ধোনির ১৯ বছরের পুরোনো রেকর্ডে জুরেলের ভাগ
ভারত জাতীয় দলে তাঁর অভিষেক হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে। নিজেকে চিনিয়েছেনও ওই সিরিজে। মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মশহর রাঁচিতে ধুঁকতে থাকা ভারতকে টেনে তুলেছিল ধ্রুব জুরেলের ৯০ রানের লড়াকু ইনিংস। তরুণ এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানের সেই ইনিংস দেখেই কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলেছিলেন, জুরেলের মধ্যে তিনি ধোনিকে দেখতে পারছেন।
সেই জুরেল এবার ধোনির ১৯ বছরের পুরোনো এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ভারতের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দুলীপ ট্রফির এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭টি ক্যাচ নিয়েছেন জুরেল। ২০০৫ সালে ধোনিও এক ইনিংসে ৭টি ক্যাচ নিয়েছিলেন।
বেঙ্গালুরুতে গতকাল শেষ হওয়া ভারত ‘এ’ ও ভারত ‘বি’ দলের মধ্যকার ম্যাচে ধোনির পাশে বসেন জুরেল। ভারত ‘এ’ দলের উইকেটকিপার জুরেল ‘বি’ দলের দ্বিতীয় ইনিংসে একে একে নিয়েছেন যশস্বী জয়সোয়াল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মুশির খান, সরফরাজ খান, নীতিশ রেড্ডি, সাই কিশোর ও নবদীপ সাইনির ক্যাচ।
উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে রেকর্ড গড়ার পরও হেরে গেছে জুরেলে দল ভারত ‘এ’। এতে ম্যাচের ফলেও ধোনি–জুরেল যেন একবিন্দুতে মিলে গেছেন। ২০০৫ সালে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচের এক ইনিংসে ধোনি ৭টি ক্যাচ নেওয়ার পরও হেরে গিয়েছিল তাঁর দল পূর্বাঞ্চল। ২০০৪–০৫ মৌসুমে হওয়া দুলীপ ট্রফির সেই আসরে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশ।
২০০৫ সালে ধোনি ভেঙেছিলেন দুই যুগ ধরে টিকে থাকা রেকর্ড। ১৯৮০–৮১ মৌসুমে এক ইনিংসে ৬টি ক্যাচ নিয়েছিলেন সদানন্দ বিশ্বনাথ। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলা এই উইকেটকিপার ছুঁয়েছিলেন সুনীল বেঞ্জামিনকে। প্রয়াত বেঞ্জামিন ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে মধ্যপ্রদেশের হয়ে এক ইনিংসে ৬টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন।
দুলীপ ট্রফিতে কিপিংয়ে রেকর্ড গড়লেও ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন জুরেল (২ ও ০)। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া চেন্নাই টেস্টের ভারতীয় স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তিনি। অবশ্য ঋষভ পন্ত প্রায় দুই বছর পর ভারতের টেস্ট দলে ফেরায় একাদশে জুরেলের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।