ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শ্রীলঙ্কান স্পিনার গ্রেপ্তার, হতে পারে ১০ বছরের জেল
ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক অফ স্পিনার সাচিত্রা সেনানায়েকেকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কান পুলিশ। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী এ স্পিনার ২০২০ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) কয়েকজন ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতাতে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি তখনই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) জানিয়েছিল।
যদিও সেনানায়েকে সেই টুর্নামেন্টে খেলেননি, সে সময় তিনি শ্রীলঙ্কায় ছিলেন না বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছিল এত দিন, গত মাসে তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এবার আটক করা হলো। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনানায়েকেকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
পুলিশ এখনো সেনানায়েকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করেনি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। ২০১৯ সালে প্রবর্তিত ‘প্রিভেনশন অব অফেন্সেস রিলেটিং টু স্পোর্টস’ আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ আইন অনুযায়ী, ‘যদি কোনো ব্যক্তি নিজে খেলাধুলায় দুর্নীতি করেন; অন্য কাউকে এমন কাজ করতে অনুরোধ, প্ররোচনা কিংবা নির্দেশ দেন, যা খেলার ফলাফল প্রভাবিত করে; সেটি দুর্নীতি হিসেবে বিবেচিত হবে।’ এ আইনে শ্রীলঙ্কায় এটিই প্রথম কোনো গ্রেপ্তারের ঘটনা।
সেনানায়েকের অপরাধ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হতে পারে। জরিমানা হিসেবে গুনতে হতে পারে ১০০ মিলিয়ন রুপি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৭৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সেনানায়েকেকে দেশের জার্সিতে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৬ সালে। ৪৯ ওয়ানডেতে সেনানায়েকের উইকেট ৫৩, টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেট ২৫টি। ২০১৪ সালে একটি টেস্ট খেলেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্টে তিনি কোনো উইকেট পাননি। আইপিএলে ২০১৩ সালে তাঁকে ৬ লাখ ২৫ হাজার ডলার দামে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
২০১৪ সালে সেনানায়েকের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করে একই বছর আবারও ক্রিকেটে ফেরেন এই স্পিনার। তবে আগের মতো আর কার্যকর ছিলেন না।