স্পিনের ফাঁদ পেতে নিগাররাই স্পিনের ফাঁদে
একাদশে একমাত্র পেসার মারুফা আক্তার, স্পিনার পাঁচজন। পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ নারী দলের কৌশলটা অনুমান করা যাচ্ছিল একাদশ দেখেই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে আজ আগে ব্যাটিং করে মাঝারি মানের রান করে স্পিন দিয়ে পাকিস্তানকে আটকানোই ছিল নিগার সুলতানার দলের পরিকল্পনা।
কিন্তু সেই পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে উল্টো পাকিস্তান নারী দলের স্পিনারদেরই সাহায্য করেছে বেশি। টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তানের স্পিনের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং। ৩১.৫ ওভার ব্যাটিং করে ৮১ রানে অলআউট নিগারের দল। অল্প সে রান ২৪.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় পাকিস্তানের মেয়েরা। ৫ উইকেটের সহজ জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
অবশ্য বাংলাদেশের মতো স্পিনে উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তানও। রান তাড়ার শুরুতেই ২৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। তবে লক্ষ্য বড় না হওয়ায় উইকেট নিয়েও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বাংলাদেশ। চারে নেমে অধিনায়ক নিদা দার ৫৯ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৮ রান এসেছে ফাহিমা খাতুনের ব্যাট থেকে। ফাহিমা ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন শুধু নিগার সুলতানা (১৩) ও রিতু মণি (১৪)। বাংলাদেশের সব উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। বাঁহাতি স্পিনার সাদিয়া ইকবাল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৩ রান দিয়ে। ৩ উইকেট করে নিয়েছেন অধিনায়ক নিদা দার ও উম্মে হানি।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা নিদা দার। তবে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান নারী দলের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন ৪ উইকেট নেওয়া সাদিয়া। মিরপুরের কন্ডিশনে বাংলাদেশের টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে দেখে অবাক হয়েছি। উইকেট মন্থর ছিল, কিছুটা নরমও। আমরাও চাইছিলাম এখানে আগে বোলিং করতে। ভাগ্য ভালো, সেই সুযোগ পেয়েছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভালো বোলিংও করেছি।’
অন্যদিকে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারার আক্ষেপ করে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার বললেন, ‘আমরা পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি। ২০০-২৫০ রানের উইকেট হয়তো ছিল না, তবে ১৪০-১৫০ রান করতে পারলে সুযোগ নিতে পারতাম।’