মুম্বাইয়ের গরমটা একটু অন্য রকম। তাপমাত্রা ৩২-৩৩ ডিগ্রি। তা ৪১ ডিগ্রির মতো অনুভূত হবে বললেও মনে হচ্ছে আরও বেশি। দুপুরের রোদে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই ঘেমেনেয়ে অবস্থা খারাপ।
মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের প্রথম অনুশীলন সেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা দুইটা থেকে। প্রচণ্ড রোদ আর গরমের সঙ্গে ভালোমতো পরিচিত হতেই হয়তো কাল বেলা একটায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নেমে গেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেট অনুশীলনে প্রথাগত যা হয়, সেটিই হলো। গা গরমের ফুটবল, নেটে ব্যাটিং-বোলিং, উইকেটকিপারের আলাদা কিপিং প্র্যাকটিস। সাংবাদিকেরা এসব দেখেন, দেখতে দেখতে কখনো চোখও সরিয়ে নেন। তবে একজনকে বলতে গেলে সারাক্ষণ অনুসরণ করে গেল সবার চোখ। সাকিব আল হাসান কী করছেন?
গা গরমের পর ব্যাটিং করলেন দুই দফায়। ১৭ অক্টোবর পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দুই দিন আগে যা করেছিলেন, অনেকটা তা-ই। সেদিনও বোলিং করেননি, কালও নয়।
১৩ অক্টোবর চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের ঊরুতে পাওয়া চোট ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে দেয়নি। যদিও ম্যাচের দিন সকালেও খেলবেন বলেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন মাঠে। শেষ পর্যন্ত না খেলাটা নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে। মূলত পরের ম্যাচগুলোর জন্য ঝুঁকি হয়ে যায় কি না, সে কথা ভেবে। আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কি তাহলে খেলবেন?
বাংলাদেশ দল থেকে এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। সাকিবের চোট নিয়ে অদ্ভুত এক লুকোচুরি চলছে। চেন্নাইয়ে করানো প্রথম স্ক্যানে কী এসেছিল, সেটি পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। পুনেতে দ্বিতীয়বার স্ক্যানের খবরটাই আনুষ্ঠানিকভাবে না। সাকিবের চোটটা কী, সেটাও নানা সূত্র থেকে সাংবাদিকদের বের করতে হয়েছে।
অথচ এই বিশ্বকাপেই অন্য দলের ক্রিকেটাররাও চোট পেয়েছেন। ম্যাচ শেষ হতে না হতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চোটের ধরন। কত দিনের জন্য বাইরে চলে যাচ্ছেন, সেটিও। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচে চোট পাওয়া কেইন উইলিয়ামসন ও হার্দিক পান্ডিয়াই যথেষ্ট।
সাকিবের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ, চোটের খবর জানিয়ে দিলে তা নাকি বিভ্রান্তি ছড়াবে। যদিও তথ্য গোপন করলেই বরং উল্টোপাল্টা খবর হয়ে তা বেশি বিভ্রান্তি ছড়ায়। তা ছড়াচ্ছেও।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার রাবীদ ইমামের কাছ থেকে সর্বশেষ যা জানা গেল, তাতে সাকিব এই ম্যাচে খেলবেন বলেই আশা করা হচ্ছে এখনো। ওই চোট পাওয়ার পর আজই প্রথমবারের মতো বোলিং করবেন, একটু জোরে দৌড়াদৌড়িও। স্বচ্ছন্দে এসব করতে পারছেন কি না, তার ওপরই নির্ভর করছে সব।