নবম উইকেট জুটিতে প্রায় ২৫ ওভার ব্যাটিং করে দক্ষিণাঞ্চলকে রোমাঞ্চকর এক ড্র এনে দিয়েছেন সুমন খান ও মঈন খান। আর তাতে ম্লান হয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের আব্দুল্লাহ আল মামুনের শতক ও নাহিদুল ইসলামের ৫ উইকেট। অন্য ম্যাচে মধ্যাঞ্চলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পূর্বাঞ্চল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকালই দারুণ অবস্থানে ছিল উত্তরাঞ্চল, তাদের সে অবস্থান আজ আরও শক্ত হয়েছে মামুনের শতকে। গতকাল ৮৭ রানে অপরাজিত থাকা মামুন আজ শতক পূর্ণ করেন ২৫০ বলে। ৭ উইকেটে ৩৪৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২২ রান।
জবাবে ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ১৩৪ রান তুলতে অষ্টম উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু সুমন ও মঈনের প্রতিরোধ আর ভাঙতে পারেননি উত্তরের বোলাররা। ৭৬ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন, সুমন ১০ রান করতে খেলেন ৭৯ বল।
রান তাড়ায় নাহিদুলের ঘূর্ণিতে দক্ষিণাঞ্চল চাপে পড়ে শুরুতেই, তাঁর প্রথম ২ ওভারেই ফেরেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষ ও ফজলে মাহমুদ। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর ড্রয়ের লক্ষ্যে খেলতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন, তানভীর হায়দাররা। তবে উত্তরাঞ্চল আঘাত করে ঠিকই।
৫৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মার্শাল আইয়ুব (৫২) ও প্রান্তিক নওরোজের (৪২) ৭৪ রানের জুটিতে ভালোই লড়াই করে দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু ১৩ বলের মধ্যে প্রান্তিক ও মার্শালসহ ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় তারা। মার্শালের উইকেট দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তৃতীয় বার ৫ উইকেট পেলেন নাহিদুল। তবে সুমন ও মঈনের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেননি তিনিও। হাসান মুরাদ, ইয়াসিন আরাফাত ও এনামুল হক নেন ১টি করে উইকেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ দিনে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে জয়ের জন্য পূর্বাঞ্চলের দরকার ছিল ৭ উইকেটে ৪১ রান। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৭ বল খেলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পূর্বাঞ্চল। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন অমিত হাসান, মাত্র ৫৮ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম হোসেন। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৭ বলে ওঠে ৯১ রান।
বিসিএলের দুই রাউন্ড শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পূর্বাঞ্চল, উত্তর ও দক্ষিণের পয়েন্ট ৪ করে। ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে মধ্যাঞ্চল।