ভালো খেলছি না, সমালোচনা তো হবেই—বললেন শাদাব
পাকিস্তান দলের টানা হারের জেরে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছেন বাবর আজম। পাঁচ ম্যাচে দুটি অর্ধশতক করলেও ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে অবদান রাখতে পারছেন না। এর চেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে।
পাকিস্তান দলে নেতৃত্বের অংশ শাদাব খানও। সহ–অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা এই অলরাউন্ডার ব্যাটে–বলে ছন্দে নেই। এর মধ্যে এক ম্যাচের একাদশ থেকে বাদও পড়েছেন। পাকিস্তানের সামনে যখন ‘বাঁচা-মরা’র সমীকরণ, তখন আলোচনায় উঠে আসছে শাদাবের পারফরম্যান্সও।
২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বলেন, খারাপ করলে সমালোচনা হবেই। তবে সব দিন একই রকম যায় না।
টানা তিন ম্যাচে হেরে যাওয়া পাকিস্তান নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে চেন্নাইয়ে। গত সোমবার এই মাঠেই আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে তারা। সেদিন ব্যাট হাতে ৪০ রান করলেও বল হাতে ৮ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন শাদাব। এর আগে উইকেট নিতে পারেননি ভারতের বিপক্ষেও। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে শাদাবের শিকার মাত্র ২ উইকেট। একজন স্পিনার ও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর এমন পারফরম্যান্সে সমালোচনা হচ্ছে, আজ চেন্নাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা উল্লেখ করলে শাদাব বলেন, ‘সমালোচনা যৌক্তিক। সাম্প্রতিক সময়ে আমি ভালো খেলছি না। এত বড় একটা টুর্নামেন্টে পারফর্ম না করলে সমালোচনা তো হবেই। তবে সব দিন একই রকম যায় না। ক্রিকেটে উত্থানপতন থাকবেই।’
ব্যাটসম্যান হিসেবেও শাদাব রান পাচ্ছেন না। গত দুই–তিন বছরে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ব্যাট হাতে অবদান আছে তাঁর। এখন পর্যন্ত খেলা ৪২ ইনিংসে ২৬.০৬ গড়ে রান তোলার পথে আছে চারটি অর্ধশতক। কিন্ত বিশ্বকাপে তিন ইনিংস ব্যাট করে শাদাবের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৭৪ রান। ব্যাটিং–বোলিং, দুটোই সামাল দেওয়াটা কি বিশ্বকাপে চাপ হয়ে যাচ্ছে শাদাবের জন্য?
এ বিষয়ে হ্যাঁ–সূচক উত্তরই দিয়েছেন শাদাব, ‘অন্যদের তুলনায় একজন অলরাউন্ডারের চাপ দ্বিগুণ। তিন বিভাগেই বাড়তি সময় দিতে হয়। কখনো কখনো তিনটির জন্য সময় বের করাটা কঠিন হয়ে যায়। তবে আমি যেহেতু বোলিং অলরাউন্ডার, মূল মনোযোগ থাকে যতটা সম্ভব বোলিংয়ের দিকে। ব্যাটিংটা প্লাস পয়েন্ট, যেটা দলে একটা ভারসাম্য এনে দেয়।’