বিশ্বকাপ ফাইনালে হারার পর রাতে ঘুমাতে পারতেন না মেসি

২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর লিওনেল মেসিফাইল ছবি: এএফপি

২০১৪ সালের সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল, প্রথমবারের মতো শিরোপা হাতে নেওয়ার অপেক্ষায় লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার ভক্তদের প্রত্যাশা, ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর মেসির হাত ধরেই আসবে আরেকটি বিশ্বকাপ। এই শিরোপা দিয়েই সর্বকালের সেরার প্রশ্নের সমাপ্তি টেনে দেবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকাও। নাহ, তেমন কিছুই হয়নি। মারিও গোটশে নামে এক ‘আগন্তুক’ শেষ মুহূর্তে বদলি নেমে এলোমেলো করে দেন মেসির সব স্বপ্ন।

১১৩ মিনিটে অসাধারণ এক গোলে জার্মানির চতুর্থ শিরোপা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেসির হৃদয়ও ভেঙে দেন গোটশে। এই হারের যন্ত্রণা এক বছর ধরে বয়ে বেড়িয়েছেন মেসি। পিএসজি তারকার সেই যন্ত্রণাময় সময়ের কথা তুলে ধরেছেন মেসির সাবেক এজেন্ট ও কাছের মানুষ ফাবিয়ান সোলদিনি।

মেসির বিশ্বকাপ ফাইনালে হারার অনুভূতি কেমন ছিল, তা জানাতে সোলদিনি বলেছেন, ‘১০ বছর দেখা না হওয়ার পর আমি যখন তার বাসায় গিয়েছিলাম, সে আমাকে বলেছিল, ‘ফাবি, এক বছর ধরে আমি রাতে জেগে উঠতাম এবং ব্রাজিলের সেই ফাইনালটি নিয়ে ভাবতাম। আমি ঘুমাতে পারতাম না।’ এ বিষয়টাই তার মাথায় ঘুরতে থাকত।

ফাইনালে হারের কষ্টে বিমর্ষ মেসি
ফাইল ছবি: এএফপি

ব্রাজিলের সেই বিশ্বকাপে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে খেলেছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে হারলেও পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। তবে বিশ্বকাপ শিরোপার ক্ষতিপূরণ যে আর কিছুই হতে পারে না, তা তো মেসির জানাই। কেন সেই হার মেসিকে এতটা আক্রান্ত করেছে, জানাতে গিয়ে সোলদিনি বলেছেন, ‘এটা তার ভালোবাসা। জাতীয় দল তার ভালোবাসা। এটা বার্সেলোনা কিংবা নিউওয়েলস না, এটা আর্জেন্টিনার জন্য তার প্রেম। জাতীয় দলের তার দারুণ ভালোবাসা।’

২০১৪ সালের পর ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল মেসিকে। রাশিয়ায় অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এবার সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ অভিযানে কাতার যাবেন মেসি। তাঁর নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা দলও এখন দারুণ চাঙা। টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত আছে আলবিসেলিস্তিরা।

এখন শুধু ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপেক্ষা। মেসির হাতে শিরোপা ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন সোলদিনিও, ‘আমি তাকে খুব পরিপক্ব এবং শান্ত দেখছি। দলটিকেও বেশ ঐক্যবদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে এটা তার প্রাপ্য।

২০০৫ সাল পর্যন্ত মেসির সঙ্গে কাজ করেছেন সোলদিনি। তবে মতের অমিল হওয়াতে ভেঙে যায় দুজনের পেশাদার সম্পর্ক। তবে কাজের সম্পর্ক না থাকলেও দুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে।

২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে মেসির আর্জেন্টিনা।