জাকিরে এমন ‘শূন্য’ প্রথম দেখল বাংলাদেশ
ভয়ে ভয়ে খেললেন যশপ্রীত বুমরার বল, শেষ পর্যন্ত আউট কিনা আকাশ দীপের বলে!
আজ কানপুরে বেশ অস্বস্তিকর এক ইনিংসই খেলেছেন জাকির হাসান। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে খেলেছেন ২৪ বল। কিন্তু রানের ঘর শূন্য। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং তো বটেই, এক থেকে তিনের মধ্যে ব্যাট করা আর কোনো ব্যাটসম্যানেরই এত বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা নেই।
ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে জাকিরই বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন। বুমরার প্রথম ওভারের ছয় বলে ব্যাটে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি, একটি বাউন্ডারি আসে বাই থেকে। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে আবার বোলিংয়ে বুমরা, ব্যাটিংয়ে জাকির। এবারও মেডেন। একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে বুমরার তৃতীয় ওভারেও।
শুরুর টানা ১৮ বল বুমরার মুখোমুখি হওয়ার পর ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজকে দুই বল খেলেন জাকির। এক ওভার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওভারে খেলেন এক বল, যে বল থেকে আসে লেগ বাইয়ে এক রান। ব্যাটে রান বের করতে হিমশিম খাওয়া জাকির শেষ পর্যন্ত রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়েই ক্যাচ দেন স্লিপে, মাঠ ছাড়েন ২৪ বলে শূন্য রান নিয়ে।
টেস্টে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার বিশ্ব রেকর্ডটি অনেক দূরের। ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে ৭৭ বল খেলেছিলেন জিওফ অ্যালট।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার ‘রেকর্ড’টি অবশ্য জাকিরের নয়। সেটি বোলার মঞ্জুরুল ইসলামের। ২০০২ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন ১০ নম্বরে নামা মঞ্জুরুল। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি বল খেলা ক্রিকেটার রাজিন সালেহ। এখানেও আছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে রাজিন চারে নেমে আউট হন ২৯ বলে ০ রানে।
আর ২০০৮ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফতাব আহমেদ শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন ২৫ বল খেলে। আফতাব নেমেছিলেন ৬ নম্বরে। এক থেকে তিনের মধ্যে খেলা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জাকিরের আগে সবচেয়ে বেশি বলে শূন্য রানে আউট ছিলেন ইমরুল কায়েস। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল ফিরেছিলেন ১৬ বল খেলে।
অবশ্য টেস্টে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার বিশ্ব রেকর্ডটি অনেক দূরের। ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে ৭৭ বল খেলেছিলেন জিওফ অ্যালট। ওই শূন্য রানের মাহাত্ম্য অবশ্য রানসংখ্যাতেই নয়, অ্যালট সেদিন ৭৭টি বল খেলেছিলেন ১১ নম্বরে নেমে!