ফাইনালে রান উৎসব না উইকেটের মিছিল—যা বললেন পিচ কিউরেটর
ক্রিকেটে জয়-পরাজয় নির্ধারণে মাঠের ভূমিকা থাকা নতুন কিছু নয়। এবারের বিশ্বকাপেই যেমন যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘বধ্যভূমি’ আর বোলারদের জন্য ‘স্বর্গ’ ছিল। এ নিয়ে হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। চার সপ্তাহের বিশ্বকাপ আজ বার্বাডোজে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শেষ হতে চলেছে।
টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাপক আলোচনায় থাকা উইকেট ফাইনালেও কি ম্যাচের ফলে বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে? আজ বার্বাডোজের যে মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনাল হচ্ছে, কেনসিংটন ওভাল নামের সেই মাঠ কি বোলারদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে, নাকি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেজাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাটসম্যানরাই রাজত্ব করবেন?
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভাল ফাইনালের আগে বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ আয়োজন করেছে। এর মধ্যে প্রথমটি গড়িয়েছিল সুপার ওভারে (ওমান-নামিবিয়া)। দুই ফাইনালিস্টের মধ্যে ভারত এখানে সুপার এইটের ম্যাচ খেলেছে। যে ম্যাচে আফগানিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রান তুলেছিল।
দেখা যাচ্ছে, ব্যাটিং-বোলিং দুটিই ভালো হওয়ার রেকর্ড আছে কেনসিংটন ওভালে। কিন্তু ফাইনালে ব্যাটসম্যান, বোলারদের মধ্যে কারা পাবেন বেশি সুবিধা? এ নিয়ে পিচ কিউরেটর উইনস্টন রেইডের সঙ্গে কথা বলেছে আইসিসির ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগ। ফাইনালে মাঠের সম্ভাব্য আচরণের ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পিচ থেকে শুধু ব্যাটসম্যানরা নন, বোলাররাও সাহায্য পাবেন। আমি ১৭ বছর ধরে এই পিচ প্রস্তুত করছি, সেই ২০০৭ সাল থেকে।’
দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় রেইড জানেন, মৌসুমি আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে এখানে কী করা দরকার, ‘জানুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে পিচ তৈরির কাজ চলেছে। এখন জুন, বৃষ্টির সময়। খুব বেশি পানি দেওয়া হয়নি। এখন যে পিচগুলো আছে, সেগুলো সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভালো হতে থাকে।’
এবারের আগে কেনসিংটন ওভালে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয়েছে ২০১০ সালে। সে বছরের ১৬ মে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৪৭ রান, ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে তাড়া করে জিতেছিল ১৭ ওভারে।