গুরবাজ থাকায় জয়ের বিশ্বাসটা ছিল ওমরজাইয়ের

বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেন ওমরজাইএসিবি

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই যাওয়ার পর এলেন মোহাম্মদ নবী। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হলো সিরিজসেরার পুরস্কার। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে রোহান এইসাখাইল। ধারাভাষ্যকার নবীর কাছে জানতে চাইলেন, তাঁর ছোট ছেলে তাঁর মতোই প্রতিভাবান কি না! জবাবে নবী একটু হেসে বললেন, সে ক্রিকেট ভালোবাসে।

আরও পড়ুন

আসলে গোটা আফগান জাতিই ক্রিকেট ভালোবাসে। শারজায় আজ যেমন বাংলাদেশের বিপক্ষে রহমানউল্লাহ গুরবাজ সেঞ্চুরি করে আউট হলেও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওপর ভরসা রেখে তাঁর প্রতিটি সিঙ্গেলই উদ্‌যাপন করেছেন আফগানরা। গুরবাজ ১০১ রান করলেও ওমরজাইয়ের ৭৭ বলে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসটি কত গুরুত্বপূর্ণ সেটি তাঁর ম্যাচসেরা হওয়াতে পরিষ্কার। আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জেতার পর ওমরজাই ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘মানসিকতা ইতিবাচক রেখে, যেদিকে বল মারতে চেয়েছি পেরেছি। গুরবাজ থাকায় এই বিশ্বাসটা ছিল যে, আমি (মারতে) না পারলেও সে পুষিয়ে দেবে।’

সেঞ্চুরি করেন গুরবাজ
এসিবি

৩৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়া ওমরজাই নিজের বোলিং নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেট মন্থর ছিল। বল উইকেটে ধরেছে। তাই বৈচিত্র্য এনেছি বোলিংয়ে। রশিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে বৈচিত্র্য রেখে বোলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে। (ডেথে বোলিং করা) আমার জন্য কঠিন ছিল। এর আগে কখনো শেষের দিকে বোলিং করিনি।’

আরও পড়ুন

আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘দলের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের আচরণ অনুযায়ী ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়েরা যেভাবে দায়িত্ব নিয়েছে, গুরবাজ, ওমরজাই ও নবী যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। (গুরবাজের সেঞ্চুরি নিয়ে) আমার মতে সে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়।’

দারুণ জুটি গড়েন গুরবাজ–ওমরজাই
এসিবি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর অবসর নেওয়ার ইচ্ছা আগেই জানিয়েছেন নবী। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এ নিয়ে বলেছেন, ‘গত বিশ্বকাপের পরই মানসিকভাবে অবসর নিয়েছি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর ভেবেছি এটা খেলতে পারি।’ দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে নবী বলেছেন, ‘তরুণদের জন্য ছোট ছোট অবদান রাখতে পারা হবে দারুণ ব্যাপার। বেশির ভাগ সময় গজনফর, খারোতেদের সঙ্গে বোলিং নিয়ে কথা বলি।’