ১৪ আগস্ট পোস্ট করা সেই ভিডিও এখনো মুছে ফেলেনি। ২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ভিডিওটি এখনো পিসিবির সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।