কোনো ম্যাচ না খেললেও মাসে ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা পাবেন বাবর

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাবর আজমইনস্টাগ্রাম

কিছুটা দেরিতে হলেও সম্প্রতি ২০২৪–২৫ মৌসুমে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের নাম প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২৫ সদস্যের তালিকা থেকে ফখর জামান, ইমাম উল হক, সরফরাজ আহমেদদের মতো পরিচিতরা যেমন বাদ পড়েছেন; আবার নতুন মুখ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন খুররম শেহজাদ, উসমান খান, মোহাম্মদ আব্বাসরা।

অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার তাড়া থাকায় ওয়ানডে স্কোয়াডের সদস্যরা চুক্তিপত্রে এখনো সই করতে পারেননি। এ কারণে পিসিবি ই–মেইলের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা খেলোয়াড়দের অনুমোদন পাওয়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা কোনো খেলোয়াড়ের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়েনি। তবু আয় বেড়েছে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদিদের।

কীভাবে? আইসিসির রাজস্ব থেকে পিসিবি যে অর্থ পায়, সেখান থেকে বাবরদের জন্য মাসিক বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। এই প্রতিশ্রুতি খেলোয়াড়দের আগেই দিয়ে রেখেছিল পিসিবি। ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের মাসিক আয়

* এই আয় ম্যাচ ফি ছাড়া, কোনো ম্যাচ না খেললেও এই অর্থ পাবেন।

বর্তমানে পাকিস্তানের একজন খেলোয়াড় টেস্ট ম্যাচপ্রতি পান ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৫ পাকিস্তানি রুপি (৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা), একটি ওয়ানডে খেলে পান ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬২০ রুপি (২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা) এবং একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললে দেওয়া হয় ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৪ রুপি (১ লাখ ৮০ হাজার টাকা)।

‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়ের তালিকায় আছেন দুজন—বাবর আজম ও সদ্য সাদা বলের দুই সংস্করণের নেতৃত্ব পাওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান। মাসে তাঁদের বেতন ৪৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি (১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা)।

পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি

বাবর ও রিজওয়ান আগে আইসিসির রাজস্ব থেকে পিসিবির বরাদ্দের অংশ হিসেবে পেতেন ১৫ লাখ ৩০ হাজার পকিস্তানি রুপি (৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা)। নতুন চুক্তি অনুযায়ী পাবেন ২০ লাখ ৭০ হাজার রুপি (৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা)। অর্থাৎ বাবর ও রিজওয়ান পুরো মাস বসে থাকলেও (কোনো ম্যাচ না খেললেও) ৬৫ লাখ ৭০ হাজার পাকিস্তানি রুপি (২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা) করে পাবেন।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে দুই তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহর সঙ্গে আছেন টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ। এই তিনজন পিসিবি থেকে মাসে ৩০ লাখ বেতন পাবেন। সঙ্গে বোর্ডের পাওয়া আইসিসির শেয়ার থেকে যোগ হবে ১৫ লাখ ৫২ হাজার পাকিস্তানি রুপি (৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা)। এর অর্থ, কোনো ম্যাচ না খেললেও পিসিবি থেকে আফ্রিদি, নাসিম ও মাসুদ মাসে ৪৫ লাখ ৫২ হাজার পাকিস্তানি রুপি (১৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা)।

আরও পড়ুন

এভাবে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা হারিস রউফ, সাজিদ খান, সৌদ শাকিল, শাদাব খানসহ ৯ খেলোয়াড়ের পিসিবি থেকে মাসে আয় হবে ২০ লাখ ৩৫ হাজার পাকিস্তানি রুপি (৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)। আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা আমের জামাল, কামরান গুলাম, খুররম শেহজাদ, উসমান খান, মির হামজাসহ ১১ খেলোয়াড়ের মাসিক আয় বেড়ে হবে ১২ লাখ ৬৭ হাজার পাকিস্তানি রুপি (৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা)।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা নাসিম শাহ বর্তমানে পাকিস্তান দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন
পিসিবি

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২৫ ক্রিকেটার ঘরোয়া ম্যাচ খেলে আয় করতে পারবেন। চার দিনের (প্রথম শ্রেণির) ম্যাচ খেললে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৯৮ পাকিস্তানি রুপি (২ লাখ ৭০ হাজার টাকা), ৫০ ওভারের (লিস্ট ‘এ’) ম্যাচ খেললে ৩ লাখ ২২ হাজার ৩১০ রুপি (১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা) ও টি–টোয়েন্টি ম্যাচপ্রতি ২ লাখ ৯ হাজার ২৯২ রুপি (৯০ হাজার টাকা) করে পাবেন বাবর–রিজওয়ান–আফ্রিদি–শাদাবরা।