খেলা শেষে নুরুল হাসানের মন্তব্যের পর থেকে বিতর্কটা শুরু হয়। যে বিতর্কে যোগ দিয়ে বাংলাদেশকে খোঁচা দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের বলব, লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার দায় ফেক ফিল্ডিং বা ভেজা কন্ডিশনকে দেবেন না। যদি একজন ব্যাটসম্যানও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারত, ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতত...অজুহাত খুঁজলে বড় হওয়া যায় না।’
ফেক ফিল্ডিং নিয়ে আলোচনায় এবার যোগ দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া।
ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটারের মতে বাংলাদেশের অভিযোগ সঠিক ছিল, ‘বাংলাদেশ সঠিক বিষয় নিয়েই অভিযোগ জানাচ্ছে। ওটা শতভাগ ফেক ফিল্ডিং ছিল। কোহলি বল হাতে না নিয়েও থ্রো করার ভঙ্গি করেছিল। মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার এবং তৃতীয় আম্পায়ার যদি ব্যাপারটা দেখত, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ ৫ রান পেনাল্টি হিসেবে পেত। কিন্তু তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ, আম্পায়ারের চোখ থেকে এত বড় ঘটনা এড়িয়ে গিয়েছে।’
১৮৪ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হয়। ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্ট্যান পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে।
কোহলির ফেক ফিল্ডিংয়ের ঘটনাটা অবশ্য বৃষ্টি নামার আগেই। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন যখন রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন, বল হাতে না থাকলেও ফিল্ডিংয়ের বল সংগ্রহ করে থ্রোর ভান করেছিলেন কোহলি। নিয়ম অনুযায়ী যা ৫ রান জরিমানাযোগ্য।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ম্যাচও হেরেছে ওই ৫ রানেই। আকাশ চোপড়া তাঁর টু্ইটে সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘বিষয়টি আম্পায়ারদের নজরে এলে তারা ৫ রান পেত। আর আমরাও ৫ রানে ম্যাচ জিতেছিলাম। ভারতীয় দল এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও এর পর থেকে আম্পায়ারদের আরও সতর্ক হতে হবে।’