- বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ‘ফাইনাল’
- আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ একাদশ
- আফগানিস্তান একাদশ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজেও নেই নাজমুল
- ব্র্যান্ড নিউ পিচ!
- ৩ রানে শুরু বাংলাদেশের
- দুই দুইয়ে শুরু সৌম্যর
- তানজিদের প্রথম ‘জীবন’
- তানজিদের দ্বিতীয় ‘জীবন’!
- সৌম্য ম্যাজিক শুরু, কিন্তু কতক্ষণ?
- গজনফরকে তুলে মারছেন তানজিদ
- চেনা সৌম্য, চেনা আউট
- সৌম্যর পর ফিরলেন তানজিদও
- মিরাজ ডাকলেন, ফিরিয়েও দিলেন, রান আউট জাকির!
- আক্রমণে তৃতীয় স্পিনার
- ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ফিরলেন হৃদয়
- ৫২ বল পর প্রথম বাউন্ডারি
- অর্ধেক পথ পর্যন্ত মোটামুটি, বাকিটা কেমন হবে?
- বড় জুটির পথে মিরাজ–মাহমুদউল্লাহ
- ছক্কা!
- মাহমুদউল্লাহর ২৯তম ফিফটি
- ৪৭.১৬ স্ট্রাইক রেটে ফিফটি মিরাজের
- রশিদ মাঠের বাইরে!
- ‘খোঁড়ানো মাহমুদউল্লাহকেই চায় বাংলাদেশ’!
- ৬৬ রানে আউট মিরাজ
- জাকের আউট
- সেঞ্চুরি হলো না মাহমুদউল্লাহর, বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৪৪
- ৬ রানে শুরু নাহিদ রানার
- মেডেন নিলেন নাহিদ
- নাহিদ ১৫০.৯ কিমি!
- নাহিদের গতিতে পরাস্ত, বোল্ড!
- আফগানিস্তান ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫
- ‘জীবন’ পেয়ে ছক্কা গুরবাজের
- রহমতকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
- গুরবাজের ৭ম ওয়ানডে ফিফটি
- স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ সৌম্যর, হাশমতউল্লাহ আউট
- গুরবাজের স্টাম্পিং মিস জাকেরের
- গুরবাজকে ঠেকানো যাচ্ছে না!
- ৯৬ বলে ৮৫ দরকার আফগানিস্তানের
- ছক্কা মেরে ছাদে!
- ছক্কায় ৯৯, সিঙ্গেলে সেঞ্চুরি গুরবাজের
- গুরবাজ আউট, ম্যাচে কি ফিরতে পারবে বাংলাদেশ?
- আকাশে ওঠা ক্যাচ জাকেরের গ্লাভসে, ফিরলেন নাইব
- শেষ ৫ ওভারে ৩৩ চাই আফগানিস্তানের
- ১৮ বলে চাই ১৬, জয়ের সুবাস পাচ্ছে আফগানিস্তান
- ওমরজাইয়ের ছক্কায় সিরিজ আফগানিস্তানের
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ‘ফাইনাল’
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতম!
গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে খেলতে পারবেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক ও দ্বিতীয় ওয়ানডের ম্যান অব দ্য ম্যাচ নাজমুল হোসেন। কুচকির চোটে ভুগছেন তিনি। বাংলাদেশ আজ খেলবে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে।
আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো আজ তৃতীয় ওয়ানডেতেও টসে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৩তম অধিনায়ক হিসেবে টস করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথমবারেই জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, জাকির হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দ্বিতীয় ওয়ানডের দলে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। নাজমুলের জায়গায় দলে ঢুকেছেন জাকির। বিশ্রাম পেয়েছেন পেসার তাসকিন। তাঁর জায়গায় ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে ফাস্ট বোলার নাহিদ রানার।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই সংস্করণে অভিষেক হয়েছে জাকের আলীর। অভিষেক ম্যাচেই ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। নাহিদ রানাও কি পারবেন অভিষেক রাঙাতে?
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সেদিকুল্লাহ আতাল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, গুলবদিন নাইব, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, নানগেয়ালিয়া খারোতে, আল্লাহ গজনফর ও ফজলহক ফারুকি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজেও নেই নাজমুল
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান। আগেই জানা গিয়েছে, এই চোটের কারণে তিনি আজ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে খেলতে পারছেন না। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও তিনি খেলতে পারবেন না।
বিসিবির বিবৃতিতে দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘শারজায় গতকাল শান্তর (নাজমুল) এমআরআই হয়েছে। আমরা দলের স্ক্যান রিপোর্ট পেয়েছি। কুঁচকিতে তিনি গ্রেড টু পর্যায়ের টান পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেরে উঠতে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম ও পুনর্বাসনের মধ্যে থাকতে হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে থেকে তিনি ছিটকে পড়েছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজেও তাকে পাওয়া যাবে না। দুই সপ্তাহ পর আমরা পরিস্থিতি পুর্নমূল্যায়ন করব। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে তিনি আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরবেন।’
অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু ২২ নভেম্বর। কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩০ নভেম্বর। এরপর শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ।
ব্র্যান্ড নিউ পিচ!
নতুন উইকেটে খেলা হবে তৃতীয় ওয়ানডেতে। দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো পিচ অতটা চকচকে নয় তবে রংটা একই। ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার মতে, ব্যাটিং করার জন্য ভালো উইকেট। তবে উইকেট পরে কেমন আচরণ করবে সেটাই দেখার অপেক্ষা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩০+ হতে পারে জয়ের স্কোর।
ভুলে গেলে চলবে না, প্রথম ওয়ানডেতে ২৩৫ রান ডিফেন্ড করে জিতেছে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ২৫২ তুলে ৬৮ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।
৩ রানে শুরু বাংলাদেশের
প্রথম ওভারে সুইং পেয়েছেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি। দেখেশুনে তাঁর ৬টি বলই খেলেছেন ওপেনার তানজিদ। একটি ওয়াইড থেকে আরও দুটি রান পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৩ রান।
দুই দুইয়ে শুরু সৌম্যর
গজনফরের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ৪ বলেই ২টি করে রান নিলেন সৌম্য। ভালো খেলেছেন ওভারটি।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১১। সৌম্য ৮ রানে অপরাজিত, তানজিদ শূন্য রানে।
তানজিদের প্রথম ‘জীবন’
তৃতীয় ওভারে ফারুকির দ্বিতীয় বলটি বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। তানজিদ পায়ের কাজ ছাড়াই খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। গুলবদিন নাইব দুই হাত দিয়েও বলটি ধরতে পারেননি। জীবন পেলেন তানজিদ!
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১২। তানজিদ ৯ বলে ১ রানে অপরাজিত। তাঁকে স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছে না।
তানজিদের দ্বিতীয় ‘জীবন’!
১২ বলে ৩ রানে ব্যাট করছিলেন তানজিদ। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারছিলেন না। চতুর্থ ওভারে গজনফরের চতুর্থ বলটি কবজির আওতায় পেতেই স্লগ সুইপে লং লেগ দিয়ে চার মেরেছেন। এক বল পর প্রায় একই লেংথের বল সুইপে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে পাননি। বল উঠেছিল আকাশে। আফগান অধিনায়ক শহীদি দৌড়ে গিয়েও ক্যাচটি নিতে পারেননি।
চতুর্থ ওভারের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাচ ছাড়ল আফগানিস্তান!
বাংলাদেশ ৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৯। সৌম্য ৯ বলে ৮ ও তানজিদ ১৫ বলে ৮ রানে অপরাজিত।
সৌম্য ম্যাজিক শুরু, কিন্তু কতক্ষণ?
সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছেন। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৫। দুটিতেই ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আজও ভালো শুরু পেয়েছেন, কিন্তু তারপর কি হবে!
ফারুকি ওয়াইডসহ প্রথম দুই বলে দিয়েছেন মোট ৬ রান। তাঁর তৃতীয় বলে কাভার দিয়ে ক্রিসপি ড্রাইভে চার মারেন সৌম্য। পরের বলটি কবজির আওতায় পেয়ে স্ট্রেট দিয়ে চার মারেন সৌম্য। দারুণ দুটি শট!
বাংলাদেশ ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৫। সৌম্য ১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত, ১৭ বলে ৯ রানে তানজিদ।
গজনফরকে তুলে মারছেন তানজিদ
গজনফরের লেংথ ডেলিভারিগুলো দেখে খেলছেন। কিন্তু হাফ ভলি কিংবা কবজির আওতায় পেলেই তাঁকে তুলে মেরে বাউন্ডারি আদায় করে নিচ্ছেন তানজিদ। অষ্টম ওভারে মারলেন দুটি। প্রথমটি কাভারের ওপর দিয়ে, পরেরটি এক্সট্রা কাভারে। যথার্থ ওপেনারের শট!
৯ম ওভারে ওমরজাইয়ের প্রথম বলে দারুণ কাভার ড্রাইভ সৌম্যর। চার!
বাংলাদেশ: ৮.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৩।
চেনা সৌম্য, চেনা আউট
আজ ত্রিশের ঘরেও যেতে পারলেন না!
৯ম ওভারে ওমরজাইয়ের তৃতীয় বলে বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড! অফ সাইডে খেলতে গিয়ে প্লেড–অন হলেন সৌম্য। ২৩ বলে ২৪ রানে আউট।
তিনে নেমেছেন জাকির। ১৯ রানে অপরাজিত তানজিদের নতুন সঙ্গী।
সৌম্যর পর ফিরলেন তানজিদও
দলীয় ‘ফিফটি’র পরই দুটি বড় ধাক্কা! আগের ওভারে সৌম্য আউট হওয়ার পর ১০ম ওভারে নবীর প্রথম বলেই কাভার–পয়েন্ট অঞ্চলে হাশমতউল্লাহকে ক্যাচ দেন তানজিদ। ২৯ বলে ১৯ রানে ফিরলেন।
অধিনায়ক মিরাজ ক্রিজে। জাকিরে সঙ্গে জুটি গড়তে হবে তাঁকে। দুজনেই ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান। কাজটা কঠিন। নবীর এই ওভারে সুইপে চার মেরে চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন জাকির।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৫৮।
মিরাজ ডাকলেন, ফিরিয়েও দিলেন, রান আউট জাকির!
ভুল বোঝাবুঝিতে তো অবশ্যই।
ওমরজাইয়ের করা ১১তম ওভারের দ্বিতীয় পয়েন্টে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিতে ঝুঁকেছিলেন মিরাজ। অতটুকুতেই সর্বনাশ! অন্য প্রান্ত থেকে জাকির দৌড়ে পিচের অর্ধেক পথ পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। মিরাজ ততক্ষণে তাঁকে ‘না’ করে দেওয়ায় ঘুরে নন স্ট্রাইক ক্রিজে ফেরার চেস্টা করেন জাকির। হলো না! খারোতের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হলেন। ৭ বলে করেছেন ৪ রান।
ক্রিজে মিরাজের নতুন সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়। ১২ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৬১।
আক্রমণে তৃতীয় স্পিনার
১৫ ওভারের আগেই তৃতীয় স্পিনার নিয়ে এসেছে আফগানিস্তান। ১৪তম ওভারটি করলেন বাঁহাতি স্পিনার নানগেয়ালিয়া খারোতে। ৩ রান দিয়েছেন। এর আগে নবী ও গজনফর বোলিং করেছেন। আঙুলের রহস্য–স্পিনার, অফ স্পিনার ও বাঁহাতি স্পিনারে আফগানিস্তানের বোলিং বৈচিত্রপূর্ণ ভাবলে রশিদ খানকে ভুলে গেছেন!
অনেক বৈচিত্রপূর্ণ।
ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ফিরলেন হৃদয়
আক্রমণে রশিদ খান এবং উইকেট!
১৫তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এলেন। চতুর্থ বলেই তাঁর বলে স্লিপে ক্যাচ শিখিয়ে ফিরলেন হৃদয়! ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমেছে গুলবদিন নাইবের হাতে। এ যাত্রায় ক্যাচটি নিতে পেরেছেন নাইব।
১৭ বলে ৭ রানে ফিরলেন হৃদয়। ছয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন মিরাজের নতুন সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ ১৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২।
৫২ বল পর প্রথম বাউন্ডারি
১০ম ওভারের চতুর্থ বলে নবীকে বাউন্ডারি মেরেছিলেন জাকির। এরপর ১৮.৪ ওভারে এসে বাউন্ডারির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৫২ বলের মধ্যে প্রথম বাউন্ডারি! রশিদের বল মিরাজের ব্যাটের কানা নিয়ে স্লিপ দিয়ে চার।
২০তম ওভারে ব্যাটিংয়ের সময় মাহমুদউল্লাহ একটু অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। মাঠে ফিজিও ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবারও ব্যাটিং শুরু করেন।
বাংলাদেশ: ২১ ওভারে ৪ উইকেটে ৯২। মিরাজ ২৩ রানে ব্যাট করছেন । মাহমুদউল্লাহ ৪ রানে অপরাজিত। দুজনে ২০ রানের জুটি গড়েছেন।
অর্ধেক পথ পর্যন্ত মোটামুটি, বাকিটা কেমন হবে?
২৭ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১২১ রান বাংলাদেশের। মিরাজ ৩০ রান ও মাহমুদউল্লাহ ১৭ রানে অপরাজিত।
এই ২৭ ওভারে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। ৮.৩ ওভারে উদ্ধোধনী জুটিতে ৫৩ তুলেছেন সৌম্য–তানজিদ। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর মাঝে ১২ বলের ব্যবধানে পড়েছে ৩ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে এ পর্যন্ত ৬৮ বলে ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। ৩৩ রানে ব্যাট করছেন মিরাজ, ২২ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ।
ইনিংসের বাকি ২৩ ওভারে কতটা এগোতে পারবে বাংলাদেশ?
বড় জুটির পথে মিরাজ–মাহমুদউল্লাহ
পঞ্চম উইকেটে ১০৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটি গড়েছেন মিরাজ–মাহমুদউল্লাহ। ৩৮ রানে ব্যাট করছেন মিরাজ, ৩৩ রানে মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ ৩২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭।
ছক্কা!
৩৫তম ওভারে দুবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে নবীকে মারার চেষ্টা করেছেন মিরাজ। পারেননি। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ পারলেন। ওভারের শেষ বলে একইভাবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা!
মাহমুদউল্লাহ ৪২ রানে অপরাজিত। মিরাজ ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশ ৩৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫১।
মাহমুদউল্লাহর ২৯তম ফিফটি
নবীর করা ৩৯তম ওভার মেডেন দেওয়ার পর ৪০তম ওভারে ফিফটি হলো মাহমুদউল্লাহর। খারোতের করা চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে নিজের ২৯তম ফিফটি তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে ৭ম ইনিংস পর ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ ইনিংস পর। ৬৩ বলে ফিফটি পেলেন।
বাংলাদেশ: ৪০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৬। মাহমুদউল্লাহ ৫১ ও মিরাজ ৪৯ রানে অপরাজিত। তৃতীয় পাওয়ার প্লে নিয়েছে বাংলাদেশ।
৪৭.১৬ স্ট্রাইক রেটে ফিফটি মিরাজের
নবীর করা ৪১তম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিলেন মিরাজ। ১০৬ বলে ফিফটি পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে ফিফটি পেলেন মিরাজ। বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নিজের শততম ওয়ানডেতেও ফিফটি পেলেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে ১৬৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি গড়েছেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ ৪২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৮৩। মাহমুদউল্লাহ ৬৩ ও মিরাজ ৫২ রানে অপরাজিত।
রশিদ মাঠের বাইরে!
ডান হাতের কনিষ্ঠায় চোট পেয়েছেন আগেই। মাঠে ফিজিও এসে চিকিৎসাও করে গেছেন তাঁর আগের ওভারে। কিন্তু ৪৩তম ওভার শেষে আর মাঠে থাকতে পারলেন না আফগানিস্তানের এই তারকা লেগ স্পিনার। মাঠের বাইরে চলে গেলেন।
‘খোঁড়ানো মাহমুদউল্লাহকেই চায় বাংলাদেশ’!
মাহমুদউল্লাহর আঘাত আছে। এর আগে মাঠে ফিজিও ডেকে হ্যামস্ট্রিংয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ক্রিজে হাঁটার সময় একটু খোঁড়াতেও দেখা গেছে। ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা তাই দেখে বলেছেন, খোঁড়ানোর সময়ই বেশি ভালো ব্যাটিং করছেন মাহমুদউল্লাহ! এমন মাহমুদউল্লাহকেই চায় বাংলাদেশ!
রমিজের সম্ভবত, ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজকে মনে পড়েছে!
১৯৮৪ সালে লর্ডস টেস্টের সেই ঘটনা জানেন তো? ওভারের হিসাবে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৭৮ ওভারে ৩৪২ রানের লক্ষ্যকে রীতিমতো ছেলেখেলা বানিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে একাই অপরাজিত ২১৪ রান করেছিলেন কিংবদন্তি—গর্ডন গ্রিনিজ!
ক্রিকেটে প্রচলিত একটি কথাই হলো, উইকেটে (চোট পাওয়া) খোঁড়াতে থাকা গ্রিনিজের চেয়ে ভয়ংকর কিছু হয় না!
৬৬ রানে আউট মিরাজ
৪৬তম ওভারে ওমরজাইয়ের প্রথম দুই বলে চার মারার পর ষষ্ঠ বলে আবারও মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে আউট মিরাজ। ১১৯ বলে ৬৬ রানে আউট হলেন।
বাংলাদেশ: ৪৬ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২১৭। এর মধ্য দিয়ে মিরাজ–মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেটে ১৪৫ রানের জুটি ভাঙল।
মাহমুদউল্লাহ ৮২ রানে অপরাজিত।
জাকের আউট
ওমরজাইয়ের করা ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটে টেনে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১ রানে ফিরলেন জাকের আলী। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে বল তাঁর ব্যাটে লেগেছিল।
বাংলাদেশ ৪৮ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৭। মাহমুদউল্লাহ ৮৭ রানে অপরাজিত।
সেঞ্চুরি হলো না মাহমুদউল্লাহর, বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৪৪
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫ম সেঞ্চুরি হলো না মাহমুদউল্লাহর। ৫০তম ওভারের শেষ বলে ৯৮ বলে ৯৮ করে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ওমরজাই শেষ ওভারের বোলিং শুরুর আগে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে তিনটি বল খেলেছেন, শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই ব্যক্তিগত সেরা স্কোর।
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৪। দ্বিতীয় ওয়ানডের চেয়ে (২৫২/৭) ৮ রান কম করেছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। ৮.৩ ওভারে সৌম্য ২৩ বলে ২৪ করে আউট হওয়ার আগে ওপেনিং জুটিতে উঠেছে ৫৩ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। ৩৯ বলের মধ্যে সৌম্যসহ পড়েছে মোট ৪ উইকেট। রান উঠেছে ১৯। আউট হয়ে ফিরেছেন সৌম্য, তানজিদ, জাকির ও হৃদয়। মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর পাল্টা প্রতিরোধ শুরু হয় এরপরই।
পঞ্চম উইকেটে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ৮২ বলে ৮৪। মিরাজের অবদান ১০৪ বলে ৫৯। নিজের শততম ওয়ানডে ও অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে মিরাজ স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং করতে না পারায় অন্য প্রান্তে রানের গতি ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৫.৪৬ স্ট্রাইক রেটে ১১৯ বলে ৬৬ রানে মিরাজ আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লায় টিকে ছিল আশা। ২০০৫ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ বলে ফিফটি করেছিলেন জাভেদ ওমর। তারপর বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে মিরাজের ফিফটিই মন্থরতম। আজ ১০৬ বলে ফিফটি পেয়েছেন।
শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শেষ ৫ ওভারে উঠেছে ৪ উইকেটে ৩৯! অর্থাৎ শেষ ৫ ওভার মানে ফিনিশিংটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষে নিয়মিত অধিনায়ক (ম্যাচটি খেলছেন না) নাজমুল সম্প্রচারক চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি না হলেও প্রশংসা করেছেন সতীর্থের, ‘তিনি নিজের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। একটি করে বল খেলেছেন। সেঞ্চুরি না পাওয়ায় একটু হতাশ। তবে দল ভালো অবস্থানে আছে।’
দলের ব্যাটিং নিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘খুবই খুশি। যেভাবে আমরা শুরু করেছি, প্রথম ১০ ওভারে দারুণ ব্যাট করেছি। তবে এরপর শটগুলো ভালোভাবে খেলতে পারিনি। এরপর জুটি হয়েছে, মিরাজ ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। এটাই পরিকল্পনা ছিল।’
আফগানিস্তানের হয়ে ৭ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন ওমরজাই। ৩৭ রানে ১ উইকেট নেন নবী। ৪০ রানে ১ উইকেট রশিদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, সৌম্য ২৪, তানজিদ ১৯, হৃদয় ৭; ওমরজাই ৪/৩৭, নবী ১/৩৭, রশিদ ১/৪০, ফারুকি ০/৪১।)
৬ রানে শুরু নাহিদ রানার
শরীফুল ইসলামের প্রথম ওভারে ৬ রান তুলেছে আফগানিস্তান। এরপর দ্বিতীয় ওভারে অভিষিক্ত নাহিদ রানাও ৬ রান দিয়ে তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করলেন। শরীফুলের করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা মেরেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
প্রথম ওভারে ১৪৫ কিমির বেশি গতিতে বল করেছেন নাহিদ রানা। আজও কি উঠবে গতির ঝড়?
আফগানিস্তান: ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২০।
মেডেন নিলেন নাহিদ
চতুর্থ ওভারে নাহিদের দুটি বলে পরাস্ত হয়েছেন গুরবাজ। স্লিপে ক্যাচ না ওঠার আফসোস ঝরেছে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় ওভার মেডেন নিলেন নাহিদ। এই ওভারে ঘণ্টায় গড়ে ১৪০ কিমির ওপাশে করেছেন, একটি ডেলিভারি ছিল ১৪৭ কিমি!
আক্রমণে স্পিনার
আফগানিস্তান ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৩২ রান তোলার পর আক্রমণে স্পিনার নাসুম আহমেদকে এনেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রেখেছিলেন নাসুম।
নাহিদ ১৫০.৯ কিমি!
৮ম ওভারে দ্বিতীয় বলটি ঘণ্টায় ১৫০.৯ কিমি গতিতে করলেন নাহিদ রানা! পিচে বল তোলার পাশাপাশি গতিতেও ধারাবাহিক এই ফাস্ট বোলার। কিন্তু উইকেট প্রয়োজন। কে এনে দেবেন উইকেট?
নাহিদের গতিতে পরাস্ত, বোল্ড!
৮ম ওভারে দ্বিতীয় বলে তুলেছিলেন ১৫১ কিমি গতি। চতুর্থ বলে ১৪৭ কিমি গতি থাকলেও রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করায় অ্যাঙ্গেল পেয়েছিলেন নাহিদ। ব্যাট সময়মতো সামনে নিয়ে আসতে পারেননি আফগান ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতাল। বোল্ড! ওয়ানডেতে নাহিদের প্রথম উইকেট।
আফগানিস্তান: ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৪৩। গুরবাজ ২১ রানে অপরাজিত। ৩ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন রহমত।
আফগানিস্তান ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫
ভালো শুরু পেয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের শুরুটাও খারাপ হয়নি।
১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪৫ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ২৩ রানে অপরাজিত গুরবাজ। ১৪ বলে ৪ রানে অপরাজিত রহমত।
‘জীবন’ পেয়ে ছক্কা গুরবাজের
১২তম ওভারে মোস্তাফিজের পঞ্চম বলটি ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি গুরবাজ। লেগে খেলার চেষ্টা করলেও বল ব্যাটের কানায় লেগে পয়েন্টের দিকে ভেসে গিয়েছিল। রিশাদ হোসেন সামনে পূর্ণ মাত্রার ডাইভ দিয়ে বল হাতে পেলেও রাখতে পারেননি। পরের বলেই ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মেরেছেন গুরবাজ। হতাশ মোস্তাফিজ!
আফগানিস্তান: ১২ ওভারে ১ উইকেটে ৫৬। গুরবাজ ৩৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত। ১৭ বলে ৬ রানে অন্য প্রান্তে রহমত।
রহমতকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
স্বচ্ছন্দ ছিলেন না ক্রিজে আসার পর থেকেই। ২১ বলে ৮ রান করে ২২তম বলে রহমতের যন্ত্রণার অবসান ঘটল। তাঁকে বোলিং করে নিজেই ক্যাচ আউট করলেন মোস্তাফিজ। ১৪তম ওভারের শেষ বলে তাঁর খাটো লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটের ঠিক জায়গায় লাগাতে পারেননি রহমত। ডাইভ দিয়ে ক্যাচটা নেন মোস্তাফিজ। ক্রিজে গুরবাজের নতুন সঙ্গী অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ।
আফগানিস্তান ১৪ ওভারে ২ উইকেটে ৬৩।
গুরবাজের ৭ম ওয়ানডে ফিফটি
বাংলাদেশ জানে, রহমানউল্লাহ টিকে থাকলে ম্যাচটি বের করা সম্ভব হবে না। ২০তম ওভারে ফিফটি তুলে নিয়ে গুরবাজ যেন সেই দুশ্চিন্তাকেই সত্যি প্রমাণ করার পথে আছেন! ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৬০ বলে ফিফটি তুলে নিলেন গুরবাজ।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪।
স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ সৌম্যর, হাশমতউল্লাহ আউট
মোস্তাফিজের করা ২১তম ওভারের প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ডান দিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচটি নিয়েছেন সৌম্য। ২১ বলে ৬ রানে ফিরলেন হাশমতউল্লাহ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও স্লিপে গুরবাজের দারুণ ক্যাচ নিয়েছিলেন সৌম্য। সিরিজে তৃতীয়বারের মতো হাশমতউল্লাহকে আউট করলেন মোস্তাফিজ।
ক্রিজে গুরবাজের নতুন সঙ্গী আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আফগানিস্তান ২১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৯০।
গুরবাজের স্টাম্পিং মিস জাকেরের
২২তম ওভারে মিরাজের পঞ্চম বলে গুরবাজকে স্টাম্পিং করতে ব্যর্থ জাকের আলী। ওয়াইড বলটি গ্লাভসে নিতে পারেননি। গুরবাজ (৫৬ রানে) ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এই ভুলের মাশুল দিতে হতে পারে!
আফগানিস্তান ২৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০।
এই ফাঁকে পড়তে পারেন: মাহমুদউল্লাহর দুর্ভাগ্য ও অধিনায়ক মিরাজের যত রেকর্ড
গুরবাজকে ঠেকানো যাচ্ছে না!
জুটি ভাঙতে ২৫তম ওভারে পেসার শরীফুলকে বোলিংয়ে এনেছেন অধিনায়ক মিরাজ। কিন্তু ১৩ রান দিয়ে হতাশ করলেন শরীফুল। প্রথম বলেই ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে তাঁকে ছক্কা মেরেছেন গুরবাজ। পঞ্চম বলে চার মেরেছেন ওমরজাই।
গুরবাজ ৭৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত। তাঁকে দ্রুত আউট করতে না পারলে ভুগতে হবে বাংলাদেশকে। ১৫ রানে অপরাজিত ওমরজাই।
আফগানিস্তান ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৬। গুরবাজ ৮০ রানে অপরাজিত, ১৭ রানে ব্যাট করছেন ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে ৫২ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
৯৬ বলে ৮৫ দরকার আফগানিস্তানের
৩৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ১৬০। গুরবাজ ৯১ রানে অপরাজিত। অন্য প্রান্তে ৩০ রানে ব্যাট করছেন ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে ৮৫ বলে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
নাসুমের করা ৩৫তম ওভারে দুই বল পরই ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মতো ক্র্যাম্পের শিকার হয়েছেন গুরবাজ। তবে আফগান সমর্থকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। গুরবাজ ব্যাট করছেন।
ছক্কা মেরে ছাদে!
৩৬তম ওভারে মিরাজের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে বল গ্যালারির ছাদে পাঠালেন ওমরজাই। বলটা একটু পেছনের লেংথে করেছিলেন বাংলাদেশি অফ স্পিনার।
৩৬ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ১৬৮। গুরবাজ ৯২ ও ওমরজাই ৩৭ রানে অপরাজিত। ৮৪ বলে ৭৭ প্রয়োজন আফগানিস্তানের।
ছক্কায় ৯৯, সিঙ্গেলে সেঞ্চুরি গুরবাজের
৩৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন সৌম্য সরকার। তাঁর তৃতীয় বলে স্ট্রেট দিয়ে দর্শনীয় ৮৭ মিটার দূরত্বের ছক্কা মেরে ৯৩ থেকে ৯৯ রানে পৌঁছে যান গুরবাজ। পঞ্চম বলে একটি রান নিয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। ১১৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সেঞ্চুরিটি পেলেন গুরবাজ। ওমরজাই ৪৩ রানে অপরাজিত।
ওয়ানডেতে ৪৬ ইনিংসে ৮ম সেঞ্চু্রি পেলেন গুরবাজ। ২৩ বছর বয়সের মধ্যে ছেলেদের ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ (২২ বছর ৩৪৯ দিন) হিসেবে ৮টি সেঞ্চুরি পেলেন। ২২ বছর ৩১২ দিনের মধ্যে ৮টি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক।
আফগানিস্তান ৩৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮২। জয়ের জন্য ৭২ বলে ৬৩ রান চাই আফগানিস্তানের। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৯৮ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
গুরবাজ আউট, ম্যাচে কি ফিরতে পারবে বাংলাদেশ?
মিরাজ আজ ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে উইকেট বঞ্চিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত উইকেটের দেখা পেলেন নিজের ৯ম ওভারে। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে তাঁর চতুর্থ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন গুরবাজ। ১২০ বলে ১০১ রানে থামল তাঁর ইনিংস। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১১১ বলে ওমরজাই–গুরবাজের ১০০ রানের জুটিও ভাঙল। ওমরজাই ৪৪ রানে অপরাজিত।
আফগানিস্তান: ৩৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৮৪। জয়ের জন্য ৬৬ বলে চাই ৬১ রান। ক্রিজে ওমরজাইয়ের নতুন সঙ্গী গুলবদিন নাইব।
আকাশে ওঠা ক্যাচ জাকেরের গ্লাভসে, ফিরলেন নাইব
ম্যাচে কি নতুন মোড়? নতুন নাটক! কে জানে হতেও পারে!
শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ৫৮ রান। হাতে ৬ উইকেট। এ অবস্থায় নাহিদের করা ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন গুলবদিন নাইব। বেশ সময় নিয়েই বলের নিচে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে ক্যাচটি নেন উইকেটকিপার জাকের আলী। ৫ বলে ১ রানে ফিরলেন নাইব। ক্রিজে ওমরজাইয়ের নতুন সঙ্গী মোহাম্মদ নবী।
আফগানিস্তান ৪১ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৯৩। নাহিদের শেষ বলে চার মেরে ফিফটি তুলে নেন ওমরজাই। জয়ের জন্য ৫৪ বলে চাই ৫২ রান।
ম্যাচ এখান থেকে যে কোনো দিকেই যেতে পারে!
শেষ ৫ ওভারে ৩৩ চাই আফগানিস্তানের
মিরাজের করা ৪৫তম ওভারে ছক্বা মেরে হিসাবটা আফগানিস্তানের জন্য একটু সহজ করেছেন ওমরজাই। ওই ওভার (৪৫তম) শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৫ উইকেটে ২১২। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৩৩ রান চাই আফগানিস্তানের। বাংলাদেশ কি ঠেকাতে পারবে?
মোস্তাফিজ ৪৬তম ওভারে দিলেন ৭ রান। হিসাব নেমে আসল শেষ ৪ ওভারে ২৬ রান। জিতবে কোন দল?
১৮ বলে চাই ১৬, জয়ের সুবাস পাচ্ছে আফগানিস্তান
ওয়ানডে অভিষেকে নিজের শেষ ওভারে ১০ রান দিলেন নাহিদ রানা। এই ওভারে একটু বেশি রান দিয়ে ফেলায় হিসাবটা আরও সহজ হয়ে এল আফগানিস্তানের জন্য। সিরিজ জিততে তৃতীয় ম্যাচটি জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ১৬ রান চাই আফগানিস্তানের।
১০ ওভারে ৪০ রানে ২ উইকেট নেওয়া নাহিদের অভিষেক একদম খারাপ হলো না।
আফগানিস্তান: ৪৭ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৯। নবী ২৪ ও ওমরজাই ৬৩ রানে অপরাজিত।
ওমরজাইয়ের ছক্কায় সিরিজ আফগানিস্তানের
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ৬ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের। ৪৯তম ওভারে শরীফুলের দ্বিতীয় বলে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে ১০ বল হাতে রেখে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটের দারুণ জয় এনে দেন ৭০ রানে অপরাজিত থাকা ওমরজাই। তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জিতল আফগানিস্তান। এটি টানা তাদের টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়।
বাংলাদেশের ২৪৪ রান তাড়া করতে নেমে দুটি ইনিংসে ভর করে তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিল আফগানিস্তান। ১২০ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার গুরবাজ। এরপর ৭৭ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওমরজাই। ওপেনিং জুটিতে ৪১, চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই–গুরবাজের ১০০ ও ষষ্ঠ উইকেটে নবী–ওমরজাইয়ের ৪৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি আফগানিস্তানকে এই জয় এনে দিয়েছে।
৬ বোলার ব্যবহার করেও আফগানিস্তানকে ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশ। গুরবাজ ও ওমরজাইয়ের জুটির সময়ই মূলত মানসিকভাবে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপর নাইবকে আউট করলেও শেষ ৫৪ বলে ৫২ রানের হিসাব আফগানদের জন্য আরও কঠিন করতে পারেননি অধিনায়ক মিরাজ। এখান থেকে ধীরে ধীরে জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নবী।
ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে ৪০ রানে ২ উইকেট নেন নাহিদ রানা। ৫০ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ৫৬ রানে ১ উইকেট মিরাজের। উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন নাসুম আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, সৌম্য ২৪, তানজিদ ১৯, হৃদয় ৭; ওমরজাই ৪/৩৭, নবী ১/৩৭, রশিদ ১/৪০, ফারুকি ০/৪১।)
আফগানিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫ (গুরবাজ ১০১, ওমরজাই ৭০*, নবী ৩৪*, আতাল ১৪, রহমত ৮; নাহিদ ২/৪০, মোস্তাফিজ ২/৫০, মিরাজ ১/৫৬)।
ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান)।
সিরিজসেরা: মোহাম্মদ নবী (আফগানিস্তান)।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ আফগানিস্তান ২–১ ব্যবধানে জয়ী।