গতির ঝড় তুলে এবারের আইপিএলে আলোড়ন তুলেছেন মায়াঙ্ক যাদব। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের সেই ফাস্ট বোলার আজ বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে দিলেন ১৩ রান। গুজরাট টাইটানসের চতুর্থ ওভারের ঘটনা সেটি। সেই ওভার শেষে ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করা গুজরাটের স্কোর ৩৫/০। এম সিদ্ধার্থের করা পরের ওভারে সাই সুদর্শন ও শুবমান গিলরা তুললেন আরও ১২ রান। পাঁচ ওভারেই ৪৭ রান তুলে ফেলা গুজরাট নয়, লক্ষ্ণৌয়ে রোববারের আইপিএল ম্যাচটি জিতেছে স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক গিলের আউটের পর পথ হারানো গুজরাট শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে অলআউট ১৩০ রানে। তাতে ৩২ রানে ম্যাচটি জিতে লক্ষ্ণৌ চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গুজরাট আছে সাতে।
পাওয়ার প্লের শেষ বলে যশ ঠাকুরে বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২০ বলে ১৯ রান করেন গিল। গুজরাটের রান তখন ৫৪। ৮ বল পরেই রানটা ৫৬ হতেই বিদায় ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা কেইন উইলিয়ামসনের। ১ রান করা সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ফিরতি ক্যাচ দেন রবি বিষ্ণয়কে। ডান দিকে শূন্যে লাফিয়ে অসাধারণ এক নিয়েছেন বিষ্ণয়। স্কোর কার্ডে আরও ২ রান যোগ হতেই নেই ওপেনার সুদর্শনও। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ডিপ মিডউইকেটে বিষ্ণয়ের হাতে ক্যাচ দেন ২৩ বলে ৩১ রান করা সুদর্শন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো গুজরাটের হয়ে ব্যবধান কমানোর কাজ করেছেন রাহুল তেওয়াতিয়া। ২৫ বলে ৩০ রান করা তেওয়াতিয়া ফেরেন ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে। লক্ষ্ণৌর পেসার যশ ঠাকুর ২ বল পর নুর আহমেদকে ফিরিয়ে পেয়ে যান পঞ্চম উইকেট। ২৫ বছর বয়সী পেসার প্রথম বোলার হিসেবে ২০২৪ আইপিএলে ৫ উইকেট পেলেন। ৫ উইকেট নিতে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করেছেন যশ ঠাকুর।
এর আগে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করে লক্ষ্ণৌ। চারে নেমে ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস। এ ছাড়া অধিনায়ক রাহুল ৩১ বলে ৩৩ ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান নিকোলাস পুরান ২২ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।