বাভুমার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ৩৪২ টপকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুইয়ে দুই

সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাএএফপি

অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সেঞ্চুরি, ডেভিড মিলারের ফিফটি ও দারুণ দলীয় ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডের ৩৪২ রান তাড়া করে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ সুপার লিগে স্বাগতিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজ। ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করল তারা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড হারল টানা পাঁচটি ওয়ানডে।

দক্ষিণ আফ্রিকার এ মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিত নয় মোটেও। তবে ম্যাঙ্গং ওভালের স্বাগতিক দর্শকেরা দারুণ দুটি জয়েরই সাক্ষী হলেন। প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৮ রান তাড়ায় বেশ খানিকটা সময় ধরে জয়ের পথে থাকলেও পথ হারায় ইংল্যান্ড। এবার ৩৪২ রানের সংগ্রহও যথেষ্ট হলো না তাদের। ব্লুমফন্টেইনের এ মাঠে এটিই এখন সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড, আগের রেকর্ড ছিল ২৭২ রানের।

ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া কুইন্টন ডি কক ব্যাটিং করতে পারবেন কি না, একসময় তা নিয়ে সংশয় ছিল। বাভুমার সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে আসেন তিনিই। রানতাড়ায় ভালো একটা শুরুও এনে দেন দুজন। ১২তম ওভারের শেষ বলে ওলি স্টোনের বলে ডি কক ক্যাচ দেওয়ার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ফেলে ৭৭ রান। রেসি ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমা যোগ করেন আরও ৯৭ রান। স্যাম কারানকে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হলে থামে তাঁর ১০৯ রানের ইনিংস, যেটিতে ১টি ছক্কার সঙ্গে মারেন ১৪টি চার। ৪৭ বলেই ফিফটি করেছিলেন, সেঞ্চুরি করতে তাঁর লাগে ৯০ বল। শেষ পর্যন্ত খেলেন ১০২ বল। ফন ডার ডুসেন ফেরেন ৩৮ বলে ৩৮ রান করে।

টানা পাঁচটি ওয়ানডে হারল ইংল্যান্ড
এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য নিয়মিত জুটি গড়ে গেছে। এইডেন মার্করামের সঙ্গে হাইনরিখ ক্লাসেনের ৫৫ রানের পর ডেভিড মিলারের জুটিতে ওঠে ৪৯ রান। ১৯ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন ক্লাসেন, ১ রানের জন্য ফিফটির দেখা পাননি মার্করাম (৪৩ বল)। প্রয়োজনীয় রান রেটের একটা চাপ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ছিল, তবে মিলার ও মার্কো ইয়ানসেনের জুটিতে সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের। ৫ বল বাকি থাকতেই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন মিলার, যিনি অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৫৮ রানে। ইয়ানসেন অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ৩২ রানে।

আরও পড়ুন

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের ইনিংস এগিয়েছে কয়েক ধাপে। প্রথম ধাপে ৩৩ রানের মধ্যে জেসন রয় ও ডেভিড ম্যালানকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। প্রথমে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লু থেকে বাঁচা রয় বোল্ড হন লুঙ্গি এনগিডির ভেতরের দিকে ঢোকা দারুণ এক ডেলিভারিতে। ম্যালান অবশ্য এলবিডব্লুই হন, যদিও এর আগে তাঁর বিপক্ষে নেওয়া কট বিহাইন্ডের রিভিউ ব্যর্থ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।

দুই ওপেনারকে দ্রুতই হারানোর চাপ একটু সামাল দেন বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক, তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরের ব্রেকথ্রু এনে দেন কেশব মহারাজ, তাঁর বলে ক্যাচ দেন ডাকেট। ইংল্যান্ড অবশ্য এরপর পায় বড় দুটি জুটির দেখা। জস বাটলারের সঙ্গে ব্রুকের ৭৩ ও মঈন আলীর ১০১ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিতও হয়। কিন্তু মঈন ও ক্রিস ওকস ফেরেন দ্রুতই। ৪৫ বলে ৫১ রান করা মঈনকে বোল্ড করেন আনরিখ নর্কিয়া, ১৬ বলে ১৪ রান করা ওকস মার্কো ইয়ানসেনের শিকার।

এরপর একটা লাফ দেয় ইংল্যান্ড, শেষ ৪ ওভারে তোলে ৬০ রান। শেষ ২০ ওভারে ওঠে ১৮১ রান। ৮২ বলে ৯৪ রানের ইনিংসে বাটলার মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। বাটলার নিজের সেরা ব্যাটিং করেছেন, তা বলা যাবে না। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়কের ইনিংস ছিল কার্যকরী। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে আউট হওয়া কারান ১ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ১৭ বলে ২৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার সব বোলারই উইকেটের দেখা পান, নর্কিয়া নেন ২টি উইকেট।

আরও পড়ুন