৭ রানে ১ উইকেট, ১১ রানে ৩ উইকেট, ১৮ রানে ১ উইকেট-আগের ৩ ম্যাচের সবকটিতে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ। উইকেটও পেয়েছেন প্রত্যেক ম্যাচে। উইকেট মিলেছে গত রাতেও। তবে এবার একটু বেশি রান দিয়ে ফেলেছেন, ২২।
তাতে অবশ্য ক্ষতি হয়নি। তাসকিন খরুচে বোলিং করলেও তাঁর দল বুলাওয়ে ব্রেভস জিতেছে ৭ উইকেটে। জিম আফ্রো টি-১০ লিগে কাল হারারে হারিকনসের বিপক্ষে রান-বন্যার ম্যাচে বুলাওয়েকে জিতিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ব্যাট হাতে মহাপ্রলয় বইয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার।
৫ চার ও ৬ ছক্কায় মাত্র ২১ বলে করেছেন ৭০ রান। ইনিংসটি খেলার পথে টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড (১৫ বলে) রেকর্ড গড়েছেন। আগের রেকর্ডটি ছিল টিম সাইফার্টের, ১৭ বলে।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এউইন মরগানের হারারে ১০ ওভারে তুলেছিল ১৩৪ রান। বুলাওয়ে লক্ষ্য টপকে গেছে ৫ বল হাতে রেখে। হারারের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন এভিন লুইস। ম্যাচের প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে আসেন তাসকিন; একটি ওয়াইড আর দুটি চার খেয়ে দেন ৯ রান। বাকি চার বলে কোনো রান দেননি।
অষ্টম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওভার করতে এসে তিন চার ও এক ওয়াইডে দেন ১৩ রান। তবে ওই ওভারের প্রথম বলেই দারুণ স্লোয়ারে আউট করেন হারারে অধিনায়ক মরগানকে।
ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তাসকিনকে খুব বেশি খরুচে বলা যাবে না। প্রতিপক্ষ হারারের রানরেট যেখানে ১৩.৪, সেখানে বাংলাদেশি পেসারের ১১ ইকোনমি রেটকে ভালো বলাই যায়।
লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারে বেন ম্যাকডারমটকে হারায় বুলাওয়ে। এরপর রাজার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের শুরু। কোবে হার্ফটকে নিয়ে মাত্র ২৯ বলে যোগ করেন ৮৮ রান। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে রাজা আউট হলেও বাকি কাজ সহজেই সারেন চারে নামা বিউ ওয়েবস্টার।
এ জয়েও অবশ্য পয়েন্ট তালিকার তিনেই রয়ে গেছে তাসকিনের বুলাওয়ে। ৫ ম্যাচে ২ জয়ে দলটির পয়েন্ট ৪। কেপ টাউন সাম্প আর্মি ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডারবান কালান্দার্স।