বিশ্বকাপ এলেই বাদ পড়েন, এখন তাঁর সয়ে গেছে
তাঁর অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ খেলছে ভারত। দুটি ওয়ানডে, দুটি টি-টোয়েন্টি। এর মধ্যে শুধু ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই মাঠে নামতে পেরেছেন। তারপর...? তার পর থেকে শুধু সতীর্থদের চেয়ে চেয়ে দেখা।
একবার নয়, দুবার নয়, তিনবার। এবার নিয়ে টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে যুজবেন্দ্র চাহালকে। অথচ ৩৩ বছর বয়সী স্পিনার এখনো ভারতীয় দলের পরিকল্পনার মধ্যেই আছেন। নিয়মিত খেলছেন টি-টোয়েন্টি দলে। পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায়ও থাকছেন বছরভর। কিন্তু বিশ্বকাপ এলে মাঠে নামা হবে না, এমনটা যেন নিয়তিই হয়ে গেছে চাহালের।
কোনো কিছু থেকে বারবার বঞ্চিত হলে কষ্ট উবে যায়। চাহালেরও হয়েছে তেমনটাই। বিশ্বকাপ এলে বাদ পড়বেন, এখন তাঁর সয়ে গেছে।
২০১৬ সালের জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন চাহাল। এর পর থেকে ভারতের স্পিন আক্রমণের নিয়মিত মুখ এই ডানহাতি। ২০১৯ বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের হয়ে ৮ ম্যাচ খেলে নেন ১২ উইকেট। সেটিই এখন পর্যন্ত তাঁর একমাত্র বিশ্বকাপ।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি টিম কম্বিনেশনের কারণে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। তবে একটি ম্যাচও মাঠে নামার সুযোগ পাননি। আর এ বছর ঘরের মাঠে আবারও বিশ্বকাপ দলে জায়গা হলো না কম্বিনেশনের কারণে।
অভিষেকের পর ওয়ানডেতে ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (কুলদীপ যাদবের পেছনে) উইকেট শিকার করেও বিশ্বকাপ দলে না থাকার কষ্টটা বেশিই। তবে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় চাইলেও ভেতরের অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না। উইজডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেও যেমন নিজেকে বাস্তববাদী হিসেবেই উপস্থাপন করতে চাইলেন চাহাল, ‘আমি বুঝতে পারছি, মাত্র ১৫ জনের জন্যই জায়গা আছে। বিশ্বকাপ হওয়ায় ১৭-১৮ জন নেওয়ার সুযোগ নেই।’
তবে কষ্ট যে পেয়েছেন, সেটাও আড়াল করেননি এই লেগ স্পিনার, ‘আমার কিছুটা খারাপই লাগে। তবে আমাকে এখন সামনে তাকাতে হবে। কারণ, এসবে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তিনটা বিশ্বকাপ তো হয়ে গেল (হাসি)।’
ভারতের বিশ্বকাপ দলে স্পিনার হিসেবে কুলদীপ যাদবের সঙ্গে জায়গা হয়েছিল অক্ষর প্যাটেলের। অক্ষর চোটে পড়ার পর তাঁর বদলে স্কোয়াডে নেওয়া হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে, যিনি ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি ওয়ানডে খেলেছেন ভারতের হয়ে, যার দুটি আবার গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।