অবসরের গুঞ্জন উড়িয়ে ২০২৮ অলিম্পিকে খেলার ইচ্ছা স্টিভেন স্মিথের
বয়স ৩৫ পেরিয়েছে। এই বয়সে অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। কেউ কেউ সংস্করণভেদে খেলা চালিয়ে যান।
গুঞ্জন ছিল, অস্ট্রেলিয়ার টি–টোয়েন্টি দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া স্টিভেন স্মিথও হয়তো এই সংস্করণকে বিদায় জানিয়ে দেবেন। কিন্তু অবসরের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন স্মিথ। শুধু তা–ই নয়। তিনি জানিয়েছেন, সম্ভব হলে ২০২৮ অলিম্পিকেও খেলবেন।
সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা হয়নি স্মিথের। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগগুলোতে এই তারকা ব্যাটসম্যানের কদর একটুও কমেনি।
সম্প্রতি স্মিথের নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়াশিংটন ফ্রিডম। গতকাল বিগ ব্যাশ লিগের দল সিডনি সিক্সার্স তাঁর সঙ্গে ৩ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছে। এর অর্থ, কমপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলবেন তিনি। এসব লিগে ভালো করতে পারলে আবারও অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পড়তে পারে তাঁর। সেটা হলে খেলতে চান ২০২৮ অলিম্পিকে।
সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার পর স্মিথ বলেছেন, ‘আমি আরও ৪ বছর টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে পারি। তাই কী হয় তা কেউ বলতে পারে না। এটা এমন একটি সংস্করণ, যেখানে আমি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে খেলতে পারব বলে মনে করি। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। আমি এখানে (বিগ ব্যাশে) ৩ বছরের জন্য চুক্তি করেছি। এরপর মাত্র একটি বছর। অলিম্পিকের অংশ হতে পারলে দারুণ হবে।’
এর আগে অলিম্পিকে ক্রিকেট হয়েছিল একবারই। সেই ১৯০০ সালে। অংশ নিয়েছিল মাত্র দুটি দেশ। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে সোনা জিতেছিল গ্রেট ব্রিটেন। ১২৮ বছর পর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক দিয়ে ফিরছে ক্রিকেট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, একটি করে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা স্মিথের চোখ এখন নতুন ইতিহাস গড়ার দিকে; ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের অলিম্পিকে।
অবসরের গুঞ্জন নিয়ে স্মিথ বলেছেন, ‘অবসরের কোনো পরিকল্পনা নেই। এই মুহূর্তে খেলা উপভোগ করছি, বেশ স্বস্তিতে আছি এবং এবারের মৌসুমের দিকে তাকিয়ে আছি।’
গত জানুয়ারিতে ডেভিড ওয়ার্নার টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেওয়ার পর থেকে ওপেনারের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে স্মিথকে। তবে নতুন পজিশনে খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ৮ ইনিংসে করেছেন ১৭১ রান, ব্যাটিং গড় ২৮.৫০, যা তাঁর ক্যারিয়ার গড়ের প্রায় অর্ধেক (৫৬.৯৭)। চার নম্বর পজিশনে সবচেয়ে সফল হলেও হঠাৎ ওপেনিংয়ে উঠে আসায় অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছেন।
ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ওঠা বিতর্কের ব্যাপারে স্মিথ বলেছেন, ‘আমি যেকোনো জায়গায় ব্যাট করতে পারলেই খুশি। চার নম্বরে ব্যাট করলে এমনও হতে পারে যে প্রথম দুই বল পরেই আমাকে নামতে হচ্ছে। অনেকবারই আমাকে দ্রুত নামতে হয়েছে, নতুন বলের মুখোমুখি হতে হয়েছে।’