ভালো-খারাপের প্রমাণ মাঠেই দিতে চান মিরাজরা
কে ভালো, কে খারাপ—আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এ নিয়ে আলাদা করে মন্তব্য করতে চান না মেহেদী হাসান মিরাজ। এশিয়া কাপে নিজেদের ম্যাচের এক দিন আগে এ অলরাউন্ডার বলেছেন, কোন দল ভালো, কোন দল খারাপ—সেটি প্রমাণিত হবে মাঠেই। অবশ্য টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটির দিকে তাঁদের নজর ছিল, সেটিও জানিয়েছেন মিরাজ।
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে আফগানিস্তান। গ্রুপ বি থেকে সুপার ফোরে যাওয়ার পথেও এক ধাপ এগিয়ে গেছে তারা। ম্যাচটি একসঙ্গে বসেই দেখেছেন বাংলাদেশ দলের সবাই। ৩০ আগস্ট শারজায় সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছেন, বাংলাদেশের ম্যাচটি তাঁদের জন্য তুলনামূলক সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
মিরাজ অবশ্য সে তুলনায় যেতে চাইলেন না, মাঠের জন্যই ‘জবাব’ তুলে রাখতে চাইলেন, ‘ভালো–খারাপ মাঠে প্রমাণ হবে। ভালো দল মাঠে খারাপ খেললে হেরে যায়। খারাপ দল ভালো খেললে জিতে যায়। ভালো–খারাপ ব্যাপারটি এমন না। মাঠে বোঝা যাবে কারা ভালো, কারা খারাপ। এটা মন্তব্য করতে চাই না। আমরা ভালো খেলতে চাই মাঠে। প্রমাণ দিতে চাই মাঠে। আগে থেকে অনুমান না করে মাঠে ভালো খেলতে হবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি। তবে আফগান বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে নিজেরা প্রস্তুত, এমন আত্মবিশ্বাসই শোনা গেল মিরাজের কণ্ঠে, ‘অবশ্যই ওদের বোলিং অনেক ভালো। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও অনেক ভালো। শেষ যে কদিন প্রস্তুতি নিয়েছি, ওদের বোলারদের নিয়ে আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছি। কয়েকটা বোলারকে কীভাবে খেলতে হবে। তাদেরকে কীভাবে সামলাব। এখন মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
দলীয় দিক দিয়েও বাংলাদেশ উজ্জীবিত আছে, জানিয়েছেন মিরাজ, ‘টি-টোয়েন্টিতে প্রতি ওভারেই মোমেন্টাম বদলে যায়। একটা ওভারেই বদলে যেতে পারে, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো হয়েছে প্রস্তুতি। গতকাল একসঙ্গে খেলাও দেখেছি আমরা। দলের মধ্যে বন্ধনটা ভালো আছে। ব্যক্তিগত দিক দিয়ে প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আশা করি, ভালো কিছু হবে নিজের জায়গা থেকে শতভাগ দিতে পারলে।’
আফগান চ্যালেঞ্জ নিতে গেলে কাকে কী ভূমিকা পালন করতে হবে, সে ব্যাপারেও পরিষ্কার তাঁরা, ‘এর আগে যেটি বলেছি, দেশে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। কী কী চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে, সে ব্যাপারে আমরা পরিষ্কার। ওপেনার থেকে শুরু করে শেষ ব্যাটসম্যান পর্যন্ত—সবার ভূমিকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধিনায়ক কথা বলেছেন। সাকিব (আল হাসান) ভাই ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন, কার কী ভূমিকা। সবার ভূমিকা পরিষ্কার হয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওপরের দিকে যে বোলিং করে, (তাঁর বল) ভেতরের দিকে ঢোকে—এটা কীভাবে সামলাবে ওপেনাররা, সবকিছুই।’
শারজায় স্পিন–সহায়ক উইকেট থাকলে দুই দলের বোলারদের জন্যই ভালো হবে, তবে সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেবেন ব্যাটসম্যানরা, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন মিরাজ। তবে টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, সে ব্যাপারেও ধারণা আছে তাঁর, ‘প্রথম ম্যাচটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটিই বলে দেবে, আমরা কত দূর যাব। আফগানিস্তান জিতেছে, ওদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চেষ্টা করব প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সবাই তো জিততে যায়, কিন্তু সে জন্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এক–দুজনের ভালো খেলায় ফল আনা যায় না, সবাইকে ভালো খেলতে হবে।’