- ১০১ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ
- স্বাগতম
- উইকেট পরীক্ষা নেবে ব্যাটসম্যানদের
- লক্ষ্য ২৭৫ রানের মধ্যে রাখতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ২০০ পেরিয়ে বাংলাদেশ...
- রিভিউ হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- জোসেফের বাউন্সারে আউট তাইজুল
- নেমেই আউট মুমিনুল, দুই ইনিংসেই ০
- জাকেরের ফিফটি
- রোচকে এগিয়ে এসে ছক্কা জাকেরের!
- ফিরলেন হাসান
- রোচের বাউন্সার সামলাতে না পেরে আউট তাসকিন
- জাকের ‘শো’
- সেঞ্চুরি হলো না জাকেরের
- বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কতখানি?
- এক প্রান্তে হাসান, অন্য প্রান্তে তাসকিন
- তাইজুল এসেই ফেরালেন লুইসকে
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছেন ব্রাফেট
- মেডেনে শুরু নাহিদ রানার
- তাসকিনের আঘাত, আউট কার্টি
- ঘটনাবহুল ওভারে ব্রাফেটকে ফেরালেন তাইজুল
- তাইজুলের আরেকটি শিকার
- স্বস্তি নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
- ‘হজ-কাঁটা’ও তুললেন তাইজুল
- বোলিংয়ে ফিরেই তাসকিনের উইকেট
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাতে তাইজুলের ৫
- ফাইফার!
- বাংলাদেশের দরকার আর ১ উইকেট
- ম্যাচসেরা হলেন তাইজুল, সিরিজসেরা তাসকিন ও সিলস
- দেখা হবে ওয়ানডে সিরিজে
১০১ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ
শেষটা করলেন নাহিদ রানা। ইয়র্কারে ভাঙলেন শামার জোসেফের স্টাম্প, বাংলাদেশ পেয়ে গেল জয়ের মুহূর্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ কিংস্টন টেস্ট জিতে নিল ১০১ রানের ব্যবধানে।
এ জয়ে দুই টেস্টের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সেই সঙ্গে জয় দিয়েই ২০২৪ সালের টেস্ট অভিযান শেষ করল বাংলাদেশ।
কিংস্টনের এ জয়ের বড় মাহাত্ম দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানে। ২০০৯ সালের গ্রেনাডা টেস্টের ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই মাটিতে হারাতে পারল বাংলাদেশ। এ ছাড়া দেশ-বিদেশ মিলিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতল ৬ বছর পর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৬৪ ও ২৬৮ (জাকের ৯১, সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২, শাহাদাত ২৮; রোচ ৩/৩৬, আলজারি ৩/৭৭)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৬ ও ১৮৫ (হজ ৫৫, ব্রাফেট ৪৩; তাইজুল ৫/৫০, হাসান ২/২০, তাসকিন ২/৪৫)। ফল: বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাইজুল ইসলাম। সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতা। প্লেয়ার্স অব দ্য সিরিজ: তাসকিন আহমেদ ও জেডন সিলস।
স্বাগতম
দারুণ বোলিংয়ের পর সাহসী ব্যাটিং। গতকাল তৃতীয় দিন শেষে কিংস্টন টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন অনেকটাই বাংলাদেশের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পাওয়া বাংলাদেশ গতকাল দিনটা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে। আপাতত ২১১ রানের লিড, হাতে আরও ৫ উইকেট।
চতুর্থ দিনে লিডটা আর কত বাড়াতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজের দল, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকের আলী (২৯*) ও তাইজুল ইসলাম (৯*)। অসুস্থতার কারণে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে না পারা মুমিনুল হকও হয়তো নামবেন আজ।
চতুর্থ দিনের খেলার উল্লেখযোগ্য ঘটনার সরাসরি ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগতম!
উইকেট পরীক্ষা নেবে ব্যাটসম্যানদের
পিচ রিপোর্টে সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার স্যামুয়েল বদ্রি জানালেন, উইকেটে ভালোই ফাটল ধরেছে। পেসার এবং স্পিনাররা বেশ সুবিধা পাবেন আজ। ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট স্কিলের পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
লক্ষ্য ২৭৫ রানের মধ্যে রাখতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রিভস মনে করেন ২৭৫ রানের মতো লক্ষ্য হলে তাড়া করা কঠিন হবে না তাঁর দলের জন্য, ‘ওরা যত রানই করুক, সেটিকে খুব বেশি মনে করা যাবে না আমাদের। অবশ্যই আমাদের চাওয়া থাকবে ২৫০ থেকে ২৭৫ রানের মধ্যেই লক্ষ্য রাখতে। এটা বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট, আচরণ খুব একটা বাজে নয় এখনও। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি থিতু হতে পারে, রান তাড়া করার জন্য ২৫০ থেকে ২৭৫ হতে পারে ভালো একটি স্কোর।’
২০০ পেরিয়ে বাংলাদেশ...
চতুর্থ দিনের শুরু থেকে রয়েসয়ে খেলছেন জাকের আলী ও তাইজুল ইসলাম। তবে মারার মতো বল পেতেই বাউন্ডারি আদায় করে নিলেন জাকের। আলজারি জোসেফের ফুল লেংথের বলটা ফ্লিক করে মিড উইকেট দিয়ে চার মারলেন জাকের। দিনের প্রথম বাউন্ডারিতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রানও ২০০ পেরোল।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪৪ ওভারে ২০২/৫; সব মিলিয়ে লিড ২২০ রান।
রিভিউ হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আলজারি জোসেফের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে মিস করলেন জাকের। বলটা জাকেরের হেলমেটে লেগে আশ্রয় নিল জোসেফেরই হাতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা ভাবলেন, বলটা জাকেরের ব্যাট বা গ্লাভসে লেগেছে। কিন্তু তাঁদের আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।
ধর্মসেনার সিদ্ধান্ত ভুল ভেবে রিভিউ নিয়ে ক্যারিবীয়রাই ভুল প্রমাণিত হলো। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেল, বল জাকেরের হেলমেটে লেগেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন রিভিউয়ের প্রথমটি তাই নষ্ট হলো।
বল হেলমেটে লাগলেও জাকের পুরোপুরি ঠিক আছেন। তবু সতর্কতাস্বরূপ বাংলাদেশ দলের ফিজিও তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মাঠে এলেন। এই সুযোগে হেলমেটটাও বদলে ফেললেন। মাঠের আরেক আম্পায়ার আসিফ ইয়াকুবকে জাকের নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘আমি ঠিক আছি।’
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪৮ ওভারে ২০৬/৫; সব মিলিয়ে লিড ২২৪ রান।
জোসেফের বাউন্সারে আউট তাইজুল
নতুন বল হাতে পেতেই দিনের প্রথম উইকেট তুলে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাইজুল ইসলামকে লাগাতার বাউন্সার করে যাচ্ছিলেন আলজারি জোসেফ। ওভারে তৃতীয় বলে পেলেন সাফল্য। জোসেফের শর্ট বলটা তাইজুলের হেলমেট বরাবর আসছিল। সেটাকে ঠিকঠাক সামলাতে পারলেন না। বলটা তাঁর গ্লাভস ছুঁয়ে হেলমেটের গ্রিলে লেগে আশ্রয় নিল প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো কাভেম হজের হাতে। তাইজুল আউট হলেন ৫০ বলে ১৪ রান করে।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫০ ওভারে ২০৭/৬; সব মিলিয়ে লিড ২২৫ রান।
নেমেই আউট মুমিনুল, দুই ইনিংসেই ০
পরপর দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তাইজুলের পর এবার গেলেন মুমিনুল হক। কেমার রোচের বলটা যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। ড্রাইভ করতে গিয়ে ঠিকঠাক হলো না মুমিনুলের। প্রথম স্লিপে কাভেম হজের হাতে ক্যাচ গেল। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও রানের দেখা পেলেন না মুমিনুল।
টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে ১৮তম বারের মতো ০ রানে আউট হলেন মুমিনুল। মজার ব্যাপার, বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরিও (১৩টি) তাঁর। টেস্টে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ০ শ্রীলঙ্কার মারভান আতাপাত্তুর, ২২টি।
মুমিনুল আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছেন হাসান মাহমুদ।
জাকেরের ফিফটি
আলজারি জোসেফকে পুল করে ছক্কা মেরে ফিফটি জাকেরের। গতকাল তৃতীয় দিন থেকেই দৃঢ়তা দেখিয়ে ব্যাট করছেন জাকের। ৮০ বলে টেস্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিলেন জাকের। পরের বলেই স্লিপ দিয়ে চার মারার পর ওভারের পঞ্চম বলে আবারও পুল করে ছক্কা জাকেরের!
৮৩ বলে ৬১ রানে ব্যাট করছেন জাকের। হাসান ১০ বলে ৩ রানে অন্য প্রান্তে।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৪ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৬। লিড ২৫৪ রান।
রোচকে এগিয়ে এসে ছক্কা জাকেরের!
ইটস গোয়িং, গোয়িং অ্যান্ড গান!
৫৫তম ওভারের তৃতীয় বলে এক পা বেরিয়ে এসে রোচকে লং অনের ওপর দিয়ে বড় ছক্কা জাকেরের। দারুণ শট!
প্রয়োজনের মুহূর্তে জাকেরর এই ৬৮* রান যেন সেঞ্চুরির চেয়েও বেশি!
ফিরলেন হাসান
জাকেরের কাছে ছক্কা হজমের দুই বল পরই হাসান মাহমুদকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন কেমার রোচ।
জাকের ৬৮ রানে অপরাজিত। নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন।
৫৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ৮ উইকেটে ২৪৩। লিড ২৬১ রান।
রোচের বাউন্সার সামলাতে না পেরে আউট তাসকিন
বল তুলেছিলেন রোচ। পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে ভালোভাবে ব্যাটে নিতে পারেননি তাসকিন। বল তাঁর ব্যাটে লেগে স্টাম্পের বেলস ফেলে দেয়। ৬ বলে ০ রানে ফিরলেন তাসকিন।
জাকের ৭০ রানে অপরাজিত। ক্রিজে শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানা।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৪৬। লিড ২৬৪ রানের।
জাকের ‘শো’
৫৮তম ওভারে জাকেরকে ফাঁদ পেতে আউট করতে বাউন্সারের পর বাউন্সার মারেন শামার জোসেফ। জাকের দুটি পুলে দুটি চার আদায় করে নেন। পরের ওভারে রোচকে এগিয়ে এসে স্ট্রেট দিয়ে দর্শনীয় ছক্কাও মারলেন।
৮৪ রানে ব্যাট করছেন জাকের। বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৬২। লিড ২৮০ রানের।
সেঞ্চুরি হলো না জাকেরের
টেলএন্ডারটা বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারবেন না বুঝে মেরে খেলার সিদ্ধান্ত নেন জাকের আলী। চার–ছক্কায় বাংলাদেশকে একাই টানছিলেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পাওয়া হলো না। ৯১ রানে থাকতে আলজারি জোসেফের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়লেন অ্যালিক অ্যাথানেজের হাতে।
জাকের আউটের মধ্য দিয়ে ২৬৮ রানে শেষ হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ২৮৭ রানের লক্ষ্যে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাটিংয়ে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কতখানি?
কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ২১২ রান করে জিতেছিল ব্রায়ান লারার নেতৃত্বাধীন দল। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে করতে হবে আরও ৭৫ রান বেশি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রিভস জানিয়েছিলেন, তাঁরা লক্ষ্যটা ২৭৫ রানের মধ্যে রাখতে চান। তবে আজ জাকেরের একার লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরেকটু বেশি লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
এক প্রান্তে হাসান, অন্য প্রান্তে তাসকিন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও নতুন বল হাতে আক্রমণে এসেছেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। তবে খুব ভালো করতে পারছেন না।
হাসান তাঁর প্রথম ২ ওভারে একাধিক হাফ ভলি দিয়েছেন। তাসকিন তাঁর ২ ওভারেই খেয়েছেন একটি করে চার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪ ওভারে ২৩/০। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ২৬৪।
তাইজুল এসেই ফেরালেন লুইসকে
পেসারদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার মিকাইল লুইস ও ক্রেইগ ব্রাফেট। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই তাইজুল ইসলামকে বোলিংয়ে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
আস্থার প্রতিদান দিতে একদমই সময় নেননি তাইজুল। নিজের দ্বিতীয় বলেই লুইসকে শর্ট লেগে শাহাদাত হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন।
ফুল লেংথের বলটা লুইসের ব্যাট ছুঁয়ে বুটের ওপর পড়ে শাহাদাতের হাতে জমা পড়ে। বাংলাদেশ দল ক্যাচ আউটের আবেদন জানালেও আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা সাড়া দেননি। ধর্মসেনার মতো ব্যাটসম্যান লুইসও ভেবেছিলেন ‘বাম্প বল’।
কিন্তু আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল রিভিউ নিয়ে ধর্মসেনা ও লুইসকে ভুল প্রমাণ করে। ব্যক্তিগত ৬ রানে লুইসের আউটের সঙ্গে সঙ্গে চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির ঘোষণা আসে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪.২ ওভারে ২৩/১। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ২৬৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছেন ব্রাফেট
প্রথম ইনিংসে ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে করেছিলেন ১২৯ বলে ৩৯ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন ক্রেইগ ব্রাফেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মেরেছিলেন একটি চার। বিরতির পর এরই মধ্যে মেরেছেন একটি করে চার ও ছক্কা। অপরাজিত আছেন ২৫ বলে ৩০ রান নিয়ে। তাঁকে দারুণ সঙ্গে দিচ্ছেন কিসি কার্টি (৯*)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১০ ওভারে ৪৬/১। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ২৪১ রান।
মেডেনে শুরু নাহিদ রানার
দ্বিতীয় ইনিংসের ১২তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এলেন আগের ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদ রানা। এসেই যথারীতি গতির ঝড় তুললেন; প্রতিটি বলের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের ওপর। প্রথম ওভারটা করলেন মেডেন। কিসি কার্টি ১ রান নিলেও তা এল লেগ বাই থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১২ ওভারে ৫১/১। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ২৩৬ রান।
তাসকিনের আঘাত, আউট কার্টি
ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ উচ্চস্বরে বলে গেলেন, ‘অ্যান্টিগা টেস্টে যে চ্যানেলে বল ফেলে তাসকিন ৬ উইকেট (দ্বিতীয় ইনিংসে) নিয়েছে, এবারও সেটাই করল।’
হ্যাঁ, অফ স্টাম্পের একটু বাইরে বল ফেলে কিসি কার্টিকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেন তাসকিন। বাংলাদেশি পেসার তাতে সফল হলেন। বলে খোঁচা দিলেন কার্টি। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিতে ভুল করলেন না লিটন দাস।
ব্যক্তিগত ১৪ রানে কার্টির বিদায়ের পর নেমেছেন কাভেম হজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৬ ওভারে ৬৪/২। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ২২৩ রান।
ঘটনাবহুল ওভারে ব্রাফেটকে ফেরালেন তাইজুল
পেস সরিয়ে দুই পাশ থেকে চলছে স্পিন-আক্রমণ। আর সেই আক্রমণের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাফেটের উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল ইসলাম।
মিডল স্টাম্পে পড়া বল টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সামনে পা বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক খেলতে চেয়েছিলেন ব্রাফেট। বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপের ডান দিকে। প্রথম স্লিপ থেকে ডান দিকে দৌড়ে ডাইভিংয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। ব্রাফেট ফিরেছেন ৬৩ বলে ৪৩ রান করে।
তাইজুলের উইকেট শিকার করা ওভারটি ছিল ঘটনাবহুল। প্রথম বলে কাভেম হজকে এলবিডব্লু আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে হজ রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে বল ব্যাটে লেগেছিল।
আবার ওভারের শেষ বলে নতুন ব্যাটসম্যান অ্যালিক অ্যাথানাজ সুুইপ করতে গেলে বল উইকেটকিেপারের পাশ দিয়ে যায়। আরেকটু ডান দিকে হলে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতেই যেত ক্যাচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ২৫ ওভারে ৯৬/৩। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ১৯১ রান।
তাইজুলের আরেকটি শিকার
টানা দ্বিতীয় ওভারে উইকেট নিলেন তাইজুল। অ্যাথানাজ কভারের দিকে ড্রাইভ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন (৬ বলে ৫ রান)। ১১ বলের মধ্যে দুজনকে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়ে ফেলল ৪ উইকেট।
নতুন ব্যাটসম্যান জাস্টিন গ্রিভস, সঙ্গে কাভেম হজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ২৭ ওভারে ১০৮/৪। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ১৭৯ রান।
স্বস্তি নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
দিনের দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ২৯.৪ ওভার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ১১০ রান, বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ৩ উইকেট।
মোটের ওপর চতুর্থ দিনের চা বিরতির সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৪ উইকেটে ১৩৩। জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের দরকার আরও ১৫৪ রান, বাংলাদেশের দরকার ৬ উইকেট।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাঞ্চ বিরতির আগে ২৬ বল ব্যাট করে তুলেছিল ১ উইকেটে ২৩ রান। বিরতির পর দ্বিতীয় উইকেটে কার্টিস কিসিকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন কার্লোস ব্রাফেট। কিসি তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ব্রাফেট-কাভেম হজ গড়েন ৩৫ রানের জুটি।
তৃতীয় উইকেট জুটি যখন জমে গেছে, তখন তাইজুল টানা দুই ওভারে থামান ব্রাফেট ও অ্যাথানাজকে। তবে হজ অপরাজিত আছেন এখনো। খেলছেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। চা বিরতির সময় হজ অপরাজিত ৬৩ বলে ৪৯ রানে, সঙ্গে গ্রিভস খেলছেন ১০ রানে।
দ্বিতীয় সেশন শেষে:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৩৪ ওভারে ১৩৩/৪। লক্ষ্য: ২৮৭ রান, জিততে দরকার আরও ১৫৪ রান।
‘হজ-কাঁটা’ও তুললেন তাইজুল
এক প্রান্ত ধরে রাখছিলেন কাভেম হজ। শুধু ধরেই রাখেননি, রানও বের করে নিচ্ছিলেন। বাংলাদেশের জন্য কাঁটা হয়ে থাকা সেই হজকেই ফিরিয়েছেন তাইজুল।
তৃতীয় সেশনে নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে হজকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেছেন তাইজুল। থামিয়েছেন ৬টি চারে ৭৫ বলে খেলা ৫৫ রানের ইনিংস। এটি ছিল ইনিংসে তাইজুলের চতুর্থ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৩৯ ওভারে ১৪৩/৫, লক্ষ্য: ২৮৭ রান। বাংলাদেশের দরকার আরও ৫ উইকেট।
বোলিংয়ে ফিরেই তাসকিনের উইকেট
তাইজুলকে সরিয়ে তাসকিনকে বোলিংয়ে এনেছেন অধিনায়ক। তৃতীয় সেশনে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দ্বিতীয় বলেই উইকেট নিলেন তাসকিন। বোল্ড করেছেন জাস্টিন গ্রিভসকে (৪৫ বলে ২০ রান)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারাল ষষ্ঠ উইকেট। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আর ৪ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৩ ওভারে ১৫৯/৬, লক্ষ্য: ২৮৭ রান। বাংলাদেশের দরকার আর ৪ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাতে তাইজুলের ৫
এবার গেলেন জশুয়া ডি সিলভা। তাইজুলের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান (১৮ বলে ১২ রান)। ক্যারিবীয়রা হারাল সপ্তম উইকেট, তাইজুল পূর্ণ করলেন পঞ্চম উইকেট।
ডি সিলভা আউট হয়েছেন ওভারের প্রথম বলে। শেষ দুই বলে চার মেরেছেন নতুন ব্যাটসম্যান কেমার রোচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৬ ওভারে ১৭২/৭, লক্ষ্য: ২৮৭ রান। বাংলাদেশের দরকার আর ৩ উইকেট।
ফাইফার!
বাংলাদেশের দরকার আর ১ উইকেট
আর মাত্র ১ উইকেট!
তাসকিনের জায়গায় বোলিংয়ে এলেন হাসান মাহমুদ। এসে প্রথম বলেই আলজারি জোসেফকে করলেন বোল্ড (২১ বলে ৫ রান)। হাসানের প্রথম শিকারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারাল অষ্টম উইকেট।
একই ওভারের শেষ বলে কেমার রোচ হয়েছেন এলবিডব্লু। রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে আম্পায়ার্স কল গেছে বাংলাদেশের পক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি মাত্র ১ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৯ ওভারে ১৭৬/৯, লক্ষ্য: ২৮৭ রান। বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ১ উইকেট।
ম্যাচসেরা হলেন তাইজুল, সিরিজসেরা তাসকিন ও সিলস
বাংলাদেশের ১০১ রানের জয়ের ম্যাচে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানার ৫ উইকেট আর ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলীর ৯১ রান টপকে সেরা হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার, যিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানে ৫ উইকেটসহ ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
সিরিজসেরার পুরস্কারটা অবশ্য যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে। ১১ উইকেট নেওয়া তাসকিনের সঙ্গে পুরস্কারটা পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০ উইকেট নেওয়া জেডন সিলস।
দেখা হবে ওয়ানডে সিরিজে
টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই শেষ হয়নি। দুই দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর। পরের দুটি ম্যাচ ১০ ও ১২ ডিসেম্বর। সবই সেন্ট কিটসে।