শেষ ওভারের নাটকীয়তা কোহলির বেঙ্গালুরুর জয়
রাজস্থান রয়্যালসকে জিততে হলে করতে হতো ১৯০ রান। বড় এই লক্ষ্যের পেছনে ছুটে জয় পেতে রাজস্থান যাঁর ওপর বেশি ভরসা করতে পারত, সেই জস বাটলার আউট হয়ে ফেরেন প্রথম ওভারেই। কিন্তু যশস্বী জয়সোয়াল আর দেবদূত পাড়িক্কাল তাঁর অভাবটা বুঝতে দেননি। এ দুজন চলে যাওয়ার পর শেষ দিকে ধ্রুব জুরেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ম্যাচ নিয়ে যান শেষ ওভারে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ২০ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। এই লক্ষ্য পেরোনো সহজই মনে হচ্ছিল তাদের জন্য। সেই সময়ে যে উইকেটে দুই থিতু ব্যাটসম্যান জুরেল ও অশ্বিন। বল তাঁদের ব্যাটে ভালোই লাগছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা পারেননি রাজস্থানকে জেতাতে।
হর্শাল প্যাটেলের করা শেষ ওভার থেকে রাজস্থান অশ্বিনের উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১২ রান। এর মধ্যে প্রথম ৩ বল থেকে ১০ রান করেছেন অশ্বিন। চতুর্থ বলে আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি। এদিনও বিরাট কোহলির নেতৃত্বে নামা বেঙ্গালুরু জয় তুলে নেয় ৭ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে দলের মাত্র ১ রানে বাটলারকে হারালেও দিশেহারা হয়ে যায়নি রাজস্থান। জয়সোয়াল ও পাড়িক্কালের ৯৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়ের পথেই ছিল তারা। জুটি ভাঙে ১১.৪ ওভারে, দলের ৯৯ রানে। পাড়িক্কাল আউট হয়ে ফেরেন ৭ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ বলে ৫২ রান করে। এরপর ফিরে যান ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ বলে ৪৭ রান করা জয়সোয়ালও।
কিন্তু রাজস্থানের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন জুরেল ও অশ্বিন। ৬ বলে ২ চারে অশ্বিন করেছেন ১২ রান। আর জুরেল অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩৪ রান করে। দুটি করে চার ও ছয় মেরেছেন তিনি। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে সফল বোলার হর্শাল প্যাটেল।
এর আগে শুরুটা ভালো করতে পারেনি এ ম্যাচেও বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব দেওয়া কোহলি। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নিজেই। তবে ফাফ ডু প্লেসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তুলতে পেরেছে বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরুর ১০ জন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করেছেন আজ। এর মধ্যে ডু প্লেসি আর ম্যাক্সওয়েল ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন আর মাত্র একজন। সেই একজন দিনেশ কার্তিক ১৩ বলে করেছেন ১৬ রান। ডু প্লেসি ৮ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ বলে ৬২ রান করে রানআউট হয়ে ফিরেছেন। ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৪৪ বলে ৭৭ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল।
এবারের আইপিএলে রান করায় ডু প্লেসির ধারেকাছেও নেই কেউ। বেঙ্গালুরুর খেলা ৭ ম্যাচেই ব্যাট হাতে নেমেছেন তিনি। ৭ ম্যাচে ফিফটি পাঁচটি। সব মিলিয়ে করেছেন ৪০৫ রান। আর কেউ করতে পারেননি ৩০০-এর বেশি রান।