বাবর ছাড়া কেউ লড়তে না পারায় হার পাকিস্তানের

আউট হয়ে ফিরছেন বাবর। ততক্ষণে হার নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানেরছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচি টেস্টে সেই ড্র-কে প্রেরণা হিসেবে নিয়েছিল পাকিস্তান।

দলটির ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফ এর পাশাপাশি জানিয়েও দিয়েছিলেন গল টেস্টে শেষ দিনে পাকিস্তানের লক্ষ্য, ‘আমরা প্রথম সেশনটা দেখব। দেখি ছেলেরা কেমন করে। আমরা যদি ভালো করি, তাহলে চেষ্টা করব এই রান তাড়া করার।’

গলে আজ শেষ দিনে প্রথম সেশনের খেলা শেষেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, এই টেস্ট বাঁচাতে পারবে না পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৫০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে কাল ১ উইকেটে ৮৯ রানে চতুর্থ দিন শেষ করে পাকিস্তান। উইকেটে ছিলেন বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক।

আজ প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম শুধু এক প্রান্তে নিঃসঙ্গ শেরপার মতো লড়ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় সেশনের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে ২৪৬ রানে হেরেছে পাকিস্তান। দুই টেস্টের এই সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল শ্রীলঙ্কা।

৫ উইকেট নেন জয়াসুরিয়া
ছবি: এএফপি

মোট ৭৭ ওভার ব্যাট করে ২৬১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এর মধ্যে আগের দিন ব্যাট করেছে ২৮ ওভার। অর্থাৎ আজ মাত্র ৪৯ ওভার ব্যাট করে ১৭২ রান তুলতেই বাকি ৯ উইকেট হারায় পাকিস্তান। গলের উইকেট শেষ দিনে স্পিনারদের জন্য যতই ইতিবাচক হয়ে উঠুক, এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্সে নিশ্চয়ই খুশি হবেন না মোহাম্মদ ইউসুফ।

পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে আজ যে মনেই হয়নি, করাচি টেস্টে ৫০৬ রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান তুলে ড্র করা থেকে তাঁরা কোনো প্রেরণা নিয়েছে!

উল্টো, আগের টেস্টের মতো এই টেস্টেও পাকিস্তানের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন লঙ্কান স্পিনার প্রবাত জয়াসুরিয়া। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে ৫ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা জয়াসুরিয়া এই সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও (১৭)।

দিনের খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারে ইমামকে হারায় পাকিস্তান। ৯০ বলে ৪৯ রান করে রমেশ মেন্ডিসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এর মধ্য দিয়ে ভেঙে যায় দুজনের ৫৫ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটে ১৪১ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

পাকিস্তানের হয়ে শুধু বাবরই যা একটু লড়েছেন
ছবি: এএফপি

কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আধঘণ্টা আগে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জয়াসুরিয়ার বল ছাড়তে গিয়ে বোল্ড হন ৩৭ রান করা রিজওয়ান। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম স্পিনারের বলে বোল্ড হলেন তিনি। রিজওয়ান ফেরার পর বাবরের সঙ্গে আর কেউ উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি। ফাওয়াদ আলম এসে অযথা রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। এরপর আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

দ্বিতীয় সেশনে শুরুর দিকে বাবরকে তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের সুবাস পাইয়ে দেন জয়াসুরিয়া। ১৪৬ বলে ৮১ রান করে এলবিডব্লিউর শিকার হন পাকিস্তান অধিনায়ক।

বাবর যাওয়ার পরের ওভারেই মোহাম্মদ নওয়াজকে হারিয়ে হারটা স্রেফ সময়ের ব্যাপারে পরিণত করে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট রমেশ মেন্ডিসের।