পান্ডিয়াদের ‘পিটিয়ে’ আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হায়দরাবাদের
আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আজ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলেছে প্যাট কামিন্সের দল।
আইপিএলে এত দিন দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু, যে ম্যাচে ৬৬ বলে ১৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল।
হায়দরাবাদের রেকর্ড রানের ম্যাচে অবশ্য সেঞ্চুরি কেউই করেননি। তবে ব্যাট হাতে ঝোড়া ইনিংস খেলেছেন হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মারা।
শুরুটা হয় হেডের হাত ধরে, ভারতের মাটিতে খেলা এর আগের ম্যাচে যিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন (গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ ফাইনালে)। আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে অভিষেক হওয়া কেনা মাফাখার দ্বিতীয় ওভার থেকেই নেন ২টি করে চার, ছয়সহ মোট ২২ রান।
এরপর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাত্রা শুধু বেড়েছেই। হেড পঞ্চাশের মাইলফলক স্পর্শ করেন ১৮ বলে, যা এবারের আসরের দ্রুততম। তবে কিছুক্ষণ পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়েন ভারতীয় তরুণ অভিষেক।
তিনে নামা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিফটিতে পৌঁছান ১৬ বলে।
হেড ও অভিষেকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে ২৮ বলে ৫০ রানে পৌঁছানো হায়দরাবাদ ১০০-এর দেখা পেয়ে যায় সপ্তম ওভারের শেষ বলেই।
ফিফটির রেকর্ড গড়া দুই ব্যাটসম্যান অবশ্য এরপর বেশি দূর এগোতে পারেননি। জেরাল্ড কোয়েৎজির বলে হেড ফেরেন ২৪ বলে ৬২ রানে আর পীযূষ চাওলার শিকার হওয়া অভিষেক ২৩ বলে ৬৩ রানে।
হায়দরাবাদকে রেকর্ডের পথে বাকিটা এগিয়ে দেন ক্লাসেন ও মার্করাম। দুই দক্ষিণ আফ্রিকান চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ৫৪ বলে ১১৬ রান। এর মধ্যে ক্লাসেন করেন ৩৪ বলে ৮০ রান, মার্করাম ২৮ বলে ৪২।
হায়দরাবাদের ঝড় থামাতে মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে নেন ৬ বোলার। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ৩৩ রান দেন শামস মুলানি, তা–ও ২ ওভার করেছেন বলে। বাকিদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরার বোলিং ফিগারই যা একটু ভদ্রস্থ, ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। এ ছাড়া অধিনায়ক পান্ডিয়া ৪৬, কোয়েৎজি ৫৭ ও মাফাখা ৬৬ রান দেন।
দলগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পর সম্প্রচার চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের মাঠকর্মীদের কৃতিত্ব দেন ক্লাসেন, ‘বিশ্বের সেরা মাঠকর্মী আছে আমাদের। অবিশ্বাস্য উইকেট। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বড় রানের ছন্দ ধরে দিয়েছিল।’