ভালো বল করেও হৃদয়ের কাছে পাত্তা পেলেন না সাকিব
সময়টা এখন তাওহিদ হৃদয়ের। যেন কোনো বোলারকেই পাত্তা দিচ্ছেন না এই তরুণ ক্রিকেটার। এমনকি বোলারের নাম সাকিব আল হাসান হলেও নয়। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে সাকিবের মুখোমুখি হয়ে সাকিবকে শুধু সাবলীলভাবে খেললেন না, টি-টোয়েন্টিতে ৪৫০–এর বেশি উইকেট নেওয়া সাকিবের সঙ্গে জিতলেন বুদ্ধির লড়াইয়েও।
সাকিবের সঙ্গে জেতার দিনে তাঁর দল গল টাইটান্সকে উড়িয়ে দিয়েছে হৃদয়ের জাফনা কিংস। রহমানউল্লাহ গুরবাজের ফিফটি আর হৃদয়ের ২৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে জাফনা জিতেছে ৮ উইকেট আর ৪৪ বল বাকি থাকতে।
টসে জিতে প্রথম ব্যাট করা গল টাইটান্স তুলেছিল মাত্র ১১৭ রান। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো করা সাকিব এই ম্যাচে করেছেন ৯ বলে ৬ রান। ১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা জাফনাকে প্রথম ধাক্কাটা দেন সাকিব।
চারিত আসালাঙ্কাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। এরপরই ক্রিজে আসেন হৃদয়। সাকিবের প্রথম বলটাতেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে সাকিব শর্ট লেংথে বল করলে নিজেকে সংযত রেখে ১ রানের জন্য খেলেন হৃদয়।
মুখোমুখি হওয়া পরের বলটাতেও হৃদয় উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এবার বলের লেংথ শর্ট হলেও দুর্দান্ত টাইমিংয়ে মিড অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন হৃদয়। পরপর দুই বলে ডাউন দ্য উইকেটে আসায় সাকিব পরের বলটা করলেন আরও শর্ট লেংথে। হৃদয় যেন এই বলটার অপেক্ষাই করছিলেন। ক্রিজে থেকে চার মারেন।
এরপর প্রোটিয়া স্পিনার তাবরাইজ শামসির বিপক্ষেও সাবলীল খেলাটাই চালিয়ে যান হৃদয়। শামসির বলে ইনসাইড আউট শটে ছক্কাও মারেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। সাকিবের সঙ্গে পরের দেখায় সাকিবের কাছে একবার পরাস্ত হয়েছিলেন হৃদয়। তবে সময়টা যে তাঁর পক্ষে। উল্টো এজড হয়ে সে বলে চার পান তিনি।
ফিফটির দেখা পেয়েছেন জাফনার ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে সাকিবের শিকার হন গুরবাজ। ৪ ওভার বল করে ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। আর হৃদয় শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান খেলাটা শেষ করেন আকিলা ধনঞ্জয়ার টানা দুই বলে ২ ছক্কা মেরে।