বলছেন আফ্রিদি: রউফের বিগ ব্যাশের বদলে টেস্ট খেলা উচিত ছিল
পাকিস্তান পেসার হারিস রউফের অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলা উচিত ছিল, এবার এমন বলেছেন সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। এ সিরিজের দল ঘোষণার আগে নিজেকে সরিয়ে নেন রউফ, যিনি এ মুহূর্তে বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের কঠিন এ সিরিজের দলে শুরুতে থাকতে সম্মত হলেও পরে নিজের মত বদলান রউফ, দল ঘোষণার সময় এমন বলেছিলে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ। নিজের শরীর ও ওয়ার্কলোডের দিকে খেয়াল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন রউফ। টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের প্রথম দুটি ম্যাচের সময়ে মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে রউফ খেলেছেন চারটি ম্যাচ। অন্যদিকে নাসিম শাহর চোটে আগে থেকেই পেস আক্রমণে দুর্বল হয়ে পড়া পাকিস্তান প্রথম টেস্টের পর হারায় খুররম শেহজাদকেও।
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে খেলেন আমের জামাল, মির হামজা ও হাসান আলী। তবে চারজনের কেউই ঠিক তেমন গতিসম্পন্ন ফাস্ট বোলার নন। পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণের গতির অভাবের কথা এর আগে বলেছেন সাবেক অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিস ও অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক।
গতির কারণে রউফের এ সিরিজে খেলার কথা ছিল, এমন বলেছেন আফ্রিদি। নিজের ফাউন্ডেশনের কাজে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া আফ্রিদি এমসিজিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, (বিগ ব্যাশে খেলার) চেয়ে হারিসের এই (টেস্ট) দলের অংশ হওয়া উচিত ছিল। এমন কন্ডিশনে তার যে গতি আছে, তাতে সে ভালো পারফর্ম করত। অস্ট্রেলিয়া পার্থ এবং এখানে যেমন পিচ বানিয়েছে, তাতে উপভোগ করত।’
এর আগে রউফের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার ব্যাপারে আরেক সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট দিন শেষে বড়দের খেলা। আপনাকে আট ওভারের স্পেলে বোলিং করতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে আপনি চার ওভার বোলিং করেন, ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে থাকেন। “পিস অব কেক” (সহজ ব্যাপার)।’
সেভাবে গতি না থাকলেও পাকিস্তান পেসাররা অবশ্য এমসিজিতে সফল হয়েছেন, দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁরা নেন ১৯টি উইকেট। ক্যাচ নিতে পারলে এবং আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত পক্ষে এলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রায় ভুলতে বসা জয়ের স্বাদও পেতে পারত পাকিস্তান।
এদিকে নিজের জামাতা শাহিনের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন আফ্রিদি। চোটের কারণে শাহিনের গতি কমে গেছে, এমন মানতে নারাজ তিনি, ‘আমার কখনোই মনে হয়নি, আফ্রিদির কোনো চোট আছে। আপনার চোট থাকলে আপনি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতে পারবেন না। সে তার দায়িত্ব জানে, দলের প্রতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানে। ফাস্ট বোলাররা অতীতে ভালো করেছে বলে আমরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু চাচ্ছি। বাবর (আজম), (মোহাম্মদ) রিজওয়ান, শাহিনরা এত ভালো করেছে যে আমরা তাদের প্রতি ম্যাচেই পারফর্ম করার আশা করি। নিরন্তর ধারাবাহিকতা ক্রিকেটে বেশ চ্যালেঞ্জিং।’
এ কারণে নিজেদের বেঞ্চের দিকে জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন মাঝে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করা আফ্রিদি, ‘আমি সব সময় বলে এসেছি, আমার বেঞ্চ শক্তিশালী না হলে আমরা সেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। মূল দলের মতো “এ” দলও শক্তিশালী হতে হবে। ফলে যদি শাহিন বা বাবর বা রিজওয়ান শক্তিশালী না হয়, তাহলে কোনো খেলোয়াড় না থাকার অজুহাত আমাদের দিতে হবে না। এখন যেমন নাসিমকে নিয়ে দিচ্ছি। বেঞ্চ শক্তিশালী হলে আমাদের আর অজুহাত থাকবে না।’