অ্যারন ফিঞ্চ, কেইন উইলিয়ামসন ও দাসুন শানাকারা যেতেই হাজির হলেন রোহিত শর্মা ও বাবর আজমরা।
আরেকটু বুঝিয়ে বলা যায়। কাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আজ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হলো ‘ক্যাপ্টেনস মিডিয়া ডে’। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৬ দলের অধিনায়কদের দুই ভাগে ভাগ করে সংবাদকর্মীদের মধ্যে হাজির করা হয়। সেখানে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অধিনায়কেরা।
প্রথম ৮ দলের অধিনায়ক হিসেবে হাজির হয়েছিলেন ফিঞ্চ, শানাকা, উইলিয়ামসন ও নবীরা। এরপর শেষ ৮ দলের অধিনায়ক হিসেবে মঞ্চে এলেন ভারতের রোহিত শর্মা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান, পাকিস্তানের বাবর আজম, স্কটল্যান্ডের রিচার্ড বেরিংটন, জিম্বাবুয়ের ক্রেগ আরভিন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও আয়ারল্যান্ডের অ্যান্ডি বলবার্নি।
অনুষ্ঠানের এই ভাগে প্রশ্নোত্তরের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন রোহিত শর্মা ও বাবর আজম। সেটাই স্বাভাবিক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান যেহেতু অন্যতম ফেবারিট এবং দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ মুখোমুখিও হবে সুপার টুয়েলভে, তাই এই দুই দলের অধিনায়ককে ঘিরেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন সংবাদকর্মীরা।
শ্রীলঙ্কা-নামিবিয়া ম্যাচ দিয়ে কাল শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুপার টুয়েলভে ‘গ্রুপ টু’ থেকে ২৩ অক্টোবর ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচের প্রসঙ্গও উঠে এল অনুষ্ঠানে। ৮ অধিনায়ককে চারটি চারটি করে আসনে ভাগ করে বসানো হয় মঞ্চে।
রোহিত সবার আগে মঞ্চে এসে বাঁ দিকে একদম কোনার আসনে বসেন। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও এসে বাঁ দিকের আসনে বসেন। বেরসিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ‘কাবাবের মাঝে হাড্ডি’ হয়ে তাঁদের মাঝে না বসলে দেখার মতো একটা ছবিই হতো—রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্কের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের অধিনায়ক পাশাপাশি বসে!
দৃশ্যটা দেখা না গেলেও ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে বাবর-রোহিত দুজনেই কথা বলেছেন। বাবর বললেন, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলা মানেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই। ভক্তরাও এই ম্যাচের অপেক্ষায় থাকেন। মাঠে আমরাও উপভোগ করি। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করি।’ রোহিতও এই ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘২৩ (অক্টোবর) তারিখের ম্যাচের জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত থাকব। সবাই জানে, কারা খেলবে। শেষ মুহূর্তে এসব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আস্থা নেই আমার।’
বাবর-রোহিত দুই দলের অধিনায়ক, মাঠে তাঁরা একে-অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্কটা কেমন? এ নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত, ‘আমরা সবাই পরিবার নিয়ে প্রচুর কথা বলি। জীবন নিয়ে কথা বলি, কে কোন নতুন গাড়ি কিনল...এসব নিয়েই মূলত কথা হয়।’
অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে চমকে দেওয়া হলো বাবরকে। আগের দফায় সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ডাকলেন সঞ্চালক। ফিঞ্চ হাতে কেক নিয়ে ঢুকলেন মঞ্চে। সঞ্চালক ‘শুভ জন্মদিন’ জানালেন বাবরকে। পাকিস্তান অধিনায়কের হাতে কেক তুলে দেন ফিঞ্চ। ২৭তম জন্মদিনের কেক হাতে নিয়ে বাবর বেশ চমকেই যান। পরে সব দলের অধিনায়কদের নিয়ে কেক কাটেন। সেসব ছবি প্রকাশ করা হয় আইসিসির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে।