এই মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ, বিশ্বাস হচ্ছে না হার্শা ভোগলের

মাহমুদউল্লাহর ইনিংস কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছেআইসিসি

১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত—খুব বড় কোনো ইনিংস নয়। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর এই ছোট্ট ইনিংসই ছিল বিশেষভাবে কার্যকর। রানতাড়ায় শেষ দিকে পা পিছলে যাওয়া বাংলাদেশ দল যে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে, তাতে ৭ নম্বরে নামা অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানই শেষ দিকে হাল ধরার কাজটি করেছেন।

চাপের মুখে টেল এন্ডারদের নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ম্যাচ বের করে নেওয়া ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হয়েছেন হার্শা ভোগলে। ভারতের এ ধারাভাষ্যকার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না, এমন ব্যাটিং–সামর্থ্যের একজনকে বাংলাদেশ দল বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি তাওহিদ হৃদয়েরও প্রশংসা করেছেন ভোগলে। কথা বলেছেন লিটন দাসের রান করা নিয়েও।

আরও পড়ুন

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ১২৪ রান তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন হৃদয়। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে টানা তিন বলে ছক্কা মারা হৃদয় ২০ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন হৃদয়। তিনে নামা লিটন ৩৮ বলে করেন ৩৬ রান। রানখরার মধ্যে থাকা লিটন টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ ইনিংস পর ৩০ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন।

ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে
আইসিসি

হৃদয় ও লিটনের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভোগলে লিখেছেন, ‘তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাপারে অনেক শুনেছি এবং সেসব মোটেও অতিরঞ্জিত নয়। তাকে দেখে বিশেষ খেলোয়াড়ই মনে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য লিটন দাসের ফর্মে ফেরা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, সাদা বলে সে তাদের সেরা ব্যাটসম্যান।’

আরও পড়ুন

ভোগলের আরেকটি পোস্টে উঠে এসেছে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিস্ময়। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফর্মের কারণে দলে জায়গা পাননি মাহমুদউল্লাহ। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও দলে নিয়মিত ছিলেন না। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। আজ ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর হাল ধরা ব্যাটিংয়ের পর সে ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে ভোগলে লিখেছেন, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না, কিছুদিন আগেও এই মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছিল বাংলাদেশ।’

জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ
আইসিসি

গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ১০ জুন, নিউইয়র্কে, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপে বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচ ১৩ ও ১৭ জুন, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে।

আরও পড়ুন