- টস
- ফিরলেন তাসকিন, ইয়াসির
- কিষাণের সঙ্গে কুলদীপ
- মোস্তাফিজকে টানা দুই চার কিষাণের
- সেই মিরাজেই প্রথম ব্রেকথ্রু
- কোহলিকে জীবন দিলেন লিটন
- ছুটছেন কিষাণ, কোহলির সঙ্গে ফিফটি জুটি
- ভারতের ১০০, সেঞ্চুরির পথে কিষাণ
- আরেকটি সুযোগ
- ১০০ রানের জুটি
- বৃথা গেল সাকিবের চেষ্টা
- কিষাণের সেঞ্চুরি
- ২০০ দেখছেন কিষাণ
- চট্টগ্রামে অসহায় বাংলাদেশ
- বাউন্ডারি ছাড়া ওভার
- কিষাণের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরি
- ২১০ রান করে থামলেন কিষাণ
- ফিরলেন শ্রেয়াসও
- সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডেতে কোহলির ১০০
- ভারতের ৫০০ হয়ে যেতে পারে, মনে করেন জনি বেয়ারস্টো
- ৩ বলের মধ্যে ফিরলেন রাহুল ও কোহলি
- ৪৭.২ ওভারে ভারত ৩৯০/৬
- ভারতের ৪০০
- ৪০৯ রান তুলে থামল ভারত
- ৩ ওভারে ১৮
- ঈশান কিষাণ ও সুযোগ কাজে লাগানোর গল্প
- ফিরলেন এনামুল
- আজও পারলেন না মুশফিক
- কী করবে বাংলাদেশ?
- বাংলাদেশের ১০০
- ইয়াসির এলবিডব্লিউ
- ফিফটির আগেই থামলেন সাকিব
- ক্রিজে মিরাজ
- ড্রেসিংরুমে মিরাজ
- রইল বাকি এক
- ২২৭ রানে হার বাংলাদেশের
স্বাগত
২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে, বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন ভারতকে ধবলধোলাই। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
টস
টানা তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। এবার বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ফিরলেন তাসকিন, ইয়াসির
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আছে দুই পরিবর্তন। দলে ফিরেছেন চোটের কারণে আগের দুই ম্যাচে না খেলা তাসকিন আহমেদ। আছেন ইয়াসির আলীও। তাঁদের জায়গা করে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদউল্লাহ, ইয়াসির আলী, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবাদত হোসেন।
কিষাণের সঙ্গে কুলদীপ
ভারত দলেও আছে দুটি পরিবর্তন। দুটিই অবশ্য চোটের কারণে। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও দীপক চাহার ছিটকে গেছেন, দলে এসেছেন ঈশান কিষাণ ও কুলদীপ যাদব। অধিনায়কত্ব করতেছেন লোকেশ রাহুল।
ভারত একাদশ
ঈশান কিষাণ, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক।
ভারতকে ধবলধোলাই করতে পারবে বাংলাদেশ?
মোস্তাফিজকে টানা দুই চার কিষাণের
মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আরেক প্রান্তে ওপেন করতে এসেছেন তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেলে আঁটসাঁট বোলিং করার পর কিষাণকে জায়গা দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ, তাতে হয়েছে টানা দুই চার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের পর বাউন্ডারি এসেছে পয়েন্ট দিয়ে।
ভারত ৩ ওভারে ১৫/০।
সেই মিরাজেই প্রথম ব্রেকথ্রু
দুই বাঁহাতির সামনে পঞ্চম ওভারে অফ স্পিনার মিরাজকে এনেছেন লিটন। মিরাজ সফল হলেন প্রথম বলেই। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলে ব্যাট নিয়ে গিয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। ব্যাট প্যাডের খুব কাছাকাছি ছিল, আম্পায়ার মাইকেল গফ শুরুতে দেন নটআউট। বাংলাদেশ সফল হয়েছে রিভিউ নিয়ে। আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে, ব্যাতের আগেই প্যাডে লেগেছিল বল। মিরাজের ডেলিভারির ট্র্যাজেক্টরি যেমন ছিল, তাতে দেখার বিষয় ছিল ইনসাইড-এজই। এরপরই আসলে নিশ্চিত হয়ে গেছে, আউট হচ্ছেন ধাওয়ান।
স্বপ্নের এক সিরিজে মিরাজ সফল আরেকবার।
কোহলিকে জীবন দিলেন লিটন
নিজের দ্বিতীয় ওভারে কোহলির উইকেটও পেতে পারতেন মিরাজ। শর্ট মিডউইকেটে অধিনায়ক লিটন ফেলেছেন সহজতম ক্যাচ। ফ্লিক করতে গিয়ে আলগা ক্যাচ তুলেছিলেন কোহলি, ব্যক্তিগত ১ রানে। ঠিক পরের বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরে লিটনের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন কোহলি।
ভারত ৩৫/১, ৭ ওভার।
ছুটছেন কিষাণ, কোহলির সঙ্গে ফিফটি জুটি
সুযোগ পেয়েই ঝলক দেখাচ্ছেন কিষাণ। ইবাদতকে পাঞ্চ করে চারের পর এক পা তুলে পুল করে মেরেছেন ছক্কা। এরপর এসেছে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার। মাঝে লেগ বাই থেকে এসেছে আরেকটি চার। ধাওয়ান ফেরার পর কোহলির সঙ্গে জমে উঠছে কিষাণের জুটি, যেটি পেরিয়ে গেছে ফিফটি। ইবাদতের করা ১২তম ওভারে উঠেছে ১৮ রান, ১২ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬৭ রান ভারতের।
পরের ওভারে সাকিবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেছেন কিষাণ।
ভারতের ১০০, সেঞ্চুরির পথে কিষাণ
ইনসাইড-আউট, হাঁটু তুলে মারা পুল—চট্টগ্রামে চলছে ‘কিষাণ-শো’। ১৭তম ওভারে পানি পানের বিরতির সময় ভারত পেরিয়ে গেছে ১০০, কিষাণ অপরাজিত ৬৬ বলে ৭৫ রানে। ফিফটির পর গতি বাড়িয়েছেন, শেষ ১৭ বলে তুলেছেন ২৫ রান। কোহলির সঙ্গে কিষাণের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৮৮ রানে, যাতে কোহলির অবদান ১৯ রান।
আরেকটি সুযোগ
আবার লিটনের ক্যাচে কোহলির ক্যাচ? মোস্তাফিজকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলেছিলেন কোহলি। সামনে ডাইভ দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। বল হাতে গেলেও তার আগেই পড়েছে মাটিতে। লিটন নিজেই সংশয়ে ছিলেন, সফট সিগন্যালও ছিল নট আউট। রিপ্লেও নিশ্চিত করেছে সেটি।
১০০ রানের জুটি
এবার মোস্তাফিজকে অন ড্রাইভে চার মেরেছেন কোহলি। কিষাণের সঙ্গে সে শটেই সেঞ্চুরি জুটি হয়ে গেছে তাঁর। ৮৯ বলেই দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠে গেল ১০০ রান। ২০ ওভারে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১১৬ রান।
বৃথা গেল সাকিবের চেষ্টা
মিরাজকে শর্ট বলে তুলে মেরেছিলেন কিষাণ, মিডউইকেট থেকে লং অনের দিকে ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। শুরুতে হাত থেকে বেরিয়ে গেছে মনে হলেও ক্যাচটি নিয়েছেন বলে দাবি করছিলেন সাকিব। পরে নিজেই দেখাচ্ছিলেন, হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েও ক্যাচটা মাটিতে পড়েনি, পড়েছিল হাতের ওপর। রিপ্লেতেও দেখা গেছে সেটিই। তবে সে হাতে পড়লেও শেষবার ক্যাচটি নেওয়ার আগে বল পড়েছিল মাটিতে। কিষাণ তাই অক্ষতই আছেন।
কিষাণের সেঞ্চুরি
দুর্দান্ত খেলছেন কিষাণ। ২৪তম ওভারের প্রথম বলে আফিফকে চার মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ৮৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন।
২০০ দেখছেন কিষাণ
সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী হয়ে উঠেছেন কিষাণ। ২৬তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে মেরেছেন দুই ছক্কা। সাকিবের করা পরের ওভারে তুলেছেন ২০ রান, যেখানে কিষাণের একার অবদানই ১৯। দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। মিরাজের পরের ওভারেও খুনে মেজাজে ছিলেন কিষাণ। তুলেছেন ১২ রান। ৮ ছক্কা ও ১৭ চারে ১০৬ বলে ১৫৮ রানে অপরাজিত কিষাণ। ৫৪ বলে ৫০ রানে ব্যাট করছেন কোহলি।
ভারত ২৮ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২১৭।
চট্টগ্রামে অসহায় বাংলাদেশ
২০ ওভারে ভারতের রান ছিল ১ উইকেটে ১২৭।
৩২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৬৯!
কিষাণের সঙ্গে কোহলির জুটি পেরিয়ে গেছে ২৫০। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে চতুর্থবার কোনো জুটি ২৫০ ছুঁয়ে ফেলল। সর্বোচ্চ ২৮২ রানের জুটি (হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক) স্বাভাবিকভাবেই হুমকির মুখে।
বাউন্ডারি ছাড়া ওভার
মোস্তাফিজের করা ৩৩তম ওভারে বাউন্ডারি আসেনি কোনো। সর্বশেষ ২১তম ওভারে হয়েছিল এমন, যেটি করেছিলেন সাকিব।
কিষাণের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরি
মোস্তাফিজের ফুলটসে এক্সট্রা কাভারে খেলেছিলেন কিষাণ, সেটি চার হয়েছে ভেবে উদ্যাপন শুরু করে দিয়েছিলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ওই বলে ১ রানের বেশি আসেনি। এরপর আরেকটি সিঙ্গেল নিয়ে কিষাণ পৌঁছে যান ১৯৯ রানে।
ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিলেন, নিয়েই ছুটলেন। ড্রেসিংরুম বরাবর গিয়ে দিলেন এক লাফ। কোহলি অবশ্য ব্যাট তুলেছিলেন আগেই। চট্টগ্রামে ঈশান কিষাণ খেললেন এক জীবনের ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটিকেই রূপ দিলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। সেটিও মাত্র ১২৬ বলে। ওয়ানডে ইতিহাসে এখন এটিই দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি। আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের, ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
ওয়ানডেতে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নবম ডাবল সেঞ্চুরিটি করলেন কিষাণ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ইনিংসে সর্বোচ্চ রান—চার্লস কভেন্ট্রির অপরাজিত ১৯৪ রানের ইনিংসের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন কিষাণ।
৩৫ ওভারে ২৯৫ রান তুলে ফেলেছে ভারত।
২১০ রান করে থামলেন কিষাণ
তাসকিনকে তুলে মেরেছিলেন। লং অনে অবশেষে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়লেন। ১৩১ বলে ২১০ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলার পর থামলেন ঈশান কিষাণ।
ক্যাচটি নেওয়ার পথে আরেকটু হলে মিরাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে যেতে পারত লিটনের, শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন ভালোভাবেই।
ফেরার পথে কিষাণ অভিনন্দন পেলেন বাংলাদেশ দলেরও। লিটন দাস তো অনেকটা পথ দৌড়ে গিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে এলেন লিটনও। কিষাণের ইনিংসটি ছিল এমনই বিশেষ কিছু। আউট হওয়ার আগে কোহলির সঙ্গে কিষাণের জুটিতে উঠেছে ২৯০ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে ওয়ানডেতে এখন এটিই সর্বোচ্চ।
ফিরলেন শ্রেয়াসও
কিষাণের ইনিংসে যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের গ্যালারি। অল্প সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার উদ্যাপনের সুযোগ পেলেন স্বাগতিক দর্শকেরা। ইবাদত হোসেনের বলে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। অন্যদিকে অবশ্য সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে গেছেন কোহলি, তাঁর রান ৯৭।
সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডেতে কোহলির ১০০
ইবাদত হোসেনের বলে ফ্লিক করে ছয়, বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাতেই। লাগল ৮৫ বল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কোহলির এটি ৭২তম সেঞ্চুরি। তবে ওয়ানডেতে এর আগে সর্বশেষ কোহলি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ২০১৯ সালের আগস্টে।
ভারতের ৫০০ হয়ে যেতে পারে, মনে করেন জনি বেয়ারস্টো
৩ বলের মধ্যে ফিরলেন রাহুল ও কোহলি
ইবাদত হোসেনের ইয়র্কারে বোল্ড লোকেশ রাহুল। এরপর সাকিবকে ইনসাইড-আউট শট খেলতে গিয়ে লং অফে মিরাজের হাতে ধরা পড়লেন কোহলি। ৯১ বলে ১১৩ রান করে থেমেছেন কোহলি। ভারত পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৩৪৪ রানে। তাদের ৪০০-এর আগে আটকে রাখতে পারবে বাংলাদেশ?
৪৭.২ ওভারে ভারত ৩৯০/৬
তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে ডেকে আনলেন অক্ষর প্যাটেল। ৩৯০ রানে ভারত হারাল ষষ্ঠ উইকেট। ইনিংসে বাকি ২.৪ ওভার।
ভারতের ৪০০
৪৮.৩ ওভারে ৪০০ রান ছুঁয়ে ফেলল ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই প্রথম ৪০০ রানের ঘটনা। এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ইংল্যান্ডের, ৩৯১/৪।
সাকিবের করা ৪৯তম ওভারে আবার বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
৪০৯ রান তুলে থামল ভারত
টসে জিতে ফিল্ডিং, পঞ্চম ওভারে ১৫ রান তুলতেই নেই প্রতিপক্ষের ১ উইকেট। চট্টগ্রামে এরপর যা হলো, টসের সময় তেমন কিছু হয়তো ভাবতে পারেননি লিটন দাস। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের এ উইকেটে রান মিলবে, সেটি বোঝা গিয়েছিল আগেই। সেখানেই ঈশান কিষাণ খেললেন ২১০ রানের ইনিংস। বিরাট কোহলি কাটালেন ওয়ানডে সেঞ্চুরি-খরা। ভারত তুলে ফেলল ৮ উইকেটে ৪০৯ রান।
কিষাণ এ ম্যাচে খেলছেন চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া অধিনায়ক রোহিতের জায়গায়। সে সুযোগটা কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন তিনি। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন তিনি ও কোহলি দুজনই। সে সব কাজে লাগিয়েছেন দুর্দান্ত ভাবে।
১৭ ওভারে ১০০ রান তোলা ভারত ২০০ ছুঁয়ে ফেলে ২৬.৪ ওভারেই। পরের ১০০ রানও আসে ৯.৪ ওভারে। সে সময় শুধু ৪৫০ কেন, ৫০০-এর সম্ভাবনাও ছিল। ভারত অবশ্য শেষ ১০ ওভারে তুলতে পেরেছে ৭০ রান, এ সময়ে ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষের এই বোলিং পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে কতটা উজ্জীবিত করতে পারে, দেখার বিষয় সেটি।
অবশ্য ভারতকে ধবলধোলাই করতে গেলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। এখন পর্যন্ত ৪০০ বা এর বেশি রান তাড়া করে ওয়ানডেতে জেতার ঘটনা আছে একটিই। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রান টপকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৩ ওভারে ১৮
দ্বিতীয় ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ইনিংসের প্রথম চারটি মেরেছেন লিটন, পরে মোহাম্মদ সিরাজকে মেরেছেন আরেকটি। সিরাজকেই পুল করে মিডউইকেট দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছয়টি মেরেছেন এনামুল হক। প্রথম ৩ ওভারে উঠেছে ১৮ রান।
ঈশান কিষাণ ও সুযোগ কাজে লাগানোর গল্প
আজ জয়-পরাজয় যে দলকেই আলিঙ্গন করুক, তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু ভারতের জন্য ম্যাচটা ছিল ধবলধোলাই এড়ানোর সুযোগ। ম্যাচের ফলাফল শেষ পর্যন্ত যা–ই হোক, কিষান-কোহলিদের সৌজন্যে অন্তত জয়ের মঞ্চটা প্রথম ইনিংসেই পেয়ে গেছে ভারত।
ফিরলেন এনামুল
পঞ্চম ওভারে প্রথমবারের মতো এলেন স্পিনার। অক্ষর প্যাটেলকে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিলেন এনামুল। ৩৩ রানে বাংলাদেশ হারাল প্রথম উইকেট। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে উইকেট হারিয়েছিল ভারতও, তখন তাদের রান ছিল ১৫।
চট্টগ্রামে ভাঙল যে সব রেকর্ড
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস—চট্টগ্রামে ভাঙল যেসব রেকর্ড...
গেলেন লিটনও
সিরাজকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিলেন লিটন। ২৬ বলে ২৯ রানের ইনিংসে মেরেছিলেন দারুণ চারটি বাউন্ডারি, তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক থামলেন এখানেই। ৪৭ রানে বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
৩০০ না করার 'আক্ষেপ' কিষাণের!
১৫ ওভার আগেই আউট হয়েছি। ৩০০-ও করতে পারতাম!
চট্টগ্রামে তৃতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসের গল্প
আজও পারলেন না মুশফিক
অক্ষর প্যাটেলের বলে সরে গিয়েছিলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। তবে সুইপের চেষ্টা ব্যর্থ হলো মুশফিকুর রহিমের। মিস করে হারালেন লেগ স্টাম্প। ১৩ বলে ৭ রান করেই আউট মুশফিক। সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ২৬ রান। বাংলাদেশ ৭৩/৩।
কী করবে বাংলাদেশ?
১৫ ওভারে বাংলাদেশ ৮৮/৩।
প্রয়োজনীয় রান রেট এখনোই ৯.২০। ক্রিজে মোটামুটি সাকিব আল হাসান, তাঁর সঙ্গী ঘরের ছেলে ইয়াসির আলী। ১৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৮৫ রান। উইকেটসংখ্যায় বাংলাদেশ বেশ পিছিয়েই, তার ওপর আছে ৪০৯ রান তাড়া করার চাপ। এমন পরিস্থিতি থেকে কী করতে পারেন সাকিবরা?
শুরুতে ৩ উইকেট হারানোর পর অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে ম্যাচ শেষের দিকে নিয়ে যাওয়া। চট্টগ্রামের এ উইকেটে থিতু হতে পারলে বড় স্কোর খুব কঠিন নয়। আপাতত অবশ্য বড় একটি জুটি লাগবে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের ১০০
১৮.৫ ওভার, কুলদীপের বলে সাকিবের নেওয়া সিঙ্গেলে ১০০ হয়ে গেল বাংলাদেশের। ঠিক পরের বলেই লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন ইয়াসির।
ইয়াসির এলবিডব্লিউ
পেসার এলেন, এসেই নিলেন উইকেট। উমরান মালিকের গতিতে পরাস্ত ইয়াসির আলী। লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি, ৩০ বলে ২৫ রান করে। আম্পায়ার মাইকেল গফ নট আউট দিয়েছিলেন, তবে সফল হয়েছে লোকেশ রাহুলের রিভিউ। ২০ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৩৪ রানেই থামল সাকিব-ইয়াসিরের জুটি।
ফিফটির আগেই থামলেন সাকিব
কুলদীপের বলটি জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বটম-এজড হয়ে বোল্ড হলেন সাকিব। ৪৩ রানেই থামতে হলো তাঁকে। ১২৪ রান তুলতেই ফিরে গেলেন পাঁচ ব্যাটসম্যান।
ক্রিজে মিরাজ
উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ, সঙ্গী একজন টেল-এন্ডার।
সিরিজে এ দৃশ্যটা নতুন নয় মোটেও। তবে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ, তাতে মিরাজের কোনো বীরত্বও যথেষ্টর চেয়ে কম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মিরাজ ক্রিজে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর। ওয়াশিংটন সুন্দরের টার্ন করে ভেতরের দিকে ঢোকা বল মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। রিভিউ করলেও কাজে আসেনি তা। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে ডিপ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন আফিফও। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী তাসকিন আহমেদ।
এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক গ্যালারি ফাঁকা হয়ে গেছে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের। ১২৬ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬২ রান। বাকি ৩ উইকেট।
ড্রেসিংরুমে মিরাজ
এবং ফিরে গেলেন মিরাজও। শার্দুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে তুলে মারতে গিয়ে কাভারে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন সিরিজে বাংলাদেশের নায়ক। ৫ বলে ৩ রানেই থামতে হলো তাঁকে, আগের দুই ম্যাচে যিনি ছিলেন অপরাজিত।
রইল বাকি এক
আরেকটি এলবিডব্লিউ, আরেকটি রিভিউ ব্যর্থ। এবার শার্দুলের বলে ফিরতে হলো ইবাদতকে। ৯ উইকেটে ১৪৯ রান বাংলাদেশের, ৩০ ওভার শেষে।
২২৭ রানে হার বাংলাদেশের
উমরান মালিকের বলে বোল্ড মোস্তাফিজ। ৩৪তম ওভারের শেষ বলে ১৮২ রানেই থামল বাংলাদেশ।
ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে এসে হারতে হলো ২২৭ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসেবে বাংলাদেশের এর চেয়ে বড় ব্যবধানে হার আছে মাত্র একটি। ২০০০ সালে পাকিস্তানের কাছে ২৩৩ রানে হেরেছিল তারা। কোনো টেস্টখেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ভারতের এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
৪০৯ রানের লক্ষ্য, বাংলাদেশ চাপে ছিল প্রথম ইনিংস শেষেই। সেটিই সামলাতে পারেনি তারা। ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটে ২০০ রানের আগেভাগেই থেমে যাওয়া ধাক্কা দিতে পারে ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসে। এ সিরিজে মিরাজ ছাড়া ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ ছিলেন কমবেশি সবাই, আজও থাকলেন। অন্যদিকে প্রাপ্তি দিয়েই শেষ হলো ভারতের সিরিজ।
২০১৫ সালে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর শেষ ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও হলো তেমনই। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্বাগতিকদের।
বলছেন রাহুল
ব্যাটসম্যানরা সাহস দেখিয়েছে, বোলিংয়েও আমরা তেমনই থাকতে চেয়েছি।
ম্যাচসেরা কিষাণ
উইকেট ও পরিস্থিতি ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। আমি শুধু ঠিকঠাক বল দেখে খেলতে চেয়েছি।
ম্যান অব দ্য সিরিজ মিরাজ
খুবই খুশি। প্রথমবার ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেলাম ওয়ানডেতে। আমার জন্য বড় মুহূর্ত।
লক্ষ্য নাগালের বাইরে ছিল, মনে করেন লিটন
(লক্ষ্য) ৩৩০-৩৪০ হলে হয়তো চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।