বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর: টাকা কোনো বাধা নয়
বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে মুখিয়ে আছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন এই কথা। আর্থিকভাবে লাভজনক হয় না বলে বাংলাদেশ দলকে অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয় না, এমন বক্তব্যেও দ্বিমত আছে তাঁর।
এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী হকলি বলেন, ‘আমি বিষয়টির সঙ্গে একমত নই। বাংলাদেশ আমাদের এফটিপির পরবর্তী চক্রের অংশে নিশ্চিতভাবেই আছে এবং আমরা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে মুখিয়ে আছি।’
২০২৩-২০২৭ সালের আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার (এফটিপি) শেষ দিকে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি টেস্ট খেলার কথা আছে অস্ট্রেলিয়া দলের। বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত দুবার অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে। ২০০৩ সালে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হলেও ২০০৮ সালে ছিল শুধু ৩ ম্যাচের ১টি ওয়ানডে সিরিজ। অন্যদিকে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে এসেছে চারবার—২০০৬ (টেস্ট ও ওয়ানডে), ২০১১ (ওয়ানডে), ২০১৭ (টেস্ট) ও ২০২১ (টি-টোয়েন্টি) সালে।
আইসিসির বর্তমান এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ২টি টেস্ট খেলার কথা বাংলাদেশের। তার আগের বছর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার কথা ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। জাতীয় দলের সিরিজগুলোর আগে এ মাসেই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। সে সফর নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট হকলি, ‘এ বছর হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে আমাদের নারী দলের দারুণ একটি সফর গেছে। নারী দল যে আতিথেয়তা পেয়েছে, সেটির দারুণ প্রশংসা করি আমরা।’
হকলি বলেছেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান বদলায়নি। এখন পর্যন্ত তিন দফা আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ স্থগিত করেছে তারা। যদিও বৈশ্বিক আসরে আফগানদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া খেলে, সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো তাদের কাছে হেরে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় নিতে হয়েছে সুপার এইট থেকেই।
হকলি বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ান সরকারসহ সব অংশীদারের সঙ্গে কথা বলে মানবাধিকারবিষয়ক কারণে শেষ কয়েকটি সিরিজ স্থগিত করেছি। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, নিয়মিত আলোচনা হয়। আমরা চাই পুরুষ ও নারীদের জন্য বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের উৎকর্ষ।’
হকলি আরও বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিকভাবে মেয়েদের ক্রিকেটের পক্ষে থাকব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার যে প্রসঙ্গ, পরামর্শ করার পর মনে হয়েছে এটি এখন উপযুক্ত হবে না। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার আশা করছি।’