- ৮ উইকেটে জিতল অস্ট্রেলিয়া
- পুনেতে বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়া
- ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- দুই পেসার, তিন স্পিনার
- নেই মুম্বাই রূপকথার নায়ক
- বাংলাদেশের ৫০
- ৬২/০, প্রথম ১০ ওভার বাংলাদেশের
- আরেকজন শর্ট বলের শিকার
- জ্যাম্পার প্রথম ওভারে ১, মার্শের পরের ওভারে ১২
- ভোট দিন
- আরেকবার উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন
- জ্যাম্পাকে পাল্টা আক্রমণ হৃদয়ের
- আরেকটি জুটি
- ২৫ ওভারে ১৬১/২
- ৪৫ রান করে রানআউট নাজমুল
- ৩০ ওভারে ১৮০/৩
- ২০৩/৩, ৩৩ ওভার
- ছবিতে একটি রানআউটের (নাজমুলের হতাশার) গল্প
- মাহমুদউল্লাহও রানআউট, আবার লাবুশেন!
- ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম!
- হৃদয়ের ৫০
- ৪০ ওভারে ২৩৯/৪
- আবার জ্যাম্পার আঘাত
- জ্যাম্পা: ২/৩২, ১০ ওভার
- হৃদয়ও আউট
- বাংলাদেশের ৩০০
- তৃতীয় রানআউটের পর বাংলাদেশের ৩০৬/৮
- বোলিংয়ে তাসকিনে শুরু বাংলাদেশের
- অন্য প্রান্ত থেকে স্পিন
- বোল্ড!
- তিন চারে শুরু মার্শের
- আশা ছাড়েননি সমর্থকেরা
- অস্ট্রেলিয়ার ৫০
- ১০ ওভারশেষে
- মার্শের ৫০, অস্ট্রেলিয়ার ১০০
- প্রসঙ্গ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
- রিভিউ নষ্ট করল বাংলাদেশ
- ওয়ার্নার আউট
- ক্যাচ নাকি নয়?
- মার্শের শতক
- অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে পারছে না বাংলাদেশ
- আরেকটি ১০০ রানের জুটি
- নাসুমের বিস্মৃত দিন
- মার্শের ১৫০
- এবার স্মিথের ৫০
- ১৫০ রানের জুটি
- ‘লিটল’ মেহেদী
৮ উইকেটে জিতল অস্ট্রেলিয়া
মোস্তাফিজুর রহমানকে চার মেরে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করলেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮ উইকেটে, ৩২ বল বাকি থাকতেই।
টানা ৭ জয়ে সেমিফাইনালে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও গড়ল তারা। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ ফিফটি করেছেন, তবে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক অবশ্যই মিচেল মার্শের ক্যারিয়ারসেরা ১৭৭* রানের ইনিংস। ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২০ রানের পর স্মিথের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ১৭৫ রান।
তৃতীয় ওভারে হেডকে বোল্ড করে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু এরপর আসলে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। এক মেহেদী ছাড়া খরুচে বোলিং করেছেন সবাই। ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর পর শক্ত একটা ভিত পেলেও পুনেতে বাংলাদেশ থামে ৩০৬ রানেই।
পরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং-ই বলে দেয়, ‘আরও কয়েকটি রান করতে না পারার’ সেই চিরায়ত আক্ষেপেই ভুগবে বাংলাদেশ দল। যাদের বিশ্বকাপ শেষ হলো মাত্র দুটি জয় দিয়েই। তবে আপাতত হতাশার বিশ্বকাপ শেষ, খাতা-কলমেও বাংলাদেশ এখন দর্শক।
পুনেতে বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়া
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচও।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত নয় এখনো, অবশ্য এ ম্যাচে মোটামুটি বড় হার এড়ালেই চলবে সেটি। সাকিবহীন বাংলাদেশ কি পারবে তার চেয়ে বড় কোনো কিছু করে চমক দেখাতে?
প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সকালে একটু সুইং মিলতে পারে বলে এমন সিদ্ধান্ত, জানিয়েছেন তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন, টসে জিতলে তিনি ব্যাটিং নিতেন বলেই জানিয়েছেন।
দুই পেসার, তিন স্পিনার
সাকিব আঙুলের চোটে দেশে ফিরে এসেছেন আগেই। খেলছেন না তানজিম হাসানও। বাংলাদেশ আজ নামছে দুই পেসার—তাসকিন ও মোস্তাফিজুরকে নিয়ে, সঙ্গে আছেন তিন স্পিনার—মিরাজ, মেহেদী ও নাসুম।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নেই মুম্বাই রূপকথার নায়ক
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল খেলছেন না পুনেতে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্রাম দিয়েছে মিচেল স্টার্ককেও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভার্টিগো সমস্যার কারণে না খেলা স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ফিরেছেন শন অ্যাবট।
একাদশ
ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), মার্কাস স্টয়নিস, শন অ্যাবট, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হ্যাজলউড।
বাংলাদেশের ৫০
মিচেল মার্শকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে চার তানজিদ হাসানের। নবম ওভারে বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ৫০।
শুরুটা সতর্ক করেছিলেন দুই ওপেনার। এরপর খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছেন দুজনই। নবম ওভারে এসে দুজনই মেরেছেন চারটি করে চার। পুনেতে উইকেট থেকে সেভাবে কোনো মুভমেন্টের দেখা পাননি অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। বাংলাদেশ ওপেনারদেরও চাপে ফেলতে পারেননি তারা।
৯ ওভারে ৫৪/০।
৬২/০, প্রথম ১০ ওভার বাংলাদেশের
আগের সর্বোচ্চ ছিল ভারতের বিপক্ষে ৬৩/০। সেবার ওপেনিং জুটিতে ৯৩ রান উঠলেও বাংলাদেশ থামে ২৫৬ রানেই। পাওয়ারপ্লের পর প্রথম ওভার করতে আসেন মিচেল মার্শ। দ্বিতীয় বলে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মেরেছেন লিটন দাস।
আরেকজন শর্ট বলের শিকার
এবারের বিশ্বকাপে এর আগে শর্ট বলে সবচেয়ে বেশি ১৩টি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান হলেন ১৪তম। কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছে না, শন অ্যাবট গেলেন সেই শর্ট লেংথে। তানজিদ ভড়কে গেছেন তাতেই। লাফিয়ে উঠে শেষদিকে ঘুরিয়ে খেলার চেষ্টা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে তাঁর, নিজের বলে গিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন অ্যাবট। অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে প্রথম ব্রেকথ্রু। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এবার থামল ৭৬ রানে। তানজিদের ইনিংস থেমেছে ৩৪ বলে, ৩৬ রান করে।
জ্যাম্পার প্রথম ওভারে ১, মার্শের পরের ওভারে ১২
১৩তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা, এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০টি উইকেট যাঁর। তাঁর প্রথম ওভারে এসেছে শুধু ১টি সিঙ্গেল। মাঝের ওভারগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই বড় হুমকি জ্যাম্পা, যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে এ লেগ স্পিনার পেয়েছিলেন মাত্র ১টি উইকেট। জ্যাম্পার বিপক্ষে সতর্ক থাকলেও পরের ওভারে মার্শকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ওয়াইড লং অফ দিয়ে চার মেরেছেন নাজমুল, শেষ বলে পুল করে মেরেছেন আরেকটি। ১৪তম ওভারে এসেছে ১২ রান। বাংলাদেশ ৯৬/১।
ভোট দিন
আরেকবার উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন
শেন ওয়াটসনের মতে, ‘ইন্টারেস্টিং শট’ লিটনের। জ্যাম্পাকে একটু সামনে ঝুঁকে তুলে মারতে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার। টাইমিং ভালোই ছিল। কিন্তু সরাসরি ক্যাচ গেছে লং অনে থাকা মারনাস লাবুশেনের হাতে। ওয়াটসনের ভাষায়, ‘ক্যাচিং অনুশীলন।’ আরেকবার, হ্যাঁ আরেকবার—বেশ ভালো শুরু পেয়ে উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন। ৩০ পেরিয়ে ৪০-এর আগেই থেমেছেন তিনি, তানজিদের মতোই আউট হয়েছেন ৩৬ রানে। এর আগে ৩৫ রানে জীবনও পেয়েছিলেন তিনি, জ্যাম্পার বলেই মিড অনে বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে হাত লাগালেও ক্যাচ রাখতে পারেননি কামিন্স। সে জীবন মোটেও কাজে লাগাতে পারলেন না লিটন। নাজমুলের সঙ্গে জুটিটা বড় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল, সেটি থামল আগেভাগেই।
জ্যাম্পাকে পাল্টা আক্রমণ হৃদয়ের
প্রথম ৪ ওভারে অ্যাডাম জ্যাম্পা দিয়েছিলেন ৬ রান। লেগ সাইডে পায়ের ওপর থেকে তুলে এরপর ছক্কা মেরেছেন চারে আসা হৃদয়। ২১ ওভারে ১২৩/২।
আরেকটি জুটি
ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। লেংথ বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে চার। ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন। পুল করে মিডউইকেট দিয়ে চার। লিটন ফিরলেও চারে আসা হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং উইকেটে ইতিবাচক নাজমুল। বাংলাদেশ ১৪৮/২, ২৪ ওভারে।
২৫ ওভারে ১৬১/২
ট্রাভিস হেডকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় ছক্কাটি মেরেছেন হৃদয়, ২৫তম ওভারের শেষ বলে, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অনের ওপর দিয়ে। নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ রান উঠে গেছে।
৪৫ রান করে রানআউট নাজমুল
খেলছিলেন দুর্দান্ত। হৃদয়ের সঙ্গে জুটিতে শক্ত একটা ভিতই দাঁড় করাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি আউট হলেন কীভাবে? রানআউটে! স্কয়ার লেগে খেলেছিলেন, এমন পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ ডাবলস না নিলেই পারতেন। সেটিই করতে গেলেন নাজমুল। মারনাস লাবুশেনের ফিল্ডিং ও থ্রো—দুটিই ছিল দারুণ। শর্ট থেকে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়েছেন, এরপর ঘুরে করেছেন থ্রো। বাকি কাজটি সেরেছেন জশ ইংলিস। তাতে হয়ত আক্ষেপ আরও বেড়েছে নাজমুলের। ৬৬ বলে ৬৩ রানে ভেঙেছে তৃতীয় উইকেট জুটি।
৩০ ওভারে ১৮০/৩
নাজমুলের রানআউট স্বাভাবিকভাবেই এসেছে ধাক্কা হয়ে। কিন্তু পুনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শেষ ১০ ওভারও ভালোই কেটেছে বাংলাদেশের, নেমেই ছক্কা মারা মাহমুদউল্লাহও দিয়েছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েরই আভাস। এ জুটি আরেকটু এগিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশকে? ৩০০-পেরোনো বড় স্কোর গড়তে পারবে বাংলাদেশ?
২০৩/৩, ৩৩ ওভার
মাহমুদউল্লাহ এখনো আক্রমণাত্মক, এখন পর্যন্ত মেরেছেন ৩টি ছক্কা। মিচেল মার্শের করা ৩২তম ওভারে এসেছে ১৭ রান। ৩৩তম ওভারে ২০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
ছবিতে একটি রানআউটের (নাজমুলের হতাশার) গল্প
স্কয়ার লেগ থেকে মারনাস লাবুশেনের থ্রো
ডাইভ দিয়েও বাঁচতে পারেননি নাজমুল হোসেন
লাবুশেনকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়ানদের উল্লাস
মাহমুদউল্লাহও রানআউট, আবার লাবুশেন!
নাজমুল হোসেন, রানআউট মরনাস লাবুশেন।
মাহমুদউল্লাহ, রানআউট মরনাস লাবুশেন!
জশ হ্যাজলউডের বলে কাভারের দিকে খেলেই রান নিতে ছুটেছিলেন হৃদয়। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। ছুটে এসে বল ধরেছেন, এরপর ডাইভ দিয়ে থ্রো করে লাবুশেন স্টাম্প ভেঙেছেন সরাসরি। নাজমুলের মতো মাহমুদউল্লাহও ডাইভ দিয়েছিলেন, কিন্তু বাঁচেননি তিনিও। এমনিতেই সেখানে সিঙ্গেল ছিল না। তার ওপর লাবুশেনের মতো ফিল্ডারের কাছ থেকে রান নিতে যাওয়া আত্মহত্যারই সামিল! মাহমুদউল্লাহ খেলছিলেন দারুণভাবে, রানআউট হয়ে থামতে হলো তাঁকেও। আরেকবার দারুণ অবস্থান থেকে রানআউটে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাংলাদেশ। ২৮ বলে ৩২ রান করে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশ ৩৬ ওভারে ২১৪/৪।
ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম!
হৃদয়ের ৫০
৬১ বলে অর্ধশতক পেলেন হৃদয়। সাকিবের অনুপস্থিতিতে আজ চারে উঠে এসেছেন। শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। অবশ্য দুজন সঙ্গীকে রানআউট হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। এবার মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার পালা তাঁর। ৫০ ছুঁয়ে ফেললেও কাজ যে শেষ হয়নি, সেটি হৃদয়ের জানা থাকার কথা ভালোভাবেই।
৪০ ওভারে ২৩৯/৪
অ্যাবটকে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছিলেন হৃদয়। পেছনে অনেকটা ছুটে হাত লাগাতে পারলেও ক্যাচ নিতে পারেননি উইকেটকিপার জশ ইংলিস। সেটি উল্টো হয়েছে চার। শেষ পাওয়ারপ্লেতে ইনিংস।
আবার জ্যাম্পার আঘাত
৮ ওভারে ২২ রান, ১ উইকেট। এমন বোলিং ফিগার নিয়ে ৪৩তম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই অ্যাডাম জ্যাম্পা নিলেন দ্বিতীয় উইকেট। মোটামুটি শর্ট লেংথের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। সরাসরি মিড অনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। বড় স্কোরের আশা আরেকবার ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের।
জ্যাম্পা: ২/৩২, ১০ ওভার
বোলিং শেষ করেছেন জ্যাম্পা। ৪ ওভার বাকি, বাংলাদেশের স্কোর ২৮৩/৫।
হৃদয়ও আউট
ফুলটস, সেটিতেই মিডউইকেটে ক্যাচ দিলেন হৃদয়। ফিল্ডার সেই লাবুশেন! ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখেছিলেন, তাতেই ফুলটস করেছেন মার্কাস স্টয়নিস। ৭৯ বলে ৭৪ রান করে থেমেছেন হৃদয়, তিন অঙ্ক থেকে বেশ দূরেই।
বাংলাদেশের ৩০০
স্টয়নিসের শর্ট বলে মিরাজের চার, এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৩০০ রানের স্কোরের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১ ওভার বাকি থাকতে ৩০৩/৬।
তৃতীয় রানআউটের পর বাংলাদেশের ৩০৬/৮
অ্যাবটের শর্ট বলে মিরাজের ক্যাচে শুরু শেষ ওভার। তৃতীয় বলে নাসুম ইনিংসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হয়েছেন রানআউট। শেষ বলে সম্ভাবনা ছিল আরেকটি রানআউটের, কিন্তু অ্যাবটের থ্রো সরাসরি লাগেনি, লাবুশেনও সেটি নিতে পারেননি। বাংলাদেশ থেমেছে ৩০৬ রানে। ফলে শেষ ১০ ওভারে উঠেছে ৬৭ রান, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যেতি যৌথভাবে সর্বোচ্চ (আগের ৬৭ রানও এসেছিল এ মাঠেই)। অবশ্য অসময়ে কয়েকটি উইকেট না হারালে সে স্কোর যে আরেকটু বড় হতে পারত, সেটি নিশ্চিতই। শেষ পর্যন্ত সেটিই পার্থক্য গড়ে দেয় কি না, প্রশ্ন সেটিই।
বোলিংয়ে তাসকিনে শুরু বাংলাদেশের
নতুন বলে প্রথম ওভারে আক্রমণে তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে চার হজম করেছেন। বাকি ডেলিভারিগুলো থেকে রান নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। চারটি মেরেছেন হেড।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওভারে বিনা উইকেটে ৪
অন্য প্রান্ত থেকে স্পিন
স্পিনার মেহেদী হাসান অন্য প্রান্ত থেকে বল করলেন। প্রথম পাঁচ বলে কোনো রান দেননি। শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চল থেকে ২টি রান আদায় করে নেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়া ২য় ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬।
বোল্ড!
আগের বলেই একটু জায়গা করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে স্কয়ার কাটে চার মেরেছিলেন ট্রাভিস হেড। তাতে আত্মবিশ্বাসটা বোধ হয় একটু বেড়ে গিয়েছিল। পরের বলে (৫ম) লেগে টেনে তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড! একটু খাটো লেংথে বলটা করেছিলেন তাসকিন। ১১ বলে ১০ রানে ফিরলেন হেড।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়া ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১২।
তিন চারে শুরু মার্শের
চতুর্থ ওভারে মেহেদী হাসানকে তিন চারে রানের খাতা খুললেন মিচেল মার্শ। এই ওভারে ১৩ রান দিয়েছেন মেহেদী। স্পিন বড় পায়ে খেলার সুবিধা নিয়েছেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়া ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৫।
আশা ছাড়েননি সমর্থকেরা
অস্ট্রেলিয়ার ৫০
ট্রাভিস হেড ফেরার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৮.১ ওভারে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
রান তাড়ায় এবার ৩ বারের মধ্যে দুবার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এর একটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে, আরেকটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অবিশ্বাস্য সে ইনিংসে ভর করে জেতা ম্যাচ। এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩১২ রানের লক্ষ্যে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পুনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও তাই ৩০৭ রানের লক্ষ্যটা ভালো একটা চ্যালেঞ্জ এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
১০ ওভারশেষে
মার্শের ৫০, অস্ট্রেলিয়ার ১০০
হেড দ্রুত ফিরলেও পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণ। মার্শের পাল্টা আক্রমণের ইনিংসের বড় অবদান তাতে। মোস্তাফিজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩৭ বলেই ৫০ পূর্ণ করেছেন মার্শ। ১৫তম ওভারের শেষ বলে ওয়ার্নারের মারা চারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের ১০০ পূর্ণ করতে লেগেছিল ১৫.১ ওভার।
প্রসঙ্গ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশ এখন ৮ নম্বরে, নিচে আছে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস। এ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের নেট রান রেট -১.১৪২। নয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট -১.৪১৯। এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া যদি ২২.৪ ওভারের মধ্যে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে, তাহলেই শুধু শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাজে হবে বাংলাদেশের নেট রানরেট। সেটি এখন আর হচ্ছে না, তা বলাই যায়। তবে আগামীকাল নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ ভারতের সঙ্গে। অবশ্য ডাচদের নেট রানরেট -১.৬৩৫। শুধু ভারতকে হারালেই চলবে না তাদের, জিততে হবে বিশাল ব্যবধানে।
এদিকে মার্শের পর ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। দুজনের জুটি ১০০ পেরিয়েছে আগেই। অস্ট্রেলিয়া ১৯ ওভারে ১২২/১।
রিভিউ নষ্ট করল বাংলাদেশ
জুটি ভাঙতে মরিয়া বাংলাদেশ। ওয়ার্নারের বিপক্ষে তাসকিনের বলে নির্ধারিত সময়ের ৩ সেকেন্ড বাকি থাকতে রিভিউ নেন নাজমুল। কিন্তু বল ট্র্যাকিং যখন দেখায়, মিডলে পড়া বলটির ইমপ্যাক্টই ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে, তখন বুঝতে হবে, রিভিউটা মোটেও দেখেশুনে নেওয়া হয়নি! ওয়ার্নার অক্ষত। বাংলাদেশের উইকেটের খোঁজ চলছেই। ২২ ওভারে ১৩২/১।
ওয়ার্নার আউট
মোস্তাফিজের ফুললেংথের বল। চিপ করতে গিয়ে তুলে দিয়েছেন ওয়ার্নার। মিড অনে ভুল করেননি নাজমুল। পুনেতে অবশেষে আরেকটি উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। ৫৩ রানেই থামলেন ওয়ার্নার, ১২০ রানে ভাঙল মার্শের সঙ্গে জুটি, ১৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। আরও ২-১টি উইকেট নিয়ে চাপ তৈরি করতে পারবে বাংলাদেশ?
ক্যাচ নাকি নয়?
উদ্যাপনে ওপরে ছুড়ে মারতে গিয়েছিলেন নাজমুল। কিন্তু বল তার পায়ে লেগে পড়ে গেছে। অবশ্য এর আগে নিয়ন্ত্রণ ভালোভাবেই নিয়েছেন, সেটি বলাই যায়। সর্বশেষ অ্যাশেজে লেগ স্লিপে স্টিভেন স্মিথের ক্যাচ নিয়ে উদ্যাপন করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন বেন স্টোকস, ধারাভাষ্যে রিকি পন্টিং মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটি।
মার্শের শতক
৯৯ রানে দাঁড়িয়ে টানা ৪টি বল ডট দিয়েছিলেন। নাসুম আহমেদের বলে কাভারে সিঙ্গেল নিয়ে অবশেষে শতক পূর্ণ করলেন মিচেল মার্শ। এবারের বিশ্বকাপে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতক, ক্যারিয়ারে তৃতীয়। এবার ইনিংস উদ্বোধন করেছেন, শতক পেয়েছেন। ট্রাভিস হেড আসার পর নেমে গেছেন তিনে, সেখানেও মার্শ পেলেন বড় ইনিংসের দেখা। নাসুমের এ ওভারের শেষ বলে স্লগ করে ছক্কা মেরেছেন স্মিথ। ৩১ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ১৯২/২।
অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে পারছে না বাংলাদেশ
ওয়ার্নার আউট হয়েছিলেন ২৩তম ওভারের প্রথম বলে। দ্রুত উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল ম্যাচে ফেরার। কিন্তু স্মিথের সঙ্গে মার্শের জুটিতে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে তুলেছে ২১৭ রান, ফলে শেষ ১৬ ওভারে দরকার ৯০ রান। ম্যাচে ফিরতে বাংলাদেশের করতে হবে দারুণ কিছু।
আরেকটি ১০০ রানের জুটি
দ্বিতীয় উইকেটের পর তৃতীয় উইকেটেও ১০০ রানের জুটি। মার্শের সঙ্গী এবার স্মিথ। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর টানা দুটি শত রানের জুটি, অস্ট্রেলিয়া জয়ের পথে এগিয়ে গেছে অনেকটাই।
নাসুমের বিস্মৃত দিন
পুনেতে সুবিধা করতে পারেননি নাসুম। এর আগে ১ ইনিংসে এ বাঁহাতি স্পিনার সর্বোচ্চ দিয়েছিলেন ৬০ রান।
মার্শের ১৫০
নন স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হতে পারতেন মিচেল মার্শ। স্মিথের ফিরতি শটে পা লাগাতে পারেননি মোস্তাফিজ। এরপর টানা দুই চারে মার্শ পৌঁছে গেছেন ১৫০ রানে। ইনিংসে মার্শ এখন পর্যন্ত মেরেছেন ১৬টি চার, সঙ্গে ৭টি ছক্কা। স্মিথের সঙ্গে তাঁর জুটি অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রানে। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার মাত্র ৪৩ রান।
এবার স্মিথের ৫০
আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি ভার্টিগো উপসর্গ নিয়ে। ফিরেই রানের দেখা পেলেন স্টিভেন স্মিথ। সেমিফাইনালের আগে স্মিথ-সুলভ এক ইনিংসই খেললেন। ৪১তম ওভারে তাসকিনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন স্মিথ।
১৫০ রানের জুটি
মাইলফলক আর মাইলফলক। এবার ১৫০ রানের জুটি হলো স্মিথ ও মার্শের। অস্ট্রেলিয়ার জয় সময়ের অপেক্ষা, ৮ ওভারে দরকার ২৩ রান।
‘লিটল’ মেহেদী
আজ অন্য কোনো বাংলাদেশি বোলারের ইকোনমি রেট ৬-এর নিচে নেই। সেখানে মেহেদী হাসান প্রথম ৯ ওভারে বোলিং করেছেন ৪.২২ ইকোনমি রেটে। যদিও উইকেটের দেখা পাননি এ অফ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন আর ৮ রান, শেষ ওভারটি করার সুযোগ পাবেন কি না নিশ্চিত না।