‘সৌভাগ্যবান’ উইলিয়ামসনের ৭২৩ দিন পর সেঞ্চুরি
৭২৩ দিন পর!
আজকের আগে কেইন উইলিয়ামসন শেষ কবে সেঞ্চুরি করেছিলেন, তা মনে করতে হলে ফিরে যেতে হবে ১ বছর ১১ মাস ২৪ দিন আগে। ক্রাইস্টচার্চে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই গত বছর ৪ জানুয়ারিতে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কিউই তারকা। পরে সেটি ডাবলে রূপ দেন।
দিনের হিসেবে ৭২৩ দিন পর আজ আবারও তিন অঙ্কের দেখা পেলেন উইলিয়ামসন। করাচি টেস্টে আজ তৃতীয় দিনে তাঁর ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ৪৪০ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। ২ রানের লিড পেয়েছে সফরকারি দল।
বিনা উইকেটে ১৬৫ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ সকালের সেশনে সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার টম লাথাম (১১৩)। ৯২ রান তুলে সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে তুলে নেন স্পিনার নোমান আলী।
লাথামকে তুলে নেন আরেক স্পিনার আবরার আহমেদ। উইলিয়ামসন তিনে নেমে লাথামের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। এরপর হেনরি নিকোলসের (২২) সঙ্গে ৪১ এবং ড্যারিল মিচেলের (৪২) সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। নিকোলসকে তুলে নেন নোমান, মিচেলকে ফেরান আবরার। পঞ্চম উইকেটে টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। ৪৭ রান করা ব্লান্ডেলকে তুলে নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
১২৯তম ওভারে ওয়াসিমকেই মিড অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরির দেখা পান উইলিয়ামসন। তবে ব্যক্তিগত ১৫ ও ২১ রানে আউট হতে পারতেন। নোমানের স্পিনে তাঁকে দুবারই স্টাম্পড করার সুযোগ নষ্ট করেন উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদ। তাঁর আগে ব্যক্তিগত ১৩ রানে এলবিডব্লিউ হওয়া থেকেও বেঁচে যান উইলিয়ামসন।
শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করে ‘জীবন’ পাওয়ার দারুণ সদ্ব্যবহার করলেন উইলিয়ামসন। টেস্ট ক্রিকেটে এখন যে ‘ফ্যাব ফোর’ হিসেবে বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, জো রুট এবং উইলিয়ামসনকে ধরা হয়—এই চারজনের মধ্যে টেস্টে সেঞ্চুরিসংখ্যায় উইলিয়ামসনই সবার পেছনে। স্মিথের সেঞ্চুরিসংখ্যা ২৯, রুটের ২৮, কোহলির ২৭ এবং ২৫টি সেঞ্চুরি উইলিয়ামসনের।
উইলিয়ামসনের আগে নিউজিল্যান্ডের ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার কীর্তি গড়েন লাথাম। ২৮৮ মিনিট ব্যাট করে ১০ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান এই বাঁহাতি। ওপেনিং জুটিতে কনওয়েকে নিয়ে ১৮৩ রানের জুটি গড়েন লাথাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নতুন করে লেখেন দুজন। ২০০১ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে ১৮১ রানের জুটি গড়েছিলেন মার্ক রিচার্ডসন ও ম্যাথু বেল। পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন আবরার, নোমান ২ উইকেট।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৩৮ রান।