স্কটল্যান্ডকে বিদায় করে ইংল্যান্ডকে সুপার এইটে তুলল অস্ট্রেলিয়া

ফিফটি পূর্ণ করার পর ট্রাভিস হেডএএফপি

গ্রস আইলেটের এ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড। কিন্তু স্কটিশদের অদৃশ্য প্রতিপক্ষ ছিল ইংলিশরাও। অস্ট্রেলিয়ার সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে আগেই। পরের পর্বের আগে জয়ের ছন্দ ধরে রাখার ব্যাপার তো ছিলই, অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিল ১৯৮৩ সালের পর আইসিসির সহযোগী কোনো সদস্যের বিপক্ষে না হারার ‘গর্ব’ ধরে রাখার ব্যাপারও। অন্যদিকে অ্যান্টিগায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নামিবিয়াকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অপেক্ষায় ছিল ইংল্যান্ড।

আরও পড়ুন

শেষ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জয়ে সওয়ার হয়েই সুপার এইটে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাতে হৃদয় ভেঙেছে স্কটল্যান্ডের, এ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে যারা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ম্যাচের অনেকটা সময়। জর্জ মানসির ২৩ বলে ৩৫ রানের সঙ্গে ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেনের ৩৪ বলে ৬০ ও অধিনায়ক রিচি বেরিংটনের ৩১ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে স্কটল্যান্ড তোলে ২০ ওভারে ১৮০ রান। রান তাড়ায় শুরুতে তেমন গতি না পেলেও ট্রাভিস হেডের ৪৯ বলে ৬৮, মার্কাস স্টয়নিসের ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে ২ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতেই জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার জয়ে নেট রান রেটে স্কটল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকায় সপ্তম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত হলো ইংল্যান্ডের। আগামীকাল ভোরে নেপালকে হারালে অষ্টম দল হবে বাংলাদেশ।

৪৪ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন স্টয়নিস ও হেড
এএফপি

রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের পর পাওয়ারপ্লের মধ্যে মিচেল মার্শকেও হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেন্ট লুসিয়ায় কন্ডিশন ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ সহায়ক থাকলেও স্কটিশদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে খোলসবন্দী ছিল ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ১৩ ওভার শেষেও তাদের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৯৩ রান, সে সময়ে স্কটল্যান্ড তুলেছিল ১২১ রান। কার্যত ১৪তম ওভারে ১৮ রান ওঠার পরই ম্যাচ কার্যত ঝুঁকে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। মাইকেল লিস্কের শেষ তিন বলে স্টয়নিস মারেন দুই ছক্কা ও এক চার।

আরও পড়ুন

এরপরও শেষ ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৬০ রান। তবে বিশ্বকাপে রান তাড়ায় ম্যাচের এ সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট অস্ট্রেলিয়ার (১৬০.২)। শায়ান শরিফের করা ১৬তম ওভারের প্রথম তিন বলে তিন ছক্কায় হেড অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন। ওই ওভারের চতুর্থ বলে হেড, পরের ওভারে টানা দুই চারের পর স্টয়নিসও ফেরেন। তবে টিম ডেভিডের ১৪ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ক্যামিওতে জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। শেষ ৪ বলে ৪ রান দরকার যখন, ডেভিডের ক্যাচ মিডউইকেটে ফেলেন ক্রিস সোল। স্কটল্যান্ডের শেষ সুযোগ ছিল সেটিই।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারে অ্যাশটন অ্যাগারের বলে বোল্ড হন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা মাইকেল জোনস। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মানসি ও ম্যাকমুলেনের ৪৮ বলে ৮৯ রানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় স্কটল্যান্ড। নবম ওভারে মানসির পর ১২তম ওভারে থামেন ম্যাকমুলেন।

স্কটল্যান্ডের হয়ে ৪৮ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়েন মানসি ও ম্যাকমুলেন
এএফপি

ফিল্ডিংয়ে মোটেও সুবিধার দিন ছিল না অস্ট্রেলিয়ার, সহজ-কঠিন মিলিয়ে ৫টি ক্যাচ ফেলে তারা। এরপরও শেষ ৫ ওভারে ৪২ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্কটল্যান্ড। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও ইনিংসের পরের ভাগেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে মূলত পেরে ওঠেনি দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

স্কটল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮০/৫ (ম্যাকমুলেন ৬০, বেরিংটন ৪২, মানসি ৩৫, ক্রস ১৮; ম্যাক্সওয়েল ২/৪৪, জাম্পা ১/৩০, এলিস ১/৩৪, অ্যাগার ১/৩৯)

অস্ট্রেলিয়া: ১৯.৪ ওভারে ১৮৬/৫ (হেড ৬৮, স্টয়নিস ৫৯, ডেভিড ২৪*; ওয়াট ২/৩৪, শরিফ ২/৪২, হুইল ১/২৮)

ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)