রাকিবুলের ৮ উইকেট, দুই দিনেই জিতল ঢাকা মহানগর

ঢাকা মহানগরের হয়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানবিসিবি

প্রথম ইনিংসে মারুফ মৃধা, দ্বিতীয় ইনিংসে রাকিবুল হাসান। দুজনই বাঁহাতি বোলার। একজন পেসার, আরেকজন স্পিনার। দুই ইনিংসে ঢাকা মহানগরের এই দুই বোলারের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রাজশাহী বিভাগ। গতকাল প্রথম ইনিংসে মৃধা ২২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। আজ রাকিবুলের শিকার ৫৬ রানে ৮ উইকেট। তাতে চতুর্থ ইনিংসে মহানগরকে মাত্র ১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় রাজশাহী, যা কোনো উইকেট না হারিয়ে টপকে যায় দলটি। জয়ের সুবাস পাচ্ছে সিলেট বিভাগও। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের দেওয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের রান ২ উইকেটে ১৩০। জয়ের জন্য জাকির হাসানদের দরকার ৯০ রান, হাতে আছে দুই দিন ও ৮ উইকেট। রংপুর ও ঢাকা বিভাগ ও খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও আজ দুটি ম্যাচই শুরু হয়েছে।

ঢাকার টানা দ্বিতীয় জয়

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গতকাল মৃধার ৬ উইকেটে রাজশাহীকে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট করেছিল ঢাকা মহানগর। জবাবে ঢাকা মহানগর তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করে। অভিজ্ঞ শামসুর রহমান সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন। শেষের দিকে আবু হায়দার ৫৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রান যোগ করেন। ১৫৬ রানের লিড পেয়ে যায় দলটি।

৮/৫৬
রাকিবুলের বোলিং জাতীয় ক্রিকেট লিগ ইতিহাসের সপ্তম সেরা ও ঢাকা মহানগরের দ্বিতীয় সেরা বোলিং।

দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহী উদ্বোধনী জুটিতেই পেয়ে যায় ১০১ রান। ওপেনার সাব্বির হোসেন ৭৮ রান করেন মাত্র ৫৬ বলে। রাকিবুলের বলে সাব্বির স্টাম্পড হওয়ার পর অবিশ্বাস্য ধস নামে রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে। শেষ পর্যন্ত ৩৭.৫ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ের সুযোগ না পাওয়া রাকিবুলের একারই শিকার ৫৬ রানে ৮ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর ক্যারিয়ার–সেরা বোলিং। জাতীয় ক্রিকেট লিগে যা সপ্তম সেরা বোলিং। ঢাকা মহানগরের বোলারদের মধ্যে রাকিবুলের চেয়ে ভালো বোলিং বিশ্লেষণ আছে শুধু তালহা জুবায়েরের। ২০১২–১৩ মৌসুমে রংপুরের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক এই পেসার।

১১ রানের লক্ষ্য ১৩ বলেই পেরিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে যায় ঢাকা মহানগর।

জয়ের সুবাস পাচ্ছে সিলেট

৫ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের পেসার ইফরান হোসেন
বিসিবি

ব্যাটিং ধস দেখেছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও। গতকাল চট্টগ্রামকে ১৯৮ রানে অলআউট করার পর আজ সিলেট অলআউট ১৫২ রানে। চট্টগ্রামের পেসার ইফরান হোসেন ৩৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় ৫ উইকেট। ৪৬ রানে এগিয়ে থাকলেও চট্টগ্রামকে নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানে অলআউট চট্টগ্রাম। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ, রেজাউর রহমান ও নাঈম আহমেদ।

২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ দিন শেষে ২২ ওভারে ২ উইকেটে ১৩০ রান করেছে সিলেট। দুই ওপেনার তৌফিক খান ও জাকির হাসান উদ্বোধনী জুটিতে ৮৪ রান যোগ করেন। তৌফিকের ৫১ রান আসে ৩৮ বলে, জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৩৬ রান। দিন শেষে ১৪ রানে ক্রিজে আছেন পিনাক ঘোষ, অমিত হাসান খেলছেন ২৩ রানে।

আরও পড়ুন

প্রথমে শুভাগত, পরে নাজমুল

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে রংপুর বিভাগের ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলতে দেয়নি ঢাকা বিভাগের স্পিনাররা। শুরুটা করেন অভিজ্ঞ শুভাগত হোম। টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে থিতু হওয়ার পর আউট করেন তিনি। পরে যোগ দেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। শেষের দিকে তিনি আরও ৪ উইকেট নিলে ৭৪.৩ ওভারে ২৫৩ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে অধিনায়ক আবদুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে। ঢাকা দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে। আশিকুর রহমান ৪৫ রানে ও জয়রাজ শেখ ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এনামুল-সৌম্যের ফিফটি

জাতীয় ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেয়েছেন সৌম্য সরকার
প্রথম আলো ফাইল ছবি

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে গতকাল খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচটির প্রথম দিনের খেলা হয়নি। আজও খেলা শুরু হতে হতে বেলা পৌনে তিনটা। ৩৪.২ ওভার খেলা হয়েছে, খুলনা করেছে ১ উইকেটে ১৩০ রান। দুই ওপেনার এনামুল হক ও সৌম্য সরকার ফিফটি করেছেন। সৌম্য রানআউট হওয়ার আগে ১০৮ বলে করেছেন ৬৩ রান। এনামুল ৮৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত।

আরও পড়ুন