ভারতের দেখানো পথে সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ
এ বছরের শেষে ভারতীয় দল প্রথমবারের মতো পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। দীর্ঘ সফরের আগে ভারত ‘এ’ দল ও অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে। বড় কোনো টেস্ট সফরের আগে সে দেশে ভারতের ‘এ’ দলকে আগে পাঠানোর রীতিটা নতুন নয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটও সে পথে এগোচ্ছে। ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা। তার আগে আজ ‘এ’ দল গেল পাকিস্তানে। সেখানে দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে গিয়েছেন নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক।
আজ দেশ ছাড়ার আগে জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুবই বড় সুযোগ বাংলাদেশের দলের জন্য। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, যেখানে জাতীয় দল খেলতে যাবে, সেখানে ‘এ’ দল আগে যাচ্ছে। যেটা আমরা সাধারণত ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে দেখি। যখনই যেকোনো দেশে জাতীয় দল যায়, ওরা আগে ‘এ’ দলটা পাঠিয়ে দেয়।’
পরে যোগ করেন, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বা যদি এমন কেউ থাকে অনুশীলন করিয়ে নেওয়ার মতো, সেটা করা যায়। আমরাও এমন কিছুই করার চেষ্টা করছি। অনেক ছেলের জন্য পাকিস্তানের কন্ডিশনটা নতুন হবে। যারা আপকামিং, তাদের জন্য প্রতিটি কন্ডিশনে পরীক্ষা দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য আসলে।’
খেলার ফেরার আগে ক্রিকেটারদের দেশ জুড়ে গত এক-দেড় মাসের সহিংসতা পেছনে ফেলে আসতে হয়েছে। দেশের পরিস্থিতির কারণে খেলা, অনুশীলন বন্ধ ছিল। এখন ক্রিকেটারদের মনোযোগ মাঠে। রাজ্জাকই বললেন, ‘আমরা যারা ক্রিকেটার (ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত), আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ বলে কিছু নেই। আমাদের জন্য প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি খেলা সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে হয়। এখন যে পরিস্থিতি, এখন তো খুব একটা বাজে অবস্থায় নেই পরিস্থিতি। যে কারণে আমাদের খেলাগুলো পিছিয়ে ছিল। একটা অশান্তির মধ্যে ছিলাম।’
পরে যোগ করেন, ‘সেটা থেকে ঘুরে এসে... আমি নিশ্চিত সাধারণত ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতির তেমন প্রভাব পড়ে না। কারণ, ক্রিকেট কিন্তু ক্রিকেটের গতিতে এগিয়ে চলে। প্রতিটা খেলাই আসলে। ওইটার জন্য চ্যালেঞ্জের কিছু না। চ্যালেঞ্জ আসলে ক্রিকেটটাই। যখনই আমরা যেখানে খেলতে যাই, প্রতিটি জিনিসই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের।’