চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের লড়াইটা একটা সময় জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ফজলে মাহমুদ ও মোহাম্মদ মিঠুন। পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংসের ৪০২ রানকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের দুই থিতু ব্যাটসম্যান। তবে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার রেজাউর রহমানের তোপে ২৮২ রানেই গুটিয়ে গেছে দক্ষিণাঞ্চল। ১২০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা পূর্বাঞ্চল অবশ্য দিন শেষে ১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।
দিনে পূর্বাঞ্চলকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসুম। ৪৯ রান করা মিঠুনকে বোল্ড করে তিনি ভাঙেন মাহমুদের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি। এরপর রেজাউর রহমানের রিভার্স সুইংয়ে আরও পথ হারায় দক্ষিণাঞ্চল। পুরোনো বলে ৬ রানের ব্যবধানে তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রেজাউর। মার্শাল আইয়ুব ও আফিফ হোসেন হন বোল্ড, মেহেদী হাসান কট বিহাইন্ড।
মধ্যে বৃষ্টিবিরতির আগে-পরে দক্ষিণাঞ্চলের শেষ ৪ উইকেটই নেন নাসুম। তাতে ছিল সর্বোচ্চ ৮১ রান করা ফজলে মাহমুদের উইকেটও। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। আল-আমিন হোসেনের উইকেট নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশমবারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাসুম। ৭৫ রান খরচ করেন তিনি। ৯০ রানে ৩ উইকেট নেন রেজাউর।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ব্যাটিং করে ১ রান তুলতেই পূর্বাঞ্চল হারিয়ে ফেলেছে সৈকত আলী, পারভেজ হোসেন ও নাসুমের উইকেট। তিনজনের কেউই কোনো রান করতে পারেননি। ক্রিজে আছেন অমিত হাসান (১) ও ইয়াসির আলী (০)।
চট্টগ্রামে প্রায় ৬৮ ওভার খেলা হলেও সিলেটে দিনের অন্য ম্যাচে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বৃষ্টির কারণে। নাঈম ইসলামের রেকর্ড গড়া শতকে প্রথম ইনিংসে ২৮১ রান তুলেছিল মধ্যাঞ্চল। জবাবে তাওহিদ হৃদয়ের ঝোড়ো শতকে ৮ উইকেটে ২৩৬ রান তুলেছে উত্তরাঞ্চল। লো-স্কোরিং রোমাঞ্চের আভাস দিলেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি এখন ড্রয়ের পথে আছে।